বাংলাদেশের নদীগুলোর মধ্যে সবেচেয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছে কোনটি?
A
ব্রহ্মপুত্র
B
পদ্মা
C
মেঘনা
D
যমুনা
উত্তরের বিবরণ
ব্রহ্মপুত্র নদ
ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তি দক্ষিণ-পশ্চিম হিমালয়ের তিব্বত অংশে অবস্থিত পবিত্র মানস সরোবর থেকে। এটি বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ নদীগুলোর মধ্যে একটি, যার বিস্তৃতি চীন (তিব্বত), ভারত এবং বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে।
তিব্বতের ভূমি অতিক্রম করে নদীটি ভারতের আসাম রাজ্যে প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এরপর দেওয়ানগঞ্জ (ময়মনসিংহ) অতিক্রম করে এটি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাঁক নেয় এবং ভৈরববাজারের দক্ষিণে গিয়ে মেঘনা নদীতে মিলিত হয়।
বাংলাদেশ অংশে প্রবেশের পর মেঘনার সঙ্গে মিলনের আগে নদীটি পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত। এই অংশে নদীটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭৭ কিলোমিটার। আর এর সামগ্রিক দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮৫০ কিলোমিটার, যা শুরু হয় তিব্বতের উৎপত্তিস্থল থেকে।
আসাম অঞ্চলে ব্রহ্মপুত্রকে স্থানীয়ভাবে দিহাঙ নামে ডাকা হয়। এর মোট অববাহিকা এলাকা প্রায় ৫,৮৩,০০০ বর্গকিলোমিটার, যার মধ্যে বাংলাদেশের অংশ ৪৭,০০০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। বাংলাদেশে এই নদীটি স্বাভাবিকভাবে বিনুনি (meandering) প্রকৃতির।
এই নদীর উল্লেখযোগ্য শাখানদী হলো বংশী ও শীতলক্ষ্যা, এবং প্রধান উপনদী হিসেবে রয়েছে ধরলা ও তিস্তা।
একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক পরিবর্তন ঘটে ১৭৮৭ সালের এক ভূমিকম্পে, যার ফলে নদীর তলদেশ উঠে আসে এবং ব্রহ্মপুত্রের মূল ধারার পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এতে একটি নতুন স্রোতধারা গঠিত হয়, যা আজকে যমুনা নদী নামে পরিচিত।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে সারা বছর নাব্য নদীপথের দৈর্ঘ্য কত?
Created: 3 months ago
A
৮,০০০ কিমি.
B
৫,২০০ কিমি.
C
১১,০০০ কিমি.
D
৮,৫০০ কিমি.
বাংলাদেশের নদী ও জলপথ সম্পর্কিত নিচের তথ্যটি নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল বই এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (BIWTA) তথ্যের ভিত্তিতে নতুনভাবে উপস্থাপন করা হলো:
বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল পাঠ্যপুস্তক ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রামের তথ্য অনুযায়ী, উপনদী ও শাখানদীসহ দেশের নদীগুলোর সম্মিলিত দৈর্ঘ্য প্রায় ২২,১৫৫ কিলোমিটার।
এর মধ্যে প্রায় ৮,৪০০ কিলোমিটার নদীপথ অভ্যন্তরীণ নাব্য জলপথ হিসেবে পরিচিত। এই নদীপথের প্রায় ৫,৪০০ কিলোমিটার সারা বছর নৌযান চলাচলের উপযোগী, আর বাকি ৩,০০০ কিলোমিটার কেবল বর্ষাকালে ব্যবহারযোগ্য থাকে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (BIWTA) তথ্যমতে, দেশে প্রায় ২৪,০০০ কিলোমিটার নদী, খাল এবং উপনদী রয়েছে, যা দেশের মোট ভূমির প্রায় ৭% অংশ জুড়ে বিস্তৃত। বর্ষাকালে এসব জলপথ পূর্ণতা পায় এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একটি বিস্তৃত নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। এই নেটওয়ার্কে বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৫,৯৬৮ কিলোমিটার জলপথ যান্ত্রিক নৌযানের চলাচলের উপযোগী থাকলেও, শুষ্ক মৌসুমে তা কমে প্রায় ৩,৮৬৫ কিলোমিটারে দাঁড়ায়।
বর্তমানে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাত দেশের মোট পণ্য পরিবহনের প্রায় ৫০% এবং যাত্রী পরিবহনের এক-চতুর্থাংশ পরিচালনা করে। সব দিক বিবেচনায়, প্রায় ৫,২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীপথকে কার্যকর অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচলের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হিসেবে ধরা যায়।
তথ্যসূত্র:
-
নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল পাঠ্যপুস্তক
-
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (এসএসসি প্রোগ্রাম)
-
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (BIWTA)

0
Updated: 3 months ago
গারো পাহাড় থেকে নিম্নের কোন নদীর উৎপত্তি?
Created: 4 weeks ago
A
সোমেশ্বরী
B
আত্রাই
C
নিতাই
D
বাঙালি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
সাধারণ জ্ঞান
নদ নদীর উৎপত্তিস্থল
নদী সম্পর্কিত তথ্য
বাংলাদেশের পাহাড়
গারো পাহাড়
-
বাংলাদেশের বৃহত্তম ও সর্বোচ্চ পাহাড়।
-
অবস্থান: উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ, পূর্ব-পশ্চিম বরাবর বিস্তৃত।
-
পাদদেশে অবস্থিত জেলা: ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ।
-
মোট আয়তন: প্রায় ৮,১৬৭ বর্গকিমি।
-
সর্বোচ্চ শৃঙ্গ: নকরেক (ভারত অংশে)।
-
উচ্চতা: ৪,৬৫২ ফুট ≈ ১,৪০০ মিটার।
-
প্রধান শহর: তুরা।
-
প্রধান নদী: সোমেশ্বরী/সিমসাং নদী।
সোমেশ্বরী/সিমসাং নদী
-
উৎপত্তি: ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় থেকে।
-
প্রধান ঝর্ণাধারা: বিঞ্চুরীছড়া, বাঙাছড়া; পশ্চিম দিক থেকে রমফা নদী এর স্রোতধারা যুক্ত।
-
বাংলাদেশের প্রবেশ: নেত্রকোণার দুর্গাপুরে।
-
মোড়ল নদীতে মিলন: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে বাউলাই নদী।
-
প্রাচীন নাম: সিমসাং।
অন্যান্য নদী
-
নিতাই নদী: ভারতের পশ্চিম ও দক্ষিণ গারো পাহাড় থেকে উৎপন্ন, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা দিয়ে প্রবাহিত।
-
বাঙালি নদী: উৎপত্তি নীলফামারী জেলার তিস্তা নদী, পরে গাইবান্ধা ও বগুড়া দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাঙালি নাম ধারণ।

0
Updated: 4 weeks ago
যমুনা নদী কোথায় পতিত হয়েছে?
Created: 3 months ago
A
পদ্মায়
B
বঙ্গোপসাগরে
C
ব্রহ্মপুত্রে
D
মেঘনায়
যমুনা নদী
-
যমুনা নদী বাংলাদেশের প্রধান তিন নদীর অন্যতম।
-
এটি ব্রহ্মপুত্র নদীর প্রধান শাখা হিসেবে পরিচিত।
-
১৭৮২ থেকে ১৭৮৭ সালের মধ্যে সংঘটিত একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প ও বিধ্বংসী বন্যার কারণে ব্রহ্মপুত্রের প্রাচীন গতিপথ বদলে যায় এবং এর ফলস্বরূপ বর্তমান যমুনা নদীর সৃষ্টি ঘটে।
-
বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭৬ কিলোমিটার, যার মধ্যে যমুনা নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ২০৫ কিলোমিটার।
-
নদীর প্রশস্ততা ৩ থেকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভিন্ন, তবে গড় প্রশস্ততা প্রায় ১০ কিলোমিটার।
-
যমুনা নদী গোয়ালন্দের কাছে পদ্মা নদীতে মিলিত হয়।
-
যমুনা নদী বয়ে যায় বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল (টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতি ও ভূঞাপুর), এবং গাইবান্ধা জেলা হয়ে।
-
নদীর প্রধান উপনদীগুলোর মধ্যে তিস্তা, ধরলা, করতোয়া, আত্রাই এবং সুবর্ণশ্রী উল্লেখযোগ্য; যার মধ্যে করতোয়া যমুনার সবচেয়ে বড় ও দীর্ঘতম উপনদী।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 3 months ago