আয়তনের দিক থেকে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের বৃহত্তম দেশ নিম্নের কোনটি?
A
কলম্বিয়া
B
উরুগুয়ে
C
পেরু
D
ব্রাজিল
উত্তরের বিবরণ
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ হলো একটি স্বাধীন দেশসমৃদ্ধ মহাদেশ, যা ১২টি দেশে বিভক্ত। এখানে রাজনৈতিক, ভাষাগত ও আয়তন ও জনসংখ্যার বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়।
দক্ষিণ আমেরিকা সম্পর্কে তথ্য:
-
মোট দেশ: ১২টি, যা স্বাধীন এবং জাতিসংঘভুক্ত।
-
দেশসমূহ: ব্রাজিল, কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা, পেরু, ভেনেজুয়েলা, চিলি, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে, গায়ানা, সুরিনাম।
-
আয়তনে বৃহত্তম দেশ: ব্রাজিল।
-
জনসংখ্যায় বৃহত্তম দেশ: ব্রাজিল।
-
ভাষা: ব্রাজিল, গায়ানা এবং সুরিনাম ছাড়া সমস্ত দেশে স্প্যানিশ সরকারী ভাষা।
-
ব্রাজিলের সরকারী ভাষা হলো পর্তুগিজ।
0
Updated: 1 month ago
পৃথিবীর আহ্নিক গতি বলতে কী বোঝায়?
Created: 1 month ago
A
সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর আবর্তন
B
পৃথিবীর নিজ অক্ষে আবর্তন
C
চাঁদের চারপাশে পৃথিবীর আবর্তন
D
পৃথিবীর কক্ষপথ পরিবর্তন
পৃথিবীর আহ্নিক গতি বলতে বোঝায় পৃথিবীর নিজ অক্ষে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন। পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে প্রতি ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে বা প্রায় ২৪ ঘণ্টায় একবার সম্পূর্ণ আবর্তন করে। এই সময়কে সৌরদিন বলা হয় এবং এই আবর্তনকেই আহ্নিক গতি বা দৈনিক গতি বলা হয়। আহ্নিক গতির মূল কারণ হলো পৃথিবীর আবর্তন ও পৃথিবীর আকৃতি।
আহ্নিক গতির ফলাফল:
১. দিবা-রাত্রির সংঘটন: পৃথিবীর নিজ অক্ষে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তনের কারণে, আবর্তনরত অংশ যেখানে সূর্যের আলো পড়ে তা দিন হয় এবং অপর অংশে অন্ধকার থাকে, অর্থাৎ রাত।
২. জোয়ার-ভাটা: আহ্নিক গতির কারণে সমুদ্রে প্রতিদিন দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা সৃষ্টি হয়।
৩. বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি: ফেরেলের কোরিওলিস সূত্র অনুযায়ী আহ্নিক গতির ফলে বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোত উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বাঁকে প্রবাহিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যে বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয় তাকে বলা হয়-
Created: 1 month ago
A
মৌসুমি বায়ু
B
অয়ন বায়ু
C
নিয়ত বায়ু
D
স্থলবায়ু
মৌসুমি বায়ু হলো ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট আঞ্চলিক বায়ু, যা বর্ষাকালে বিশেষভাবে বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়।
-
মৌসুমি শব্দটি এসেছে আরবি ভাষার “মত্তসুম”, যার অর্থ ঋতু।
-
সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ন অনুযায়ী শীত ও গ্রীষ্মে স্থলভাগ ও জলভাগের তাপমাত্রার তারতম্য মৌসুমি বায়ু সৃষ্টি করে।
-
মৌসুমি বায়ু প্রধানত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় লক্ষ্য করা যায়, পাশাপাশি কর্কটক্রান্তি অঞ্চলের যুক্তরাষ্ট্র, উত্তর অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকার কিছু অংশ, মধ্য এশিয়া ও উত্তর-পশ্চিম ভারতেও দেখা যায়।
-
উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল:
-
সূর্যকিরণ লম্বভাবে পড়ায় কর্কটক্রান্তিতে বায়ুর চাপ কমে এবং নিম্নচাপ কেন্দ্র সৃষ্টি হয়।
-
দক্ষিণ গোলার্ধের ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে আগত দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে।
-
এ বায়ু এশিয়া মহাদেশের নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবলবেগে চলে আসে এবং চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, জাপান, কম্বোডিয়া, লাওস-এ বৃষ্টিপাত ঘটায়।
-
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়েও বৃষ্টি হয়।
-
-
শীতকালে:
-
সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থান করে এবং মকরক্রান্তিতে নিম্নচাপ কেন্দ্র সৃষ্টি হয়।
-
উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগ শীতল হওয়ায় উচ্চচাপ বলয় সৃষ্টি হয়।
-
বায়ু উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়, যাকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু বলা হয় এবং এটি শুষ্ক থাকে।
-
মৌসুমি বায়ু যখন নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে, ফেরেলের সূত্র অনুযায়ী বাম দিকে বেঁকে যায় এবং উত্তর-পশ্চিমে মৌসুমি বায়ুরূপে উত্তর অস্ট্রেলিয়ার দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়।
-
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
"বাসন্ত বিষুব" বলা হয় কোন দিনটিকে?
Created: 2 months ago
A
২৩ ডিসেম্বর
B
২১ মার্চ
C
২৩ মার্চ
D
২২ ডিসেম্বর
পৃথিবীর ঋতু ও সূর্যের অবস্থান:
-
২১ মার্চ: দিন-রাত সমান হয়; দিনটি বাসন্ত বিষুব বা মহাবিষুব।
-
২২ ডিসেম্বর: সূর্য মকররেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়; উত্তর গোলার্ধে দিন ছোট, রাত বড় → শীতকাল শুরু; দক্ষিণ গোলার্ধে দিন বড়, রাত ছোট → গ্রীষ্মকাল।
-
২৩ সেপ্টেম্বর: দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে ঝুঁকে দিন বড়, রাত ছোট; উত্তর গোলার্ধে দিন ছোট, রাত বড়।
-
উত্তর গোলার্ধে বসন্তকাল: ২২ ডিসেম্বরের পর ২১ মার্চ পর্যন্ত; দক্ষিণ গোলার্ধে এই সময়ে শরৎকাল।
-
ঋতু পরিবর্তনের সময় দিনের বেলা সূর্যকিরণ ভূপৃষ্ঠ গরম করে, রাতের বেলা তা বিকিরিত হয়ে ঠান্ডা হয়।
0
Updated: 2 months ago