‘চরিত্রহীন’ উপন্যাসের লেখক কে?
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
জীবনানন্দ দাশ
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তরের বিবরণ
‘চরিত্রহীন’ হলো শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যা বাংলা সাহিত্যে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এই উপন্যাসে সমাজের প্রচলিত প্রথার বাইরে নারী–পুরুষের সম্পর্ক ও ভালোবাসার জটিলতা গভীরভাবে ফুটে উঠেছে। নামের মধ্যেই নিহিত আছে এর মূল বক্তব্য— সমাজ যাকে চরিত্রহীন বলে, লেখক সেই চরিত্রগুলির অন্তর্লোক উন্মোচন করেছেন।
‘চরিত্রহীন’ উপন্যাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত এই উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৭ সালে।
-
এর মূল বিষয়বস্তু হলো প্রথা বহির্ভূত প্রেম ও নারী–পুরুষের সম্পর্ক।
-
গল্পে চারটি নারী চরিত্র আছে, যার মধ্যে দুটি প্রধান চরিত্র হলো সাবিত্রী ও কিরণময়ী।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে তথ্য:
-
জন্ম: ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, হুগলি জেলার দেবানন্দপুরে।
-
প্রথম উপন্যাস: বড়দিদি।
-
প্রথম প্রকাশিত গল্প: মন্দির, যা তাঁকে ১৯০৩ সালে কুন্তলীন সাহিত্য পুরস্কার এনে দেয়।
-
তাঁর রাজনৈতিক উপন্যাস ‘পথের দাবী’ (১৯২৬) ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল।
প্রধান রচিত উপন্যাসসমূহ:
-
দেনা-পাওনা
-
বড়দিদি
-
বিরাজবৌ
-
পণ্ডিতমশাই
-
পরিণীতা
-
চন্দ্রনাথ
-
দেবদাস
-
চরিত্রহীন
-
গৃহদাহ
-
পথের দাবী
-
শেষ প্রশ্ন
-
শেষের পরিচয় ইত্যাদি
0
Updated: 1 month ago
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিত নন কে?
Created: 2 months ago
A
চণ্ডীচরণ মুনশী
B
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
C
ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
D
তারিণীচরণ মিত্র
✦ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ
প্রতিষ্ঠা:
-
লর্ড ওয়েলেসলী, ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন।
ভাষা বিভাগ:
-
বাংলাসহ ভারতের বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা ও প্রসারের জন্য প্রতিষ্ঠিত।
-
উইলিয়ম কেরীকে স্থানীয় ভাষা বিভাগের প্রধান নিয়োগ করা হয়।
-
১৮০১ সালের মে মাসে উইলিয়ম কেরী বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হন।
-
১৮০৫ সালের মধ্যে কলেজে মোট ১২টি অনুষদ খোলা হয়।
বাংলা সাহিত্যে অবদান:
-
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা গদ্যের প্রাতিষ্ঠানিক বিকাশ ঘটে।
-
এখানে পণ্ডিত ও অনুবাদকরা বাংলা ভাষায় পাঠ্যপুস্তক, অনুবাদ ও মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন।
-
বাংলা গদ্যের আদিরূপ গড়ে ওঠে।
প্রধান পণ্ডিতগণ:
-
উইলিয়ম কেরী
-
রামরাম বসু
-
গোলকনাথ শর্মা
-
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
-
তারিণীচরণ মিত্র
-
রাজীবলочন
-
চণ্ডীচরণ মুনশী
-
হরপ্রসাদ রায় প্রমুখ
উৎস:
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস — মাহবুবুল আলম
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা — ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 2 months ago
"এসো যুগ-সারথি নিঃশঙ্ক নির্ভয়।
এসো চির-সুন্দর অভেদ অসংশয়।" - কবিতাংশটুকুর রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
আল মাহমুদ
B
সুকান্ত ভট্টাচার্য
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
ফররুখ আহমদ
• স্বরসন্ধির নিয়ম (ও-কারের রূপান্তর):
বাংলা ভাষায় দুটি স্বরের সংযোগে বিশেষ ধ্বনিগত পরিবর্তন ঘটে। সাধারণভাবে, প্রথম পদের শেষ অ/আ ধ্বনি এবং দ্বিতীয় পদের প্রথম উ/ঊ ধ্বনির সংযোগে ও-কার (ও-ধ্বনি) তৈরি হয়।
নিয়ম ও উদাহরণ:
-
অ + উ = ও
-
সর্ব + উচ্চ → সর্বোচ্চ
-
সূর্য + উদয় → সূর্যোদয়
-
দীর্ঘ + উচ্চারণ → দীর্ঘোচ্চারণ
-
প্রশ্ন + উত্তর → প্রশ্নোত্তর
-
অ + ঊ = ও
-
নব + ঊঢ়া → নবোঢ়া
-
সর্ব + ঊর্ধ্ব → সর্বোর্ধ্ব
-
আ + উ = ও
-
যথা + উচিত → যথোচিত
-
কথা + উপকথন → কথোপকথন
-
যথা + উপযুক্ত → যথোপযুক্ত
-
আ + ঊ = ও
-
গঙ্গা + ঊর্মি → গঙ্গোর্মি
-
মহা + ঊর্মি → মহোর্মি
-
মহা + ঊর্ধ্ব → মহোর্ধ্ব
সংক্ষেপে: প্রথম পদের অ/আ + দ্বিতীয় পদের উ/ঊ = ও-কার।
এটি বাংলা শব্দসংযোগে স্বরসন্ধির অন্যতম নিয়ম।
0
Updated: 1 month ago
’শনিবারের চিঠি’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
নীরদ চন্দ্র চৌধুরী
C
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
রামানন্দ চট্টপাধ্যায়
‘শনিবারের চিঠি’ ছিল একটি ব্যঙ্গাত্মক ধাঁচের সাহিত্যিক পত্রিকা, যা প্রথমে সাপ্তাহিক পরে মাসিক আকারে প্রকাশিত হয়। হাস্য-বিদ্রূপের মাধ্যমে সমসাময়িক সাহিত্যচর্চাকে সমালোচনা করাই এর মূল উদ্দেশ্য ছিল।
-
পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৪ সালে।
-
১৯৩০-৪০ এর দশকে এটি কলকাতাকেন্দ্রিক বাংলা সাহিত্যজগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
-
এই পত্রিকার সঙ্গে কল্লোল গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব ছিল আক্রমণাত্মক, তবে তৎকালীন সাহিত্যে এটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল।
-
পত্রিকার প্রাণপুরুষ ছিলেন সজনীকান্ত দাস। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রকাশনা ও সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
-
পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন যোগানন্দ দাস।
-
নীরদ চন্দ্র চৌধুরী-ও একসময় সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
শনিবারের চিঠিতে প্রকাশিত অধিকাংশ রচনা বেনামে প্রকাশিত হয়েছিল।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago