‘মওলানা ভাসানী সেতু’ কোন নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে?
A
বুড়িগঙ্গা
B
তিস্তা
C
মহানন্দা
D
শীতলক্ষ্যা
উত্তরের বিবরণ
মওলানা ভাসানী সেতু: তিস্তা নদীর উপর এক নব নির্মিত স্থাপনা
তিস্তা নদীর উপর নির্মিত ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। এটি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ঘাট থেকে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী পর্যন্ত বিস্তৃত।
সেতুর প্রধান বৈশিষ্ট্য:
দৈর্ঘ্য: ১৪৯০ মিটার
প্রস্থ: ৯.৬০ মিটার
পিলার সংখ্যা: মোট ৩০টি
নির্মাণ ও অর্থায়ন:
সেতুটি সৌদি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় নির্মিত হয়েছে।
নির্মাণকাজের তত্ত্বাবধান করেছে এলজিইডি (Local Government Engineering Department)।
নির্মাণ করেছে একটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
মোট নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৮৮৫ কোটি টাকা।
উদ্বোধন:
সেতুটি ২০ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

0
Updated: 11 hours ago
ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য-
Created: 4 months ago
A
দু'দেশের নদীগুলোর নাব্যতা বৃদ্ধি
B
দু'দেশের নদীগুলোর পলিমাটি অপসারণ
C
বন্যা নিয়ন্ত্রণে দু দেশের মধ্যে সহযোগিতা
D
দু'দেশের নৌ-পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন
ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের প্রধান লক্ষ্য:
দু’দেশের নদীগুলোর নাব্যতা বৃদ্ধি করা।
যৌথ নদী কমিশন গঠনের পটভূমি ও কার্যক্রম:
১৯৭২ সালের মার্চ মাসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ও প্রজাতন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় একটি যৌথ ঘোষণা প্রদান করেন। এর মাধ্যমে দু’দেশের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে অভিন্ন নদীগুলোর ব্যাপক জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা, নাব্যতা রক্ষা এবং উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু হয়।
কমিশনের মূল দায়িত্বগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন; বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণের বিস্তারিত পরিকল্পনা করা।
-
প্রধান প্রধান নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং সেচ প্রকল্পের উপর সমীক্ষা পরিচালনা।
-
উভয় দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য পানি সম্পদের ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করা।
-
বাংলাদেশ ও ভারতের সংলগ্ন এলাকায় পাওয়ার গ্রিড সংযোজনের সম্ভাবনা যাচাই করা।
দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য:
দুই দেশ গঙ্গা সহ অন্যান্য অভিন্ন নদীগুলোর পানি প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য পারস্পরিক সহযোগিতায় কাজ করবে এবং নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে সমন্বিত চুক্তিতে পৌঁছাবে।
উৎস:
-
যৌথ নদী কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 4 months ago
বাংলাদেশের বৃহত্তম নদী কোনটি?
Created: 4 months ago
A
মেঘনা
B
পদ্মা
C
ব্রহ্মপুত্র
D
যমুনা
দেশে দীর্ঘতম নদী:
- দেশে বর্তমানে জীবন্ত নদ-নদীর সংখ্যা ১০০৮টি।
- দেশের দীর্ঘতম নদী পদ্মা।
- দেশের তিন বিভাগের ১২টি জেলায় প্রবাহিত এ নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৪১ কিলোমিটার।
পদ্মা নদী:
- ভারতের মধ্য হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে গঙ্গা নদীর উৎপত্তি।
- রাজশাহীর কাছে কুষ্টিয়ার উত্তর প্রান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
- তারপর গোয়ালন্দে যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
- এই মিলিত ধারা পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুরে মেঘনার সাথে মিলিত হয়েছে।
- অতঃপর তিন নদীর মিলিত স্রোত বঙ্গোপসাগরে ঢুকেছে।
- শাখা নদী: মধুমতী, আড়িয়াল খাঁ, ভৈরব, মাথাভাঙা, কুমার, কপোতাক্ষ, শিবসা, পশুর (বা পসুর) বড়াল প্রধান।
- উপনদী: মহানন্দা, ট্যাঙ্গন, পুনর্ভবা, নগর, কুলিক।
- পদ্মা-বিধৌত অঞ্চল - ৩৪,১৮৮ বর্গকি.মি.
মেঘনা নদী:
- মেঘনা বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রশস্ততম নদী।
- মেঘনার উৎপত্তি: আসামের লুসাই পাহাড় হতে বরাক নদী নামে।
- বাংলাদেশে প্রবেশ: সুরমা ও কুশিয়ারা নামে সিলেট জেলা দিয়ে ।
- সুরমা ও কুশিয়ারা মিলিত হয়েছে আজমিরীগঞ্জে এবং নামধারণ করেছে কালনী।
- কালনী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের মিলিত স্রোতের নাম: মেঘনা (ভৈরববাজার)।
- শাখানদী: ব্রহ্মপুত্র, গোমতী, শীতলক্ষা, ধলেশ্বরী, ডাকাতিয়া।
- বাংলাদেশে মেঘনা বিধৌত অঞ্চলের আয়তন প্রায় ২৯,৭৮৫ বর্গকিলোমিটার।
• দৈর্ঘের দিক থেকে বর্তমানে নবম দীর্ঘতম নদী- মেঘনা। তবে এটি এখনো দেশের প্রশস্ততম ও গভীরতম নদী।
সে হিসেবে- সঠিক উত্তর হবে — মেঘনা।
উল্লেখ্য,
- দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী ইছামতী নদী (দৈর্ঘ্য ৩৩৪ কি.মি.)।
- দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী সাঙ্গু বা শঙ্খ নদী (দৈর্ঘ্য ২৯৪ কি.মি.)।
- সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
- সবচেয়ে বেশি নদ-নদী রয়েছে ঢাকা বিভাগে, ২২২টি।
- সবচেয়ে বেশি নদী রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলায়, ৯৭টি।
‘বাংলাদেশ নদ-নদী: সংজ্ঞা ও সংখ্যাবিষয়ক বই’ অনুসারে,
- দেশে বর্তমানে নদ-নদীর সংখ্যা ১০০৮টি।
- দেশে নদীপথ রয়েছে: ২২ হাজার কি.মি.।
- দেশের ক্ষুদ্রতম নদী: গাঙ্গিনা নদী (দৈর্ঘ্য ০.০৩২ কি.মি.)।
- সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
উৎস: নদী রক্ষা কমিশন ওয়েবসাইট এবং ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখের প্রথম আলো প্রতিবেদন, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 4 months ago
বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ নদীর নাম কি?
Created: 4 months ago
A
মিসিসিপি-মিসৌরী
B
নীলনদ
C
শাত-ইল-আরব
D
আমাজন
বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ নদী হচ্ছে নীলনদ। এটি পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মিশরের মধ্য দিয়ে ভূমধ্যসাগরে গিয়ে পড়ে। এর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৬,৬৫০ কিলোমিটার।
অনেকেই মনে করেন আমাজন নদী সবচেয়ে বড়, কারণ এটি পানিপ্রবাহ (water volume) ও নদী অববাহিকার (basin area) দিক থেকে সবচেয়ে বিশাল। তবে দৈর্ঘ্যের বিচারে এখনও নীলনদকেই সবচেয়ে দীর্ঘ নদী হিসেবে ধরা হয়।
অন্য বিকল্পগুলো:
- আমাজন নদী: খুব বড় এবং পানি বহনের দিক থেকে শীর্ষে, কিন্তু দৈর্ঘ্যে কিছুটা কম।
- মিসিসিপি-মিসৌরী: যুক্তরাষ্ট্রের বড় নদী, তবে নীলনদ বা আমাজনের চেয়ে ছোট।
- শাত-ইল-আরব: এটি ইরাক ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের একটি ছোট নদী, দৈর্ঘ্যে মাত্র প্রায় ২০০ কিলোমিটার।
তাই প্রশ্ন অনুযায়ী সঠিক উত্তর: খ. নীলনদ।

0
Updated: 4 months ago