বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের অধিবেশন কে আহ্বান করেন?
A
প্রধানমন্ত্রী
B
রাষ্ট্রপতি
C
স্পিকার
D
প্রধান বিচারপতি
উত্তরের বিবরণ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী:
-
সংবিধানের ধারা ৭২(১) অনুযায়ী জাতীয় সংসদের অধিবেশন ডাকেন রাষ্ট্রপতি।
-
তবে এই অধিবেশন আহ্বানের কাজটি রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর লিখিত পরামর্শ অনুযায়ী সম্পাদন করেন।
-
নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন এবং প্রতি নতুন বছরের শুরুতে রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ প্রদান করেন।
-
রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর সংসদ সদস্যদের মধ্যে আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়।
-
প্রয়োজনীয় সময়ে রাষ্ট্রপতি সংসদে বাণী পাঠাতে পারেন।
-
তিনি সংসদ মুলতবি ঘোষণা করার ক্ষমতা রাখেন এবং প্রধানমন্ত্রীর লিখিত পরামর্শক্রমে সংসদ ভঙ্গের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
-
সংবিধানে বর্ণিত বিশেষ পরিস্থিতিতে যেমন রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের প্রক্রিয়ায় স্পিকার সংসদ আহ্বান করার ক্ষমতা পান।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪।
-
সংসদীয় রীতিনীতি মেনে প্রতি বছর রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন।
-
২০২৪ সালের প্রথম সংসদ অধিবেশনও রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৭২(১) ধারার অধীনে আহ্বান করেন।
-
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের নেতা, এবং মাননীয় স্পিকার সংসদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 3 months ago
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেন কে?
Created: 4 weeks ago
A
রাষ্ট্রপতি
B
স্পীকার
C
চীফ হুইপ
D
প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২(১) নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ভূমিকা জাতীয় সংসদের কার্যক্রমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সংসদের অধিবেশন আহ্বান, স্থগিত এবং ভঙ্গ করার ক্ষমতা রাখেন, তবে এসব দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর লিখিত পরামর্শ অনুসরণ করতে হয়।
-
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও ভূমিকা
-
তিনি জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান, স্থগিত ও ভঙ্গ করেন।
-
এসব কার্য সম্পাদনের সময় প্রধানমন্ত্রীর লিখিত পরামর্শ মেনে চলতে হয়।
-
নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন ও নতুন বছরের শুরুতে রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ প্রদান করেন।
-
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সংসদে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
-
প্রয়োজনে তিনি সংসদে বার্তা বা বাণী পাঠাতে পারেন।
-
রাষ্ট্রপতি সংসদ মুলতবি রাখতে পারেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে সংসদ ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতাও রাখেন।
-
-
অন্য পদাধিকারীদের দায়িত্ব
-
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
মাননীয় স্পিকার সংসদের সভাপতি হিসেবে কার্য সম্পাদন করেন।
-
চিফ হুইপ সংসদ সদস্যদের মধ্যে সমন্বয়ের কাজ সম্পাদন করেন।
-
0
Updated: 4 weeks ago
সংসদ-কক্ষের সামনের দিকের আসনগুলোকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
বিরোধী বেঞ্চ
B
ট্রেজারি বেঞ্চ
C
ব্যাকবেঞ্চার
D
মেম্বার বেঞ্চ
সংসদে আসন ব্যবস্থা:
-
ট্রেজারি বেঞ্চ (Treasury Bench / Front Bench):
-
সংসদ-কক্ষের সামনের দিকের আসনগুলোকে ট্রেজারি বেঞ্চ বলা হয়।
-
সরকারি দলের মন্ত্রী ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা এখানে বসেন।
-
স্পীকারের আসনের ডানদিকে থাকে ট্রেজারি বেঞ্চ।
-
এটি ‘ফ্রন্ট বেঞ্চ’ হিসেবেও পরিচিত।
-
-
বিরোধী দলের সামনের আসন:
-
স্পীকারের আসনের বিপরীত দিকে বিরোধী দলের নেতা, উপনেতা, হুইপ ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বসেন।
-
-
ব্যাকবেঞ্চার (Backbencher):
-
সরকারি বা বিরোধী দলের সদস্য যারা গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই, তারা পেছনের সারিতে বসেন।
-
সরকারি দলের ব্যাকবেঞ্চার মন্ত্রী নয়।
-
বিরোধী দলের ব্যাকবেঞ্চারও নেতৃস্থানীয় নয়।
-
সারসংক্ষেপ:
ট্রেজারি বেঞ্চ হলো সরকারি দলের প্রধান নেতৃত্বের আসন, বিরোধী দলের নেতা সামনের সারির বিপরীত পাশে বসেন, আর গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকা সদস্যরা পেছনের সারিতে (ব্যাকবেঞ্চে) অবস্থান করেন।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের মন্ত্রিসভার কমপক্ষে কত শতাংশ সদস্য সংসদ সদস্য হতে হবে?
Created: 2 months ago
A
১০%
B
৫০%
C
৯০%
D
৭৫%
মন্ত্রিসভার সদস্য নিয়োগ
-
মন্ত্রিসভার কমপক্ষে নয়-দশমাংশ সদস্যকে সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে নিয়োগ দিতে হয়।
-
সংবিধানের ৫৬(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রীদের মধ্যে অন্তত ৯০% সংসদ সদস্য হতে হবে। অর্থাৎ, তাঁরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হবেন।
-
বাকি সর্বোচ্চ ১০% মন্ত্রী হতে পারেন এমন ব্যক্তি, যারা সরাসরি সংসদ সদস্য না হলেও সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য।
-
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 2 months ago