পৃথিবীর বৃহত্তম বৃষ্টিপ্রধান অঞ্চল নিম্নের কোনটি?
A
চেরাপুঞ্জি-মাওসিনরাম
B
কঙ্গোবন
C
সাভানা
D
আমাজন
উত্তরের বিবরণ
আমাজন হলো বিশ্বের বৃহত্তম বৃষ্টিপ্রধান অঞ্চল, যা দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের নয়টি দেশে বিস্তৃত। এটি পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং নদী ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমাজন সম্পর্কে তথ্য:
-
অবস্থান: দক্ষিণ আমেরিকার ৯টি দেশে: ব্রাজিল, ইকুয়েডর, ভেনেজুয়েলা, সুরিনাম, পেরু, কলম্বিয়া, বলিভিয়া, গায়ানা এবং ফ্রেঞ্চ গায়ানা।
-
বেশিরভাগ অংশ (৬৪%) ব্রাজিলে অবস্থিত।
-
আমাজন নদী নীল নদের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী এবং দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম নদী।
0
Updated: 1 month ago
ভারতীয় কোন রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের কোনো সীমান্তবর্তী অঞ্চল নেই?
Created: 1 month ago
A
মিজোরাম
B
ত্রিপুরা
C
মণিপুর
D
আসাম
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কিছু রাজ্যের সীমান্ত সংযোগ রয়েছে, তবে সব রাজ্যের নয়। মণিপুর রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ কোনো সীমান্ত সংযোগ নেই।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সংযোগযুক্ত রাজ্যসমূহ:
-
পশ্চিমবঙ্গ
-
আসাম
-
মেঘালয়
-
ত্রিপুরা
-
মিজোরাম
সেভেন সিস্টার্সভুক্ত মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ ও নাগাল্যান্ড রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ কোনো সীমান্ত শেয়ার করে না।
0
Updated: 1 month ago
পৃথিবীর আহ্নিক গতি বলতে কী বোঝায়?
Created: 1 month ago
A
সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর আবর্তন
B
পৃথিবীর নিজ অক্ষে আবর্তন
C
চাঁদের চারপাশে পৃথিবীর আবর্তন
D
পৃথিবীর কক্ষপথ পরিবর্তন
পৃথিবীর আহ্নিক গতি বলতে বোঝায় পৃথিবীর নিজ অক্ষে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন। পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে প্রতি ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে বা প্রায় ২৪ ঘণ্টায় একবার সম্পূর্ণ আবর্তন করে। এই সময়কে সৌরদিন বলা হয় এবং এই আবর্তনকেই আহ্নিক গতি বা দৈনিক গতি বলা হয়। আহ্নিক গতির মূল কারণ হলো পৃথিবীর আবর্তন ও পৃথিবীর আকৃতি।
আহ্নিক গতির ফলাফল:
১. দিবা-রাত্রির সংঘটন: পৃথিবীর নিজ অক্ষে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তনের কারণে, আবর্তনরত অংশ যেখানে সূর্যের আলো পড়ে তা দিন হয় এবং অপর অংশে অন্ধকার থাকে, অর্থাৎ রাত।
২. জোয়ার-ভাটা: আহ্নিক গতির কারণে সমুদ্রে প্রতিদিন দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা সৃষ্টি হয়।
৩. বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি: ফেরেলের কোরিওলিস সূত্র অনুযায়ী আহ্নিক গতির ফলে বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোত উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বাঁকে প্রবাহিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
কোন ভূগোলবিদ প্রথম 'Geography' শব্দ ব্যবহার করেন?
Created: 1 month ago
A
অ্যারিস্টটল
B
ইরাটোসথেনিস
C
অধ্যাপক ম্যাকনি
D
কার্ল রিটার
ভূগোল এমন একটি বিদ্যা যা পৃথিবী ও মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক, প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সামাজিক পরিবেশের সমন্বিত বর্ণনা প্রদান করে। ভূগোল শব্দটি এসেছে ইংরেজি Geography শব্দ থেকে, যা পৃথিবী সম্পর্কিত জ্ঞানকে বোঝায়। ইতিহাসের বিভিন্ন ভূগোলবিদ ভিন্ন ভিন্নভাবে ভূগোলকে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
-
প্রাচীন গ্রিসের ভূগোলবিদ ইরাটোসথেনিস সর্বপ্রথম "Geography" শব্দটি ব্যবহার করেন।
-
Geo শব্দের অর্থ "ভূ" বা পৃথিবী এবং graphy শব্দের অর্থ "বর্ণনা"। সুতরাং Geography শব্দের অর্থ দাঁড়ায় "পৃথিবীর বর্ণনা"।
-
বৃটিশ ভূগোলবিদ অধ্যাপক ম্যাকনি (Professor E. A. Macnee) ভূগোলকে মানুষের আবাসভূমি হিসেবে পৃথিবীর আলোচনা বা বর্ণনা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, ভৌত ও সামাজিক পরিবেশে মানুষের কর্মকাণ্ড ও জীবনধারা নিয়ে যে বিষয় আলোচনা করে তাই ভূগোল।
-
বৃটিশ ভূগোলবিদ ডাডলি স্ট্যাম্প (Professor L. Dudley Stamp) বলেছেন, পৃথিবী ও এর অধিবাসীদের বর্ণনাই ভূগোল।
-
জার্মান ভূগোলবিদ কার্ল রিটার (Professor Carl Ritter) ভূগোলকে পৃথিবীর বিজ্ঞান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
-
মার্কিন ভূগোলবিদ রিচার্ড হার্টশোর্ন (Professor Richard Hartshorne) বলেন, পৃথিবীপৃষ্ঠের পরিবর্তনশীল বৈশিষ্ট্যের যুক্তিসংগত ও সুবিন্যস্ত বিবরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ই হলো ভূগোল।
অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে উল্লেখ করা যায় যে, ভূগোল মূলত দুই ভাগে বিভক্ত— ভৌত ভূগোল এবং মানব ভূগোল। ভৌত ভূগোল পৃথিবীর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য যেমন পাহাড়, নদী, জলবায়ু, মৃত্তিকা, সাগর ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে। অন্যদিকে মানব ভূগোল মানুষের সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, বসতি, রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং পরিবেশের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করে। আধুনিক কালে ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হলো ভূ-তথ্য ব্যবস্থা (GIS) এবং রিমোট সেন্সিং, যা পৃথিবীর মানচিত্র অঙ্কন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন পরিকল্পনায় বিশেষ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 1 month ago