নিম্নের কোনটি মিঠাপানির জলমগ্ন বনভূমি?
A
সুন্দরবন
B
রাতারগুল
C
শালবন
D
কোনটি নয়
উত্তরের বিবরণ
জলাবন বা জলমগ্ন বনভূমি এমন এক বিশেষ ধরনের বনভূমি যেখানে বছরের অধিকাংশ সময় পানি জমে থাকে এবং উদ্ভিদ সেই জলমগ্ন পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়। বাংলাদেশে এর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো রাতারগুল বনভূমি।
-
বাংলাদেশের মিঠাপানির একমাত্র জলাবন বা জলমগ্ন বনভূমি হলো রাতারগুল বনভূমি।
-
এটি সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত এবং একে বাংলার আমাজন বলা হয়।
-
রাতারগুলের মোট আয়তন প্রায় ২০৫ হেক্টর।
-
এ বনের প্রধান উদ্ভিদ হলো হিজল, করচ, বরুন ও মুর্তা।
-
শীতকাল ব্যতীত বছরের অন্যান্য সময় বনটি পানিতে নিমজ্জিত থাকে।
-
মুর্তা বা রাতা উদ্ভিদের আধিক্যের কারণে এ বনকে রাতারগুল বলা হয়।
অন্যদিকে,
-
সুন্দরবন হলো প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বা স্রোতজ বনভূমি।
-
প্যারাবন হলো সৃজিত ম্যানগ্রোভ বনভূমি।
-
শালবন হলো একটি পত্রপতনশীল বনভূমি।
0
Updated: 1 month ago
GIS-এর পূর্ণরূপ কী?
Created: 1 month ago
A
Geographical Identification System
B
Geographical Information System
C
Geographical Interchange System
D
Geographical Infographical System
জিআইএস হলো এমন একটি কম্পিউটার-ভিত্তিক ব্যবস্থা যা ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি স্থানিক তথ্যের মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিতকরণ, মানচিত্রায়ণ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করে।
-
জিআইএস (Geographical Information System) হলো ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত রূপ।
-
এটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে তথ্য সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্থানিক এবং পারস্পরিক সমস্যা চিহ্নিত করতে সহায়ক।
-
১৯৬৪ সালে কানাডায় প্রথমবার এই কৌশলটি ব্যবহার শুরু হয়।
-
১৯৮০-এর দশক থেকে বিস্তারিত ও ব্যাপকভাবে ব্যবহার হতে শুরু করে।
-
জিআইএস বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে, যেমন:
-
ভূমি ব্যবস্থাপনা
-
প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়ন
-
পানি গবেষণা
-
আঞ্চলিক গবেষণা
-
নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা
-
জনসংখ্যা বিশ্লেষণ
-
পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশ্লেষণ
-
জিআইএসের মাধ্যমে স্থানিক তথ্যের দৃশ্যমানীকরণ, সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করা সম্ভব হয়। এটি আধুনিক পরিকল্পনা, গবেষণা এবং পরিবেশ সংরক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের রাজ্য নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
মণিপুর
B
ত্রিপুরা
C
D
মেঘালয়
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের রাজ্য ৫টি হলো: আসাম, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং পশ্চিমবঙ্গ
মণিপুর বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্য নয়
বাংলাদেশের সীমান্ত সম্পর্কিত তথ্য:
-
ভারতের সাথে সীমান্তবর্তী জেলা: ৩০টি
-
মিয়ানমারের সাথে সীমান্তবর্তী জেলা: ৩টি
-
মোট সীমান্তবর্তী জেলা: ৩২টি
-
রাঙামাটি জেলা ভারত ও মিয়ানমার উভয় দেশের সীমান্তবর্তী
0
Updated: 1 month ago
ঢাকা থেকে পূর্বদিকে অবস্থিত একটি স্থানের সাথে দ্রাঘিমার পার্থক্য ৪৫°। ঢাকার সময় মধ্যাহ্ন ১২:০০ টা হলে ঐ স্থানটির স্থানীয় সময় হবে-
Created: 2 weeks ago
A
সকাল ০৯:০০ টা
B
বিকাল ০৩:০০ টা
C
সন্ধ্যা ০৬:০০ টা
D
রাত ০৯:০০ টা
পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে প্রতিটি দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী সময়ের পার্থক্য সৃষ্টি হয়। প্রতি ১° দ্রাঘিমার জন্য সময়ের ব্যবধান হয় ৪ মিনিট। অর্থাৎ পৃথিবী একবার সম্পূর্ণ ঘূর্ণন (৩৬০°) সম্পন্ন করতে ২৪ ঘণ্টা সময় নেয়। সুতরাং ৩৬০° ÷ ২৪ ঘণ্টা = প্রতি ১৫° দ্রাঘিমার ব্যবধানে ১ ঘণ্টা সময় পার্থক্য হয়। এই নিয়ম অনুযায়ী কোনো স্থানের দ্রাঘিমার অবস্থান জানলে সহজেই সেই স্থানের সময় নির্ধারণ করা যায়।
-
প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্য ৪ মিনিট সময়ের পার্থক্য ঘটে।
-
উদাহরণস্বরূপ, ৪৫° দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য হবে ৪৫×৪ = ১৮০ মিনিট বা ৩ ঘণ্টা।
-
যেহেতু পূর্ব দিকে গেলে সময় বৃদ্ধি পায়, তাই যদি ঢাকায় সময় দুপুর ১২টা হয়, তবে ঐ স্থানটি যদি ৪৫° পূর্বে অবস্থিত হয়, সেখানে সময় হবে বিকেল ৩টা।
-
বিপরীতে, পশ্চিমে গেলে সময় কমে, কারণ পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরে, ফলে পশ্চিমের অঞ্চলগুলো সূর্যকে পরে দেখে।
আন্তর্জাতিক সময় নির্ধারণের মূলভিত্তি হলো গ্রিনিচ মান সময় (GMT)। এটি পৃথিবীর সময় পরিমাপের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
গ্রিনিচ মানমন্দির যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরে অবস্থিত।
-
এই মানমন্দিরের ওপর দিয়েই মূল মধ্যরেখা বা শূন্য ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখা (Prime Meridian) অতিক্রম করেছে।
-
১৮৮৪ সালের ১ নভেম্বর, আন্তর্জাতিক সময় নির্ধারণের জন্য জিএমটি (Greenwich Mean Time) কে মান সময় হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
-
গ্রিনিচের সময়কে ভিত্তি করে পৃথিবীকে ২৪টি টাইম জোনে ভাগ করা হয়েছে, যাতে প্রতিটি জোনের সময় এক ঘণ্টা করে পার্থক্য থাকে।
-
গ্রিনিচের পূর্বে অবস্থিত স্থানের সময় গ্রিনিচের সময়ের থেকে এগিয়ে থাকে, কারণ পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বে ঘূর্ণন করে।
-
গ্রিনিচের পশ্চিমের স্থানের সময় পিছিয়ে থাকে, অর্থাৎ তারা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত পরে দেখে।
-
প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময় পরিবর্তিত হয় ৪ মিনিট করে, যা থেকে যেকোনো স্থানের সময় নির্ণয় করা সম্ভব।
-
যেমন, ঢাকা (৯০° পূ.) এবং লন্ডন (০°) এর মধ্যে পার্থক্য ৯০°, তাই সময়ের ব্যবধান হবে ৯০×৪ = ৩৬০ মিনিট বা ৬ ঘণ্টা। অর্থাৎ, যখন লন্ডনে সকাল ৬টা, তখন ঢাকায় দুপুর ১২টা।
-
এই নিয়ম অনুযায়ী পশ্চিমে গেলে সময় কমে আর পূর্বে গেলে সময় বাড়ে।
এভাবে দ্রাঘিমারেখা ও সময়ের সম্পর্কের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো স্থানের স্থানীয় সময় নির্ধারণ করা যায়, যা আন্তর্জাতিক টাইম জোন ব্যবস্থা গঠনের মূল নীতিকে প্রতিষ্ঠা করেছে।
0
Updated: 2 weeks ago