নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে বছরে গড়ে কী পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়?
A
১২০০-২৫০০ মি.মি.
B
১০০০-২১০০ মি.মি.
C
১৭০০-২৫০০ মি.মি.
D
১৩০০-২৩০০ মি.মি.
উত্তরের বিবরণ
নিরক্ষীয় জলবায়ু হলো সেই ধরনের জলবায়ু যা পৃথিবীর নিরক্ষরেখার নিকটে অবস্থানরত দেশসমূহে বিরাজমান। সূর্যের অবস্থান এখানে প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে, যা তাপমাত্রা, আবহাওয়া এবং জলবায়ুর প্রকৃতি নির্ধারণ করে।
নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য:
-
নিরক্ষরেখার নিকটবর্তী দেশগুলোতে সূর্য প্রায় সারাবছর লম্বভাবে কিরণ প্রদান করে, ফলে এখানে গ্রীষ্মঋতুর প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।
-
উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুর কারণে দিন-রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তনশীল থাকে। শীতের প্রকোপ নেই বললেই চলে।
প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
সারাবছর সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয়, তাই গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেশি থাকে।
-
দিনের দৈর্ঘ্য সারা বছর প্রায় একই থাকে।
-
বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২১°–২৭° সে.
-
স্থলভাগের বার্ষিক সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ৫০° সে.-এর কম। অতিরিক্ত সূর্য তাপ, আর্দ্রতা ও সামান্য মেঘাচ্ছন্নতার কারণে তাপমাত্রার পার্থক্য কম।
-
সূর্য তাপ ও জলভাগের প্রাচুর্যের কারণে বাষ্পীভবনের মাত্রা বেশি, ফলে এখানে পরিচলন বৃষ্টিপাত বেশি হয়; বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১৭০০–২৫০০ মিমি।
-
মৃত্তিকা কৃষিকাজের জন্য উপকারী, তবে অতিরিক্ত তাপ ও বৃষ্টিপাতের কারণে মাটি ক্ষয় হয়।
0
Updated: 1 month ago
আয়তনের দিক থেকে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের বৃহত্তম দেশ নিম্নের কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কলম্বিয়া
B
উরুগুয়ে
C
পেরু
D
ব্রাজিল
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ হলো একটি স্বাধীন দেশসমৃদ্ধ মহাদেশ, যা ১২টি দেশে বিভক্ত। এখানে রাজনৈতিক, ভাষাগত ও আয়তন ও জনসংখ্যার বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়।
দক্ষিণ আমেরিকা সম্পর্কে তথ্য:
-
মোট দেশ: ১২টি, যা স্বাধীন এবং জাতিসংঘভুক্ত।
-
দেশসমূহ: ব্রাজিল, কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা, পেরু, ভেনেজুয়েলা, চিলি, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে, গায়ানা, সুরিনাম।
-
আয়তনে বৃহত্তম দেশ: ব্রাজিল।
-
জনসংখ্যায় বৃহত্তম দেশ: ব্রাজিল।
-
ভাষা: ব্রাজিল, গায়ানা এবং সুরিনাম ছাড়া সমস্ত দেশে স্প্যানিশ সরকারী ভাষা।
-
ব্রাজিলের সরকারী ভাষা হলো পর্তুগিজ।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের কোন নদী প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত?
Created: 2 months ago
A
কর্ণফুলী
B
হালদা
C
সাঙ্গু
D
মাতামুহুরী
ভূগোল
নদী গবেষণা ইনস্টিটীউট
নদী সম্পর্কিত তথ্য
বিখ্যাত নদ-নদী খাল ও সমুদ্র বন্দর
ভূগোল ও পরিবেশ
ভূগোলের ধারণা
প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র:
-
বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র: হালদা নদী।
-
উৎপত্তি: খাগড়াছড়ির বাদনাতলী পর্বতশৃঙ্গ; কর্ণফুলীর উপনদী।
-
অবস্থান: চট্টগ্রাম জেলা; মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ঘোষিত মৎস্য অভয়াশ্রম।
-
হালদা নদী বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা।
-
বৈশিষ্ট্য: বিশ্বের একমাত্র জোয়ার-ভাটার নদী এবং এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র; সরাসরি রুই মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ হয়।
0
Updated: 2 months ago
পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা বেশি টনের্ডো কোথায় হয়?
Created: 1 month ago
A
দক্ষিণ এশিয়া ও ইউরোপ
B
আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা
C
উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া
D
পূর্ব এশিয়া ও আর্কটিক অঞ্চল
টর্নেডো হলো একটি অতি দ্রুত আবর্তনশীল, ক্ষুদ্রাকৃতির কিন্তু প্রলয়ঙ্কারী বজ্রঝড়, যা প্রায়শই চোঙের আকার ধারণ করে। এর মধ্যভাগে বায়ু অত্যন্ত দ্রুত উপরের দিকে উঠতে থাকে এবং যদি এই চোঙ ভূমি স্পর্শ করে, তবে ভয়াবহ ধ্বংস সৃষ্টি করে। টর্নেডোর ব্যাস ১০০–৫০০ গজ পর্যন্ত হতে পারে এবং এর ভিতরে ও বাইরের বায়ু চাপের গড় পার্থক্য প্রায় ২ ইঞ্চি।
টর্নেডোর বৈশিষ্ট্য:
-
সবচেয়ে বেশি টর্নেডোপ্রবণ এলাকা: উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া
-
প্রথমে আকস্মিকভাবে বায়ু চাপ হ্রাস পায়, যার ফলে বড় বড় ইমারতে ফাটল ধরে
-
বায়ুর আবর্তন অত্যন্ত দ্রুত, ফলে বায়ুপ্রবাহের সম্মুখে প্রতি বর্গফুটে চাপ থাকে ১৬০–১০০০ পাউন্ড
-
টর্নেডোর গতিপথ অর্ধবৃত্তাকার হতে পারে; উত্তর গোলার্ধে এটি সাধারণত ডানদিকে আবর্তিত হয়
-
গতিবেগ: সাধারণত ঘন্টায় ৫–৬৫ মাইল, মাঝে মাঝে গড় গতিবেগ ৩৫–৪৫ মাইল
-
সমুদ্রের উপরও সৃষ্টি হতে পারে; যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল, মেক্সিকো উপসাগর, চীন ও জাপানের নিকটস্থ সমুদ্রে গ্রীষ্মকালে টর্নেডোর প্রকোপ দেখা যায়
0
Updated: 1 month ago