বাংলায় ফরায়েজী আন্দোলনের উদ্যোক্তা কে ছিলেন?
A
মাওলানা কেরামত আলী
B
শাহ ওলিউল্লাহ
C
হাজী শরীয়তউল্লাহ
D
পীর মুহসীনুদ্দীন
উত্তরের বিবরণ
হাজী শরিয়ত উল্লাহ:
- ফরায়েজি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা — হাজী শরিয়ত উল্লাহ।
- তিনি বৃহত্তর ফরিদপুরের মাদারীপুর জেলায় — ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
- ফরায়েজী আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র ছিল — ফরিদপুর জেলায় এবং তার নেতৃত্বে এটি শুরু হয়।
- ফরায়েজি শব্দটি আরবি ‘ফরজ’ (অবশ্য কর্তব্য) শব্দ থেকে এসেছে।
- শরিয়ত উল্লাহ যে ফরজের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন, তা ছিল পবিত্র কুরআনে বর্ণিত পাঁচটি অবশ্যপালনীয় (ফরজ) মৌলনীতি।
উল্লেখ্য,
- তিনি ভারতবর্ষকে ‘দারুল হারব' অর্থাৎ বিধর্মীর রাজ্য বলে ঘোষণা করেন।
- জমিদার শ্রেণি নানা অজুহাতে ফরায়েজি প্রজাদের উপর অত্যাচার শুরু করলে শরিয়ত উল্লাহ প্রজাদের রক্ষার জন্য লাঠিয়াল বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।
- ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে তার উপর পুলিশি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
- ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
- হাজী শরিয়ত উল্লাহর মৃত্যুর পরে ফরায়েজি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তাঁর যোগ্যপুত্র — মুহম্মদ মুহসিন উদ্দীন আহমদ ওরফে দুদু মিয়া।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
কোন নেতা ফরায়েজী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন?
Created: 3 months ago
A
তিতুমীর
B
সৈয়দ আহমদ বেরেলভি
C
দুদু মিয়া
D
হাজী শরীয়তউল্লাহ
ফরায়েজী আন্দোলন
১৮১৮ সালে হাজী শরীয়তউল্লাহ বাংলায় ফরায়েজী আন্দোলনের সূচনা করেন। শুরুতে এটি একটি ধর্মভিত্তিক আন্দোলন ছিল, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি সামাজিক ও ব্রিটিশ শাসনবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়।
হাজী শরীয়তউল্লাহর মৃত্যুর পর তার পুত্র দুদু মিয়া আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন এবং এর রাজনৈতিক দিকটি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেন। দুদু মিয়ার মৃত্যুর (১৮৬২) পর উপযুক্ত নেতৃত্বের অভাবে ফরায়েজী আন্দোলন ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ে ও স্তিমিত হয়ে যায়।
সূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 3 months ago
’ফরায়েজি আন্দোলনের’ সূত্রপাত করেছিলেন কে?
Created: 1 week ago
A
দুদুমিয়া
B
মীর নিসার আলী
C
হাজী শরীয়তউল্লাহ
D
পীর মুহসীনউদ্দীন আহমদ
ফরায়েজি আন্দোলন
-
উনিশ শতকের প্রথমার্ধে হাজী শরীয়তুল্লাহ ফরায়েজি আন্দোলনের সূচনা করেন।
-
জন্ম: ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দ, মাদারীপুর জেলা, বৃহত্তর ফরিদপুর।
-
ফরায়েজি শব্দের অর্থ: আরবি 'ফরজ' (অবশ্যক কর্তব্য) থেকে উদ্ভূত; যারা ফরজ পালন করে, তারাই ফরায়েজি।
-
হাজী শরীয়তুল্লাহ পবিত্র কুরআনের পাঁচটি ফরজ মৌলনীতির উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
-
তিনি ভারতবর্ষকে 'দারুল হারব' (বিধর্মীর রাজ্য) ঘোষণা করেন।
-
জমিদাররা বিভিন্ন অজুহাতে ফরায়েজি প্রজাদের উপর অত্যাচার শুরু করলে তিনি প্রজাদের রক্ষার্থে লাঠিয়াল বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।
-
১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে তাঁর উপর পুলিশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
-
মৃত্যু: ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দ।
সূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও সভ্যতা, নবম ও দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
বাংলায় ফরায়েজী আন্দোলনের সূচনাকারী কে?
Created: 2 months ago
A
তিতুমীর
B
হাজী মোহাম্মদ মহসীন
C
হাজী শরীয়তউল্লাহ
D
হাজী মোহাম্মদ দানেশ
উনিশ শতকের শুরুর দিকে বাংলার মুসলমান সমাজে ধর্মীয় সচেতনতা ও সামাজিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হতে থাকে। এই প্রেক্ষাপটে হাজী শরীয়তউল্লাহর নেতৃত্বে যে আন্দোলনের সূচনা ঘটে, তা-ই ইতিহাসে ফরায়েজি আন্দোলন নামে পরিচিত। এটি মূলত একটি ধর্মভিত্তিক সামাজিক জাগরণ, যার লক্ষ্য ছিল ইসলামি শরিয়তের ফরজ বা অবশ্য পালনীয় নির্দেশনাসমূহকে কঠোরভাবে অনুসরণ করা এবং সমাজের কুসংস্কার ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে পরিহার করা।
এই আন্দোলনের প্রাথমিক কর্মকেন্দ্র ছিল ফরিদপুর অঞ্চল, যা সময়ের সাথে সাথে বিস্তৃত হয় বাংলার বিভিন্ন স্থানে। শরীয়তউল্লাহর মৃত্যুর পর (১৮৪০ খ্রিঃ) তার পুত্র দুদু মিয়া বা মুহাম্মদ মুহসিন উদ্দিন নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তিনি আন্দোলনে রাজনৈতিক রূপ সংযোজন করেন এবং জমিদার ও ব্রিটিশ শাসকদের শোষণবিরোধী সংগ্রামে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে সচেষ্ট হন।
দুদু মিয়ার হাত ধরে ফরায়েজি আন্দোলন একটি শক্তিশালী গণআন্দোলনের রূপ নেয়। তবে, ১৮৬২ সালে দুদু মিয়ার মৃত্যুর পর আন্দোলনটি কার্যকর নেতৃত্ব হারিয়ে ক্রমে নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago