নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে বছরে গড়ে কী পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়?
A
১২০০-২৫০০ মি.মি.
B
১০০০-২১০০ মি.মি.
C
১৭০০-২৫০০ মি.মি.
D
১৩০০-২৩০০ মি.মি.
উত্তরের বিবরণ
• নিরক্ষীয় জলবায়ু:
- পৃথিবীর
জলবায়ুর পাথর্ক্যরে জন্য সূর্যের অবস্থান একটি বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। কারণ
তাপমাত্রা প্রাপ্তির ধরনের উপর আবহাওয়া ও জলবায়ুর প্রকৃতির পার্থক্য তৈরি হয়।
নিরক্ষরেখায় অবস্থানকারী দেশসমূহ এবং এই নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অবস্থানরত দেশসমূহে
নিরক্ষীয় জলবায়ু বিরাজমান বলে একে বলা হয় নিরক্ষীয় জলবায়ু।
• নিরক্ষীয়
জলবায়ু অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য:
- নিরক্ষরেখার
নিকটবর্তী দেশগুলোতে সূর্য প্রায় সারাবছরই লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে এখানে
গ্রীষ্মঋতুর প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।
- এই
অঞ্চলে উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুর জন্য দিন-রাতের মধ্যে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তনশীল
থাকে। শীতের প্রকোপ একদম নেই বললেই চলে।
• নিরক্ষীয়
জলবায়ু অঞ্চলের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ:
→ সারাবছর
সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয়ার জন্য এই অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেশি থাকে। দিনের
ব্যাপ্তি সারা বছর একই থাকে এবং বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২১°- ২৭° সে.। স্থলভাগের বার্ষিক
সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ৫০ সেলসিয়াসের কম। অত্যধিক সূর্য তাপ ও
আর্দ্রতা এবং সামান্য মেঘাচ্ছন্নতার জন্য তাপমাত্রার পার্থক্য কম।
→ অধিক
সূর্য তাপ ও জলভাগের পরিমাণ বেশি হওয়ায় বাষ্পীভবনের মাত্রাও বেশি। এই সকল এলাকায়
পরিচলন বৃষ্টিপাত বেশি হয় এবং বছরে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৭০০-২৫০০ মিলিমিটার।
→ এ
অঞ্চলের মৃত্তিকা কৃষিকাজের জন্য খুব উপকারী হলেও এখানে মাটি ক্ষয় হয়। অতিরিক্ত
তাপ ও বৃষ্টিপাতই এই মাটি ক্ষয়ের কারণ।

0
Updated: 12 hours ago
মেঘনা নদীর উৎপত্তিস্থল কোনটি?
Created: 6 days ago
A
আরাকান পাহাড়
B
সিকিমের পার্বত্য অঞ্চল
C
আসামের লুসাই পাহাড়
D
মানস সরোবর হ্রদ
বাংলাদেশের প্রধান নদীগুলোর উৎপত্তিস্থল দেশের ভূগোল এবং নদী ব্যবস্থা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
-
পদ্মা নদী: উৎপত্তিস্থল গঙ্গোত্রী হিমবাহ, হিমালয় পর্বতে গঙ্গা নদী থেকে।
-
মেঘনা নদী: উৎপত্তিস্থল আসামের লুসাই পাহাড়।
-
যমুনা নদী: উৎপত্তিস্থল মানস সরোবর হ্রদ, কৈলাশ শৃঙ্গ, যা ব্রহ্মপুত্র নদীর অংশ।
-
কর্ণফুলী নদী: উৎপত্তিস্থল মিজোরামের লুসাই পাহাড়।
-
কর্তোয়া নদী: উৎপত্তিস্থল সিকিমের পার্বত্য অঞ্চল।
-
সাঙ্গু নদী: উৎপত্তিস্থল আরাকান পাহাড়, মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমানায়।
-
হালদা নদী: উৎপত্তিস্থল খাগড়াছড়ির বাদানাতলী পর্বতশৃঙ্গ।
-
মহানন্দা নদী: উৎপত্তিস্থল মহালড্রীম, দার্জিলিং।
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 6 days ago
বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে কোন দেশ অবস্থিত?
Created: 6 days ago
A
বাংলাদেশ
B
ভারত
C
শ্রীলঙ্কা
D
ইন্দোনেশিয়া
বঙ্গোপসাগর হলো বিশ্বের বৃহত্তম উপসাগর এবং এশিয়ার কয়েকটি দেশের ভৌগোলিক অবস্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
বেষ্টিত দেশসমূহ:
-
উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিমে: ভারত
-
পূর্বে: মায়ানমার
-
উত্তরে: বাংলাদেশ
-
দক্ষিণ-পশ্চিমে: শ্রীলঙ্কা
-
দক্ষিণ-পূর্বে: ইন্দোনেশিয়া
-
-
ভূপৃষ্ঠের আয়তন: ২,৬০০,০০০ বর্গকিলোমিটার
-
দৈর্ঘ্য: ২,০৯০ কিলোমিটার
-
প্রস্থ: ১,৬১০ কিলোমিটার
-
গড় গভীরতা: ২,৬০০ মিটার
-
সর্বোচ্চ গভীরতা: ৪,৬৯৪ মিটার
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 6 days ago
পারস্য উপসাগর কোন মহাসাগরের অংশ?
Created: 6 days ago
A
দক্ষিণ মহাসাগর
B
ভারত মহাসাগর
C
আটলান্টিক মহাসাগর
D
প্রশান্ত মহাসাগর
পারস্য উপসাগর হলো ভারত মহাসাগরের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপসাগর, যা পশ্চিম এশিয়ায় অবস্থিত এবং বাণিজ্য ও ভূগোলিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
-
পারস্য উপসাগর ভারত মহাসাগরের অংশ এবং ওমান উপসাগরের একটি সম্প্রসারিত অংশ। এটি পূর্বে হরমুজ প্রণালীর মাধ্যমে ভারত মহাসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত।
-
পারস্য উপসাগরকে আরব উপসাগর বা ইরান উপসাগরও বলা হয়।
-
এর মোট আয়তন প্রায় ২,৫১,০০০ বর্গকিলোমিটার।
-
সর্বোচ্চ গভীরতা প্রায় ৯০ মিটার, এবং গড় গভীরতা প্রায় ৫০ মিটার।
-
পারস্য উপসাগরকে বিভিন্ন দেশ দ্বারা বেষ্টিত করা হয়েছে:
-
উত্তরে: ইরান
-
উত্তর-পশ্চিমে: বাহরাইন, ইরাক, কুয়েত
-
দক্ষিণে: কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন
-
-
উপকূলরেখার দৈর্ঘ্য প্রায় ৫,১১৭ কিলোমিটার, যার মধ্যে ইরানের উপকূলরেখা ১,৫৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ।
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 6 days ago