নিম্নের কোথায় ল্যানোস ও প্যাম্পাস তৃণভূমি দেখা যায়?
A
উত্তর আমেরিকা
B
পূর্ব ইউরোপ
C
দক্ষিণ আমেরিকা
D
অস্ট্রেলিয়া
উত্তরের বিবরণ
তৃণভূমি: পৃথিবীর বিস্তীর্ণ সবুজ চারণভূমি
তৃণভূমি হলো ঘাস দ্বারা আচ্ছাদিত সুবিস্তৃত ভূমি, যা সাধারণত স্বল্প বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠে। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে অবস্থিত দুটি বিখ্যাত তৃণভূমি হলো ল্যানোস এবং প্যাম্পাস।
পৃথিবীজুড়ে আরও অনেক বিখ্যাত তৃণভূমি রয়েছে, যা বিভিন্ন মহাদেশের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যকে সমৃদ্ধ করেছে:
- প্রেইরি: এটি উত্তর আমেরিকায় অবস্থিত একটি সুবিশাল তৃণভূমি।
- সাভানা: আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত এই তৃণভূমি নানা ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের আবাসস্থল।
- স্টেপ: পূর্ব ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার শুষ্ক অঞ্চলে স্টেপ তৃণভূমি দেখা যায়।
এই তৃণভূমিগুলো কেবল উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থলই নয়, বরং পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র এবং জলবায়ু নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোনটি মিঠাপানির জলমগ্ন বনভূমি?
Created: 1 month ago
A
সুন্দরবন
B
রাতারগুল
C
শালবন
D
কোনটি নয়
জলাবন বা জলমগ্ন বনভূমি এমন এক বিশেষ ধরনের বনভূমি যেখানে বছরের অধিকাংশ সময় পানি জমে থাকে এবং উদ্ভিদ সেই জলমগ্ন পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়। বাংলাদেশে এর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো রাতারগুল বনভূমি।
-
বাংলাদেশের মিঠাপানির একমাত্র জলাবন বা জলমগ্ন বনভূমি হলো রাতারগুল বনভূমি।
-
এটি সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত এবং একে বাংলার আমাজন বলা হয়।
-
রাতারগুলের মোট আয়তন প্রায় ২০৫ হেক্টর।
-
এ বনের প্রধান উদ্ভিদ হলো হিজল, করচ, বরুন ও মুর্তা।
-
শীতকাল ব্যতীত বছরের অন্যান্য সময় বনটি পানিতে নিমজ্জিত থাকে।
-
মুর্তা বা রাতা উদ্ভিদের আধিক্যের কারণে এ বনকে রাতারগুল বলা হয়।
অন্যদিকে,
-
সুন্দরবন হলো প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বা স্রোতজ বনভূমি।
-
প্যারাবন হলো সৃজিত ম্যানগ্রোভ বনভূমি।
-
শালবন হলো একটি পত্রপতনশীল বনভূমি।
0
Updated: 1 month ago
‘কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ’ নামে পরিচিত জেলা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কক্সবাজার
B
ভোলা
C
পটুয়াখালী
D
বরিশাল
ভোলা
‘কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ’ নামে পরিচিত ভোলা জেলা
বাংলায় অর্থ: ‘বাংলাদেশের দ্বীপের রাণী’
বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ
পূর্ব নাম: দক্ষিণ শাহবাজপুর
উৎপত্তি: হিমালয় থেকে নেমে আসা পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পলি মোহনায় জমে গড়ে উঠেছে
প্রতিষ্ঠিত: ১৯৮৪ সালে
0
Updated: 1 month ago
ঢাকা থেকে পূর্বদিকে অবস্থিত একটি স্থানের সাথে দ্রাঘিমার পার্থক্য ৪৫°। ঢাকার সময় মধ্যাহ্ন ১২:০০ টা হলে ঐ স্থানটির স্থানীয় সময় হবে-
Created: 2 weeks ago
A
সকাল ০৯:০০ টা
B
বিকাল ০৩:০০ টা
C
সন্ধ্যা ০৬:০০ টা
D
রাত ০৯:০০ টা
পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে প্রতিটি দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী সময়ের পার্থক্য সৃষ্টি হয়। প্রতি ১° দ্রাঘিমার জন্য সময়ের ব্যবধান হয় ৪ মিনিট। অর্থাৎ পৃথিবী একবার সম্পূর্ণ ঘূর্ণন (৩৬০°) সম্পন্ন করতে ২৪ ঘণ্টা সময় নেয়। সুতরাং ৩৬০° ÷ ২৪ ঘণ্টা = প্রতি ১৫° দ্রাঘিমার ব্যবধানে ১ ঘণ্টা সময় পার্থক্য হয়। এই নিয়ম অনুযায়ী কোনো স্থানের দ্রাঘিমার অবস্থান জানলে সহজেই সেই স্থানের সময় নির্ধারণ করা যায়।
-
প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্য ৪ মিনিট সময়ের পার্থক্য ঘটে।
-
উদাহরণস্বরূপ, ৪৫° দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য হবে ৪৫×৪ = ১৮০ মিনিট বা ৩ ঘণ্টা।
-
যেহেতু পূর্ব দিকে গেলে সময় বৃদ্ধি পায়, তাই যদি ঢাকায় সময় দুপুর ১২টা হয়, তবে ঐ স্থানটি যদি ৪৫° পূর্বে অবস্থিত হয়, সেখানে সময় হবে বিকেল ৩টা।
-
বিপরীতে, পশ্চিমে গেলে সময় কমে, কারণ পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরে, ফলে পশ্চিমের অঞ্চলগুলো সূর্যকে পরে দেখে।
আন্তর্জাতিক সময় নির্ধারণের মূলভিত্তি হলো গ্রিনিচ মান সময় (GMT)। এটি পৃথিবীর সময় পরিমাপের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
গ্রিনিচ মানমন্দির যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরে অবস্থিত।
-
এই মানমন্দিরের ওপর দিয়েই মূল মধ্যরেখা বা শূন্য ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখা (Prime Meridian) অতিক্রম করেছে।
-
১৮৮৪ সালের ১ নভেম্বর, আন্তর্জাতিক সময় নির্ধারণের জন্য জিএমটি (Greenwich Mean Time) কে মান সময় হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
-
গ্রিনিচের সময়কে ভিত্তি করে পৃথিবীকে ২৪টি টাইম জোনে ভাগ করা হয়েছে, যাতে প্রতিটি জোনের সময় এক ঘণ্টা করে পার্থক্য থাকে।
-
গ্রিনিচের পূর্বে অবস্থিত স্থানের সময় গ্রিনিচের সময়ের থেকে এগিয়ে থাকে, কারণ পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বে ঘূর্ণন করে।
-
গ্রিনিচের পশ্চিমের স্থানের সময় পিছিয়ে থাকে, অর্থাৎ তারা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত পরে দেখে।
-
প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময় পরিবর্তিত হয় ৪ মিনিট করে, যা থেকে যেকোনো স্থানের সময় নির্ণয় করা সম্ভব।
-
যেমন, ঢাকা (৯০° পূ.) এবং লন্ডন (০°) এর মধ্যে পার্থক্য ৯০°, তাই সময়ের ব্যবধান হবে ৯০×৪ = ৩৬০ মিনিট বা ৬ ঘণ্টা। অর্থাৎ, যখন লন্ডনে সকাল ৬টা, তখন ঢাকায় দুপুর ১২টা।
-
এই নিয়ম অনুযায়ী পশ্চিমে গেলে সময় কমে আর পূর্বে গেলে সময় বাড়ে।
এভাবে দ্রাঘিমারেখা ও সময়ের সম্পর্কের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো স্থানের স্থানীয় সময় নির্ধারণ করা যায়, যা আন্তর্জাতিক টাইম জোন ব্যবস্থা গঠনের মূল নীতিকে প্রতিষ্ঠা করেছে।
0
Updated: 2 weeks ago