বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কোন সালে?
A
১৯০৫ সালে
B
১৯১৬ সালে
C
১৯২৩ সালে
D
১৯১১ সালে
উত্তরের বিবরণ
বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)
১৯০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গের ঘোষণা দেয় এবং এটি কার্যকর হয় সেই বছরের ১৫ অক্টোবর থেকে। এটি উপমহাদেশে জাতীয়তাবাদ এবং জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ধারায় এক স্মরণীয় ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়।
বঙ্গভঙ্গের ফলে বাংলাকে দুটি প্রশাসনিক ভাগে বিভক্ত করা হয় — পূর্ববঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গ। পূর্ববঙ্গের অধিকাংশ মুসলমান জনগণ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় এবং এটিকে আশীর্বাদ হিসেবেই বিবেচনা করে। তবে অপরদিকে, হিন্দু সম্প্রদায় বিশেষ করে বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক নেতারা এই বিভাজনের বিরোধিতা করে কঠোরভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়।
তারা নানা প্রতিবাদ, ষড়যন্ত্র ও আন্দোলনের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। একসময় তাদের আন্দোলন সহিংস রূপও ধারণ করে।
এই তীব্র বিরোধিতার মুখে ব্রিটিশ সরকার শেষমেশ বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হয় এবং পূর্ববঙ্গকে পুনরায় পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একত্রিত করে। এই ঘটনাকেই বঙ্গভঙ্গ রদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
বঙ্গভঙ্গ রদ (১৯১১)
১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর দিল্লিতে পঞ্চম জর্জের অভিষেক উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা আসে। এর মাধ্যমে পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গকে পুনরায় একত্র করা হয়।
বঙ্গভঙ্গ রদের পরিণতি
বঙ্গভঙ্গ রদের ফলশ্রুতিতে উপমহাদেশে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সাম্প্রদায়িকতা বৃদ্ধি পায় এবং আলাদা জাতীয়তার ধারণা আরও জোরালো হয়।
বিশেষত মুসলমান সমাজে রাজনৈতিক সচেতনতা ও সংগঠনের চেতনা জাগ্রত হয়। তারা উপলব্ধি করে যে কেবল আপসের নীতি দিয়ে নয়, বরং সংগ্রামের মাধ্যমেই নিজেদের অধিকার ও স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব। ফলে, মুসলমানরা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 3 months ago
বঙ্গভঙ্গের কারণে কোন নতুন প্রদেশ সৃষ্টি হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
পূর্ববঙ্গ ও বিহার
B
পূর্ববঙ্গ ও আসাম
C
পূর্ববঙ্গ ও উড়িষ্যা
D
পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ
১৯০৫ সালে লর্ড কার্জনের অধীনে বাংলা প্রেসিডেন্সি বিভক্ত করে দুটি প্রদেশে ভাগ করা হয়, যা বঙ্গভঙ্গ নামে পরিচিত। এটি অবিভক্ত বাংলার এবং সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে ধরা হয়।
বঙ্গভঙ্গের ঘোষণা ১৯০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর করা হয় এবং ১৫ অক্টোবর থেকে তা কার্যকর হয়।
-
পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ গঠিত হয় ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগ এবং আসামকে নিয়ে। এই প্রদেশের রাজধানী স্থাপিত হয় ঢাকায়।
-
পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ গঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যা নিয়ে। এই প্রদেশের রাজধানী হয় কলকাতা।
-
কংগ্রেস এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের তীব্র বিরোধ ও সহিংস আন্দোলনের কারণে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয়।
-
লর্ড হার্ডিঞ্জের সময়, ১৯১১ সালের ডিসেম্বরে ব্রিটেনের রাজা পঞ্চম জর্জ দিল্লিতে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেন।
0
Updated: 1 month ago
'বঙ্গভঙ্গ' কালে ভারতের ভাইসরয় কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
লর্ড কার্জন
B
লর্ড ওয়াভেল
C
লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন
D
লর্ড লিনলিথগো
বঙ্গভঙ্গ
-
১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর, লর্ড কার্জনের নেতৃত্বে ব্রিটিশ সরকার বাংলা প্রদেশকে দুটি ভাগে ভাগ করে। এটি ইতিহাসে বঙ্গভঙ্গ নামে পরিচিত।
-
বিভাজনের ফলে বাংলা হয়ে যায় পূর্ববাংলা ও আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গ নামে দুটি প্রদেশ।
-
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কংগ্রেস ও হিন্দু সম্প্রদায়ের তীব্র প্রতিরোধ এবং সহিংস আন্দোলন শুরু হয়।
-
অবশেষে ব্রিটিশ সরকার এই বিভাজন বাতিল করতে বাধ্য হয়। ১৯১১ সালের ডিসেম্বরে লর্ড হার্ডিঞ্জের সময়ে ব্রিটিশ রাজা পঞ্চম জর্জ দিল্লিতে বঙ্গভঙ্গের রদ ঘোষণা করেন।
-
পরবর্তী বড় ঐতিহাসিক ঘটনা হলো ১৯৪৭ সালে ভারতের বিভাজন, তখন ভাইসরয় ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া; বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 1 month ago
'বঙ্গ ভঙ্গ' রদ হয় কোন সালে?
Created: 1 week ago
A
১৯০৭ খ্রি
B
১৯১১ খ্রি.
C
১৯১৮ খ্রি.
D
১৯২২ খ্রি.
'বঙ্গভঙ্গ' রদ হয় ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে। এটি ছিল ব্রিটিশ শাসনামলের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, যা বঙ্গদেশের মানুষ গভীর প্রতিবাদ ও আন্দোলনের মাধ্যমে বাতিল করতে সক্ষম হয়। বঙ্গভঙ্গ রদের মধ্য দিয়ে ভারতীয় জাতীয় আন্দোলন এক নতুন গতি লাভ করে এবং ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বাঙালি জাতি নিজেদের অবস্থান দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করে।
বঙ্গভঙ্গ রদের মূল বিষয়গুলো হলো:
-
বঙ্গভঙ্গের সূচনা ঘটে ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর, লর্ড কার্জনের শাসনামলে। এর উদ্দেশ্য ছিল প্রশাসনিক সুবিধা দেখানো হলেও, প্রকৃতপক্ষে এর মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে হিন্দু-মুসলমান দুই ভাগে বিভক্ত করে ঔপনিবেশিক শাসন টিকিয়ে রাখা।
-
এই বিভাজনের ফলে পূর্ববঙ্গ ও আসামকে নিয়ে নতুন একটি প্রদেশ গঠন করা হয়, যার রাজধানী ছিল ঢাকা, এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী ছিল কলকাতা।
-
বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করে বাঙালিরা সর্বস্তরে প্রতিবাদ শুরু করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নেতৃত্বে ‘বন্দেমাতরম’ ও রাখীবন্ধন উৎসব ঐক্যের প্রতীক হয়ে ওঠে।
-
রাজনৈতিকভাবে এই প্রতিবাদ আন্দোলন থেকে জন্ম নেয় স্বদেশি আন্দোলন, যার মূল লক্ষ্য ছিল দেশীয় পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ব্রিটিশ পণ্যের বর্জন।
-
বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা শুধু বাংলায় নয়, সমগ্র ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী, ছাত্র, নারী এবং সাধারণ মানুষ সবাই এতে অংশগ্রহণ করে।
-
ক্রমবর্ধমান এই আন্দোলন ব্রিটিশ শাসকদের চাপে ফেলে দেয়। অবশেষে রাজা পঞ্চম জর্জ ১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর দিল্লি দরবারে বঙ্গভঙ্গ রদ ঘোষণা করেন।
-
বঙ্গভঙ্গ রদের সাথে সাথে কলকাতা থেকে ভারতের রাজধানী স্থানান্তরিত হয়ে যায় দিল্লিতে, যা প্রশাসনিক কাঠামোয় একটি বড় পরিবর্তন আনে।
-
এই ঘটনার ফলে বাংলা আবার একত্রিত হয় এবং বাঙালি জাতি রাজনৈতিকভাবে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রসর হয়।
বঙ্গভঙ্গ রদ শুধু একটি প্রশাসনিক পরিবর্তন ছিল না; এটি ছিল বাঙালি জাতির ঐক্য, প্রতিবাদ ও আত্মমর্যাদার জাগরণের প্রতীক। এই আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতীয় জাতীয় চেতনা নতুন দিশা পায় এবং পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য এটি একটি মজবুত ভিত্তি তৈরি করে।
0
Updated: 1 week ago