‘সবুজপত্র’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক কে ছিলেন?
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
প্রমথ চৌধুরী
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
শামসুর রহমান
উত্তরের বিবরণ
‘সবুজপত্র’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন প্রমথ
চৌধুরী।
• ‘সবুজপত্র’ পত্রিকা:
- প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় ১৯১৪ সালে মাসিক 'সবুজপত্র'
পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়।
- বাংলা বৈশাখ ১৩২১ বঙ্গাব্দে পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয়।
- বাংলা গদ্যরীতির বিকাশে এই পত্রিকার গুরুত্ব অপরিসীম।
- সাধু গদ্যরীতির বদলে চলিত গদ্যরীতির ব্যবহার এই পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করে।
- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেও এই পত্রিকায় লেখার সুবাদে চলিত গদ্যরীতির
স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব এবং পরে তা চর্চা করেন।
- সাহিত্য জগতে এই পত্রিকা 'সবুজপত্র গোষ্ঠী' তৈরিতে সক্ষম হয়।

0
Updated: 11 hours ago
কোন সাহিত্যিক বাংলায় টিএস এলিয়টের কবিতা প্রথম অনুবাদ করেন?
Created: 3 weeks ago
A
বুদ্ধদেব বসু
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
বিষ্ণু দে
D
প্রেমেন্দ্র মিত্র
বাখ্যা:
-
প্রথমবার বাংলায় টিএস ইলিয়টের কবিতা অনুবাদ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
-
‘তীর্থযাত্রী’ হলো টিএস ইলিয়টের The Journey of the Magi কবিতার বাংলা অনুবাদ। রবীন্দ্রনাথ এটি তাঁর ‘পুনশ্চ’ কাব্যগ্রন্থে সংকলন করেন, যা প্রকাশিত হয় ১৯৩২ সালে।
-
পরবর্তীতে, বিষ্ণু দে ১৯৫০ সালে Eliot-er Kobita নামে বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
-
কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক।
-
জন্ম: ১৮৬১ সালের ৭ মে, কলকাতা, জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবার।
-
প্রথম এশিয়ার নোবেল বিজয়ী (১৯১৩) এবং দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুর্দশ সন্তান।
-
বিবাহ: ১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে।
-
১৯১৫ সালে ইংরেজি ‘নাইট’ উপাধি প্রাপ্ত, ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের কারণে ফেরত দেয়া।
-
মৃত্যু: ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট, জোড়াসাঁকোর নিজ বাড়িতে।
রচনাবলি:
-
মানসী, সোনার তরী, কল্পনা, ক্ষণিকা, গীতাঞ্জলী, পুনশ্চ, পত্রপুট, সেঁজুতি, শেষলেখা ইত্যাদি।
সুতরাং, তীর্থযাত্রী হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাধ্যমে বাংলায় প্রথমবার টিএস ইলিয়টের কবিতার অনুবাদ।

0
Updated: 3 weeks ago
মধ্যযুগের সাহিত্যধারা কেমন ছিল?
Created: 1 week ago
A
গদ্যনির্ভর
B
ধর্মনির্ভর
C
কল্পনানির্ভর
D
রূপকথানির্ভর
মধ্যযুগ বাংলা সাহিত্যে ১২০১ থেকে ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্তকালকে বোঝায়। এই সময়ের সাহিত্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ধর্মকেন্দ্রিকতা, যেখানে মানবতার গুরুত্ব তুলনামূলকভাবে গৌণ।
মধ্যযুগের প্রধান সাহিত্যধারা এবং বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
বৈষ্ণব সাহিত্য
-
মঙ্গলকাব্য
-
শাক্তপদ
-
অনুবাদ সাহিত্য
-
নাথ সাহিত্য
-
জীবনী সাহিত্য বা চরিত সাহিত্য
-
লোক সাহিত্যধারা
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
-
বৈষ্ণব সাহিত্যধারা মধ্যযুগের সাহিত্যে পরিমাণ ও গুণের দিক থেকে সমৃদ্ধ।
-
লোক সাহিত্যধারা ব্যতিক্রমী, কারণ এতে ধর্ম বা দেব-দেবীর চেয়ে মানুষের গুরুত্ব বেশি, এবং মানবিক প্রণয় ও কামনাকে মূল বিবেচনা করা হয়েছে।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী কোন মঙ্গলকাব্য ধারার উল্লেখযোগ্য কবি?
Created: 2 weeks ago
A
ধর্ম মঙ্গল
B
চণ্ডীমঙ্গল
C
অন্নদামঙ্গল
D
মনসামঙ্গল
• মুকুন্দরাম চক্রবর্তী চণ্ডীমঙ্গল কাব্য ধারার কবি ছিলেন।
-
চণ্ডীমঙ্গল ধারার অন্যান্য কবি: মানিকদত্ত, দ্বিজ মাধব, দ্বিজরাম দেব, মুক্তরাম সেন।
অন্যদিকে:
-
মনসা মঙ্গল কাব্য ধারার কবি: কানাহরি দত্ত, নারায়ণদেব, বিজয়গুপ্ত, বিপ্রদাস পিপিলাই, দ্বিজ বংশীদাস, কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ।
-
ধর্মমঙ্গল ধারার কবি: ময়ূর ভট্ট, আদিরূপরাম, খেলারাম চক্রবর্তী, শ্যাম পণ্ডিত, ঘনরাম চক্রবর্তী, নরসিংহ বসু।
-
অন্নদা মঙ্গল ধারার কবি: ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা।

0
Updated: 2 weeks ago