নিম্নের কোনটি নাগরিকের সামাজিক অধিকার হিসেবে বিবেচিত?
A
সরকারি চাকুরি
B
দায়মুক্তি
C
সম্পত্তি ভোগ
D
বিদেশে নিরাপত্তা লাভ
উত্তরের বিবরণ
• সামাজিক অধিকার:
- সমাজে
সুন্দরভাবে সুখ-শান্তিতে বসবাসের জন্য নাগরিকগণ যেসব অধিকার ভোগ করে, সেগুলোকে সামাজিক অধিকার ভোগ বলে।
যেমন -
→ জীবন রক্ষা,
→ মত প্রকাশ,
→ চলাফেরা,
→ বিনা বিচারে আটক না হওয়া,
→ সংঘবদ্ধ হওয়া,
→ সভা-সমিতি,
→ চুক্তি স্থাপন,
→ সম্পত্তি ভোগ,
→ আইনের চোখে সমতা লাভ,
→ শিক্ষা লাভ,
→ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা,
→ পরিবার গঠন,
→ নিজ-নিজ সংস্কৃতি ও ভাষা চর্চার অধিকার।
- সভ্য
জীবন-যাপনের জন্য এসব অধিকার নাগরিকের জন্য অপরিহার্য।

0
Updated: 12 hours ago
নিম্নোক্ত কোনটি নৈতিক অবধারণের ভিত্তি হিসেবে পরিচিত?
Created: 12 hours ago
A
রাজনৈতিক
B
সামাজিক
C
অর্থনৈতিক
D
পারিবারিক
নৈতিক অবধারণের ভিত্তি হল সামাজিক।
নৈতিকতা অবধারণ:
- নৈতিকতা কতগুলো নৈতিক অবধারণের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
- একে অনেকে মূল্যবোধক অবধারণ, আদর্শমূলক অবধারণও বলে থাকেন।
- নৈতিক অবধারণে আমরা নৈতিক আচরণ বা আচরণকারীর ওপর কোন নৈতিক গুণ, বাধ্যবাধকতা,
দায়িত্ব ইত্যাদি অথবা ইত্যাদির অভাব আরোপ করি।
- নৈতিক অবধারণের আর একটি বৈশিষ্ট্য এই যে, এ কিছু নীতি,
আদর্শ বা সদ্গুণের সঙ্গে যুক্ত।
• নৈতিক অবধারণের প্রকার:
- নৈতিক অবধারণ বিভিন্ন প্রকার হতে পারে।
- নৈতিক নীতিগুলো সাধারণ নৈতিক অবধারণ হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত।
- গুরুত্বপূর্ণ যে দু'ধরনের নৈতিক অবধারণ রয়েছে তাদেরকে বলা যেতে পারে: (১)
বাধ্যতামূলক নৈতিক অবধারণ ও (২) মূল্যবোধক নৈতিক অবধারণ।
• বাধ্যতামূলক অবধারণ বলতে বুঝায়, ঐসব অবধারণ
যাতে কোন বিশেষ কাজকে আমরা নৈতিকভাবে যথোচিত, অযথোচিত,
বাধ্যতামূলক, কর্তব্য ইত্যাদি বলে আখ্যায়িত করি; অথবা তা করা
উচিত কি অনুচিত তা বলি।
• নৈতিক মূল্যবোধক অবধারণে আমরা কোন কাজ সম্পর্কে কথা বলি না, বরং কোন
ব্যক্তি অথবা তার প্রেষণা, অভিপ্রায়, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি সম্পর্কে কথা বলি এবং আমরা যা
বলি তাতে যে শব্দগুলি ব্যবহার করি তা হচ্ছে নৈতিকভাবে ভাল-মন্দ, সৎ বা অসৎ গুণ
সম্পন্ন, দায়িত্বপূর্ণ, নিন্দাহ, সাধুসুলভ,
ঘৃণ্য ইত্যাদি।

0
Updated: 12 hours ago
বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে সুশাসনের বড় অন্তরায় নিম্নের কোনটি?
Created: 12 hours ago
A
প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব
B
দুর্নীতি
C
আমলাতন্ত্র
D
রাজনীতি
দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা (Failure
to Control Corruption):
- বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে সুশাসনের বড় অন্তরায় হলো দুর্নীতি।
- দুর্নীতির
রাহুগ্রাস এসব রাষ্ট্রের প্রাণশক্তিকে নিঃশেষ করে ফেলছে।
- দুর্নীতির
কারণে সম্পদের অপচয় হয়, বন্টনে অসমতা সৃষ্টি হয়
এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে।
- UNCAC-এর ভূমিকায় বলা হয়েছে যে,
"দুর্নীতি
সমাজ ও রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে। কারণ এর মাধ্যমে
ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নৈতিকতা বিনষ্ট হয়, ন্যায়বিচার ও সবার সমান
অধিকার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হুমকির মুখে পড়ে।"
- অধিকাংশ
রাষ্ট্রেই দুর্নীতি দমন কমিশন বা ব্যুরো নামক প্রতিষ্ঠান থাকলেও সেগুলো স্বাধীন ও
কর্মতৎপর নয়।

0
Updated: 12 hours ago
সুশাসনের ধারণার উত্থানের মূল কারণ হিসেবে নিচের কোনটি বিবেচিত হয়?
Created: 12 hours ago
A
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা
B
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে বিশ্বব্যাংকের ব্যর্থতা
C
বিশ্বব্যাপী মন্দা দূরীকরণে ব্যর্থতা
D
আফ্রিকা মহাদেশে বিশ্বব্যাংকের ব্যর্থতা
সুশাসন:
- সুশাসন
শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে Good
Governance।
- সুশাসন
(Good Governance) অর্থ হচ্ছে নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন।
- বিশ্বব্যাংকের
প্রেসিডেন্ট বারবার কোনাবল প্রথম সুশাসন (Good
Governance) শব্দটি ব্যবহার করেন।
- বিশেষত আফ্রিকা মহাদেশে বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ বারবার ব্যর্থ
হয়েছিল।
- কারণ
ছিল শুধু অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা নয়, বরং দুর্নীতি, অদক্ষতা, জবাবদিহিতার অভাব, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং দুর্বল প্রশাসনিক কাঠামো।
- সুশাসন
ধারণাটির উদ্ভাবক বিশ্বব্যাংক।
- বিশ্বব্যাংক
১৯৮৯ সালে প্রথম সুশাসন প্রত্যয়টি ব্যবহার করে।

0
Updated: 12 hours ago