নৈতিকতা সমাজে প্রতিষ্ঠিত কিছু মূল্যবোধ, আদর্শ ও নিয়মের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে। এগুলো প্রকাশ পায় নানা ধরনের নৈতিক অবধারণ বা নৈতিক ধারণার মাধ্যমে। নৈতিক অবধারণ শুধু কাজ বা আচরণ নিয়েই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর সাথে জড়িয়ে থাকে মানুষের গুণাবলি, দায়িত্ববোধ এবং আদর্শের মূল্যায়ন।
নৈতিক অবধারণ সম্পর্কে তথ্য:
-
নৈতিকতা মূলত কয়েকটি নৈতিক অবধারণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
-
একে অনেকে মূল্যবোধক অবধারণ বা আদর্শমূলক অবধারণ নামেও উল্লেখ করেন।
-
নৈতিক অবধারণে আমরা কোনো আচরণ বা আচরণকারীর ওপর নৈতিক গুণ, দায়িত্ব, বাধ্যবাধকতা কিংবা এগুলোর অভাব আরোপ করি।
-
এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো— এটি সর্বদা কিছু নীতি, আদর্শ বা সদ্গুণের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
নৈতিক অবধারণের প্রকার:
-
নৈতিক অবধারণ নানা ধরনের হতে পারে।
-
সাধারণভাবে নৈতিক নীতিগুলোকে নৈতিক অবধারণ হিসেবে ধরা হয়।
-
বিশেষভাবে নৈতিক অবধারণকে দু’টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়:
১. বাধ্যতামূলক নৈতিক অবধারণ
২. মূল্যবোধক নৈতিক অবধারণ
বাধ্যতামূলক নৈতিক অবধারণ:
-
এ ধরনের অবধারণে কোনো বিশেষ কাজকে আমরা নৈতিকভাবে যথোচিত বা অযথোচিত, কর্তব্য বা অ-কর্তব্য, বাধ্যতামূলক বা অনুচিত ইত্যাদি বলে চিহ্নিত করি।
-
অর্থাৎ, এটি মূলত কাজটি করা উচিত কি অনুচিত সে বিষয়টি নির্ধারণ করে।
মূল্যবোধক নৈতিক অবধারণ:
-
এখানে আলোকপাত করা হয় ব্যক্তির কাজের উপর নয়, বরং ব্যক্তি, তার অভিপ্রায়, প্রেষণা ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ইত্যাদির উপর।
-
এ ধরনের অবধারণ প্রকাশ করতে ব্যবহার করা হয় যেমন শব্দ: নৈতিকভাবে ভালো-মন্দ, সৎ-অসৎ, দায়িত্বপূর্ণ, সাধুসুলভ, নিন্দাহ, ঘৃণ্য ইত্যাদি।