ঢাকায় সুবা-বাংলার রাজধানী কখন স্থাপিত হয়?
A
১৬১০ সালে
B
১৫৭৬ সালে
C
১৯০৫ সালে
D
১৯৪৭ সালে
উত্তরের বিবরণ
ঢাকায় সর্বপ্রথম বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয় — ১৬১০ খ্রিঃ।
• রাজধানী হিসেবে ঢাকা:
- এটি বাংলাদেশের — বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত বৃহত্তম শহর।
- মুঘল সম্রাট আকবরের সময় বাংলার রাজধানী ছিল — বিহারের রাজমহল।
- মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের ইচ্ছানুযায়ী — ১৬১০ সালে ঢাকাকে সর্বপ্রথম সুবাহ বাংলার রাজধানী ঘোষণা করা হয়।
- সম্রাট জাহাঙ্গীর-এর নাম অনুসারে রাজধানীর নাম — 'জাহাঙ্গীরনগর' রাখা হয়।
উল্লেখ্য,
• ১৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার শাহ সুজা রাজধানী আবার রাজমহলে স্থানান্তর করেছিলেন। শাহ সুজার পতনের পর ১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার মীর জুমলা আবার রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তর করেন।
• ১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার মুর্শিদ কুলি খান রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন।
- বঙ্গভঙ্গের পর ১৯০৫ সালে ঢাকাকে আসাম ও বাংলার রাজধানী করা হয়।
• কংগ্রেসের বাধার মুখে ব্রিটিশ রাজ আবার ১৯১১ সালে রাজধানী কলকাতায় ফিরিয়ে নেয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান এবং স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব বাংলা নামে নতুন প্রদেশের রাজধানী হওয়ায় ঢাকার উথানে অধিকতর স্থায়ী উন্নয়ন সাধিত হয়।
• ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে ঢাকা রাজনৈতিক , প্রশাসনিক কার্যকলাপ এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্ররূপে মর্যাদা লাভ করে।
উৎস: ঢাকা জেলা, dhaka.gov.bd.জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 1 month ago
প্রাচীন গৌড় নগরীর অংশবিশেষ বাংলাদেশের কোন জেলায় অবস্থিত?
Created: 3 months ago
A
কুষ্টিয়া
B
বগুড়া
C
কুমিল্লা
D
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রাচীন গৌড় নগরী
প্রাচীন গৌড় নগরীর একটি অংশ বর্তমান বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় অবস্থিত।
গৌড় নগরী সম্পর্কে ধারণা করা হয়, গুড় উৎপাদনের একটি কেন্দ্র হিসেবে এই নগরের নামকরণ হয়েছিল ‘গৌড়’। পরবর্তীকালে এই গৌড় নগরকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে গৌড় জনপদ। জনপদটি এতটাই খ্যাতি অর্জন করেছিল যে, এক সময় সমগ্র বাংলাকে ‘গৌড়দেশ’ হিসেবে অভিহিত করা হতো।
গৌড় ছিল বাংলার এক সময়কার রাজধানী এবং এটি এখন একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীন নগর। এই নগরের অবস্থান বর্তমান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায়। এটি ‘লক্ষণাবতী’ বা ‘লখনৌতি’ নামেও পরিচিত ছিল।
প্রাচীন এই দুর্গনগরীর অধিকাংশ অঞ্চল বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদা জেলায় অবস্থিত, আর এর কিছু অংশ রয়েছে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। সেনবংশীয় রাজারা নিজেদের ‘গৌড়েশ্বর’ উপাধিতে অভিষিক্ত করে গর্ব অনুভব করতেন।
চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ, রাজা শশাঙ্ককে ‘কর্ণসুবর্ণ’ দেশের সম্রাট বলে উল্লেখ করেছেন। অপরদিকে, ‘হর্ষচরিত’ গ্রন্থে শশাঙ্ককে ‘গৌড়াধিপতি’ বলা হয়েছে। এ তথ্য থেকে ধারণা করা যায়, কর্ণসুবর্ণ দেশ ও গৌড়দেশ মূলত অভিন্ন।
গৌড় জনপদের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ।
তথ্যসূত্র:
বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা, (এইচএসসি প্রোগ্রাম), বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 3 months ago
কার নেতৃত্বে কৈবর্ত বিদ্রোহ সংঘটিত হয়?
Created: 4 weeks ago
A
রুদ্র
B
মহীপাল
C
দিব্যক
D
হর্ষ
কৈবর্ত বিদ্রোহ
-
নেতৃত্বে: দিব্যক (দিব্য)
-
অন্য নাম: বরেন্দ্র বিদ্রোহ
-
ঘটনার সময়: প্রায় ১০৭৫–১০৮০ খ্রিষ্টাব্দ
-
সময়কালীন পাল রাজা: দ্বিতীয় মহীপাল
বিদ্রোহের কারণ ও সূত্রপাত
-
দিব্য প্রথমে পালদের একজন রাজকর্মচারী বা সামন্ত ছিলেন।
-
তিনি জেলে সম্প্রদায় (কৈবর্ত) থেকে শক্তিশালী বাহিনী গঠন করেন।
-
উদ্দেশ্য: বরেন্দ্র অঞ্চলে নিজেদের স্বতন্ত্র সার্বভৌমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
ফলাফল
-
কৈবর্তরা স্বল্প সময়ের জন্য বরেন্দ্র ভূমিতে রাজত্ব স্থাপন করতে সক্ষম হয়।
-
১০৮২ খ্রিষ্টাব্দে:
-
মহীপালের ভাই রামপাল
-
সামন্তদের সাহায্য নিয়ে
-
কৈবর্ত শাসক ভীমকে পরাজিত ও হত্যা করেন
-
বরেন্দ্র অঞ্চলে পাল শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা
-
উল্লেখযোগ্য তথ্য
-
পাল শাসকদের সমসাময়িক সমতট অঞ্চলে (কুমিল্লা ও বিক্রমপুর)
-
স্বাধীনভাবে শাসনকারী রাজবংশ: খড়গ, দেব, চন্দ্র, বর্ম
-

0
Updated: 4 weeks ago
কে বাংলার সাল গণনা শুরু করেন?
Created: 1 month ago
A
লক্ষ্মণ সেন
B
ইলিয়াস শাহ্
C
বিজয় সেন
D
আকবর
সম্রাট আকবর
তৃতীয় মোগল সম্রাটের নাম ছিল আবুল ফতেহ জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর। তাঁর বাবা হুমায়ুন মারা যাওয়ার পর ১৫৫৬ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে আকবর রাজসিংহাসনে বসেন।
আকবরের শাসনামলে মোগল সাম্রাজ্য রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তিনি ছিলেন সঙ্গীতপ্রিয় এবং সঙ্গীত ভালোবাসতেন। তাঁর দরবারে অনেক জ্ঞানী ও গুণী মানুষদের কদর করা হতো। ভারতীয়, ইরানী, তুরানী ও কাশ্মীরি গায়কদের তিনি তার দরবারে স্থান দিয়েছিলেন।
বিখ্যাত ইতিহাসবিদ আবুল ফজল লিখেছেন, আকবরের দরবারে ৩৬ জন গায়ক ছিলেন। তাঁর লেখা "আকবরনামা" বইয়ের তৃতীয় খণ্ড "আইন-ই-আকবরী" নামে পরিচিত, যেখানে আকবরের শাসন ও দরবার সম্পর্কে অনেক তথ্য রয়েছে।
আকবরের সময়েই বাংলায় বারো ভুঁইয়ার বিদ্রোহ ঘটে। এছাড়া, ভারতের অন্যতম সেরা সঙ্গীতজ্ঞ তানসেন ছিলেন আকবরের দরবারের সবচেয়ে বিখ্যাত শিল্পী ও বিদ্বান।
আকবর ছিলেন সহনশীল ও সব ধর্মের প্রতি সম্মান দেখানো এক সমন্বয়বাদী চিন্তার মানুষ। তিনি কৃষকদের সুবিধার জন্য নতুন বাংলা সন চালু করেন, যা প্রথমে “ফসলি সন” নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে একে বঙ্গাব্দ বলা হয়। এই সন চালু হয় তাঁর সিংহাসনে বসার সময় থেকেই।
১৫৮২ সালে আকবর একটি নতুন ধর্ম প্রবর্তন করেন যার নাম ছিল দীন-ই-ইলাহি। তিনি জিজিয়া কর (অমুসলিমদের উপর ধার্য করা কর) বাতিল করেন, যা তাঁর ধর্মীয় সহনশীলতার প্রমাণ।
উৎস: ইতিহাস ১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago