বায়ুমণ্ডলে আর্গন ও জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কত?
A
০.০২ ও ০.৩০ শতাংশ
B
৭৮.০২ ও ০.০৩ শতাংশ
C
২০.৭১ ও ০.৮০ শতাংশ
D
০.৮০ ও ০.৪১ শতাংশ
উত্তরের বিবরণ
বায়ুমণ্ডল হলো ভূ-পৃষ্ঠের চারপাশে থাকা বায়বীয় আবরণ, যা আমাদের গ্রহকে ঘিরে রেখেছে এবং জীবনযাপনের জন্য অপরিহার্য।
বায়ুমণ্ডলের উপাদানসমূহ এবং তাদের আনুমানিক শতাংশ:
-
নাইট্রোজেন (Nitrogen): ৭৮.০২%
-
অক্সিজেন (Oxygen): ২০.৭১%
-
আর্গন (Argon): ০.৮০%
-
জলীয় বাষ্প (Water Vapor): ০.৪১%
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (Carbon Dioxide): ০.০৩%
-
অন্যান্য গ্যাস: ০.০২%
-
ধূলিকণা ও কণিকা (Dust & Particles): ০.০১%
0
Updated: 1 month ago
নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে বছরে গড়ে কী পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়?
Created: 1 month ago
A
১২০০-২৫০০ মি.মি.
B
১০০০-২১০০ মি.মি.
C
১৭০০-২৫০০ মি.মি.
D
১৩০০-২৩০০ মি.মি.
নিরক্ষীয় জলবায়ু হলো সেই ধরনের জলবায়ু যা পৃথিবীর নিরক্ষরেখার নিকটে অবস্থানরত দেশসমূহে বিরাজমান। সূর্যের অবস্থান এখানে প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে, যা তাপমাত্রা, আবহাওয়া এবং জলবায়ুর প্রকৃতি নির্ধারণ করে।
নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য:
-
নিরক্ষরেখার নিকটবর্তী দেশগুলোতে সূর্য প্রায় সারাবছর লম্বভাবে কিরণ প্রদান করে, ফলে এখানে গ্রীষ্মঋতুর প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।
-
উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুর কারণে দিন-রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তনশীল থাকে। শীতের প্রকোপ নেই বললেই চলে।
প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
সারাবছর সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয়, তাই গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেশি থাকে।
-
দিনের দৈর্ঘ্য সারা বছর প্রায় একই থাকে।
-
বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২১°–২৭° সে.
-
স্থলভাগের বার্ষিক সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ৫০° সে.-এর কম। অতিরিক্ত সূর্য তাপ, আর্দ্রতা ও সামান্য মেঘাচ্ছন্নতার কারণে তাপমাত্রার পার্থক্য কম।
-
সূর্য তাপ ও জলভাগের প্রাচুর্যের কারণে বাষ্পীভবনের মাত্রা বেশি, ফলে এখানে পরিচলন বৃষ্টিপাত বেশি হয়; বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১৭০০–২৫০০ মিমি।
-
মৃত্তিকা কৃষিকাজের জন্য উপকারী, তবে অতিরিক্ত তাপ ও বৃষ্টিপাতের কারণে মাটি ক্ষয় হয়।
0
Updated: 1 month ago
আগ্নেয় ও পাললিক শিলা রূপান্তরিত হয়ে নিম্নোক্ত কোন শিলা সৃষ্টি হয়?
Created: 1 month ago
A
আদি শিলা
B
স্তরীভূত শিলা
C
অস্তরীভূত শিলা
D
রূপান্তরিত শিলা
রূপান্তরিত শিলা হলো সেই ধরনের শিলা যা আগ্নেয় ও পাললিক শিলার ওপর অত্যধিক তাপ ও চাপ প্রয়োগের ফলে গঠিত হয়। ভূ-আন্দোলন, অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিকম্প এবং অন্যান্য রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে শিলাগুলো রূপান্তরিত হয়ে নতুন ধরনের শিলা তৈরি করে।
উদাহরণ:
-
কাঁদা রূপান্তরিত হয়ে স্লেট হয়ে যায়।
-
গ্রানাইট রূপান্তরিত হয়ে নিসে রূপ নেয়।
0
Updated: 1 month ago
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ কী দ্বারা গঠিত?
Created: 1 month ago
A
বেলেপাথর, শেল ও কদম
B
মার্বেল ও গ্রানাইট
C
কাদা মাটি
D
চুনাপাথর
পাহাড় হলো ভূ-পৃষ্ঠের প্রাকৃতিক উচ্চভূমি, যা সাধারণত চূড়ান্ত শীর্ষ এবং ঢালসহ উঁচু ভূপ্রদেশ গঠন করে। বাংলাদেশের ভূগোল এবং পারিপার্শ্বিক অঞ্চলের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়সমূহের বিবরণ নিম্নরূপ:
-
সিলেট অঞ্চলের পাহাড়: সিলেটের পার্বত্য এলাকা, যেমন জাফলং ও বাগানবিল উচ্চভূমি, আংশিকভাবে বাংলাদেশের পার্বত্য ভূ-রূপ।
-
চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চল: রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার পার্বত্য অঞ্চল; মেঘমালা, তেজপাহাড় ও খাসিয়াল উচ্চভূমি অন্তর্ভুক্ত।
-
মায়ানমারের সীমান্তবর্তী পাহাড়: বান্দরবান ও চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল মায়ানমারের সঙ্গে সংযুক্ত।
-
লুসাই পাহাড়: প্রধানত মিজোরাম ও আসামের অংশ, বাংলাদেশের নদী প্রবাহে গুরুত্বপূর্ণ উৎপত্তিস্থল।
-
আরাকান পাহাড়: সাঙ্গু নদীর উৎপত্তিস্থল, মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত।
-
বাদানাতলী পর্বতশৃঙ্গ: খাগড়াছড়ি জেলার গুরুত্বপূর্ণ পাহাড় যা হালদা নদীর উৎপত্তিস্থল।
বাংলাদেশে পাহাড়সমূহ সাধারণত দক্ষিণ-পূর্ব ও উত্তরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ঘনবসতি এবং নদী উৎপত্তিস্থলের সঙ্গে সংযুক্ত।
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago