অচৌম্বক পদার্থ নয় কোনটি?
A
অ্যান্টিমনি
B
নিকেল
C
পিতল
D
পারদ
উত্তরের বিবরণ
চৌম্বক পদার্থ হলো সেই সকল পদার্থ যেগুলো চুম্বক দ্বারা আকর্ষিত হয় এবং যেগুলোকে চুম্বকে পরিণত করা যায়। বেশিরভাগ চৌম্বক পদার্থে লোহা থাকে, তাই এ ধরনের পদার্থকে ফেরোচৌম্বক বা ফেরোম্যাগনেটিক পদার্থ বলা হয়। "ফেরো" শব্দের অর্থ লোহা।
-
উদাহরণ: লোহা, ইস্পাত, নিকেল, কোবাল্ট
অচৌম্বক পদার্থ হলো সেই সকল পদার্থ যেগুলো চুম্বক দ্বারা আকর্ষিত হয় না এবং যেগুলোকে চুম্বকে পরিণত করা যায় না।
-
উদাহরণ: সোনা, রূপা, তামা, পিতল, পারদ, বিসমাথ, অ্যান্টিমনি, অ্যালুমিনিয়াম, দস্তা, টিন, কাঠ, কাগজ, প্লাস্টিক, রাবার
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
ম্বক শলাকাকে যদি এর ভারকেন্দ্রে অনুভূমিকভাবে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, এটি কোন দিকে মুখ করে থাকবে?
Created: 2 months ago
A
উপরে-নিচে
B
উত্তর-দক্ষিণ
C
পূর্ব-পশ্চিম
D
যেকোনো দিক
চুম্বকত্ব
চুম্বক: যে বস্তু অন্য বিশেষ ধর্ম বিশিষ্ট বস্তুকে আকর্ষণ করতে পারে এবং যাকে মুক্তভাবে ঝুলিয়ে দিলে সাম্যাবস্থায় একটি নির্দিষ্ট দিকে (উত্তর–দক্ষিণ) মুখ করে থাকে, তাকে সাধারণভাবে চুম্বক বলা হয়।
চুম্বকত্ব: যে ধর্মের কারণে একটি চুম্বক অন্য বস্তুকে আকর্ষণ করে, সেই ধর্মকে চুম্বকত্ব বলা হয়। এটি পদার্থের একটি ভৌত ধর্ম।
কৃত্রিম চুম্বক: কোনো পদার্থকে কৃত্রিমভাবে চুম্বকে পরিণত করলে তার ভর, ঘনত্ব, আয়তন বা তাপমাত্রার পরিবর্তন হয় না।
চৌম্বক পদার্থ: যেসব বস্তু চুম্বক দ্বারা আকর্ষিত বা বিকর্ষিত হয়, তাদেরকে চৌম্বক পদার্থ বলা হয়।
যেমন: লোহা, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি।
চুম্বকের অবস্থান: একটি চুম্বক শলাকাকে তার ভারকেন্দ্রে ঝুলিয়ে দিলে শলাকাটি সর্বদা উত্তর–দক্ষিণ দিকে মুখ করে।
ভূ-চুম্বকত্ব: সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে রানী এলিজাবেথের গৃহচিকিৎসক ড. গিলবার্ট প্রথম প্রমাণ করেন যে, পৃথিবী নিজেই একটি বড় চুম্বক। পৃথিবীর এ চুম্বকত্বকে ভূ-চুম্বকত্ব বলা হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি প্যারা চৌম্বক পদার্থের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
নিকেল
B
পানি
C
অক্সিজেন
D
হাইড্রোজেন
চৌম্বকত্বের ধরন অনুযায়ী পদার্থকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—প্যারা চৌম্বক, ডায়া চৌম্বক এবং ফেরো চৌম্বক পদার্থ। এরা বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে।
প্যারা চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে দুর্বল চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং তারা চুম্বকের দিকে মুখ করে থাকতে চায়, তাদেরকে প্যারা চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: অক্সিজেন, সোডিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, টিন ইত্যাদি।
-
এদের অণু, পরমাণু বা আয়নের মধ্যে স্থায়ী চৌম্বক দ্বিপোল মোমেন্ট থাকে।
-
প্রতিটি দ্বিপোল স্বাধীনভাবে কাজ করে।
-
কিন্তু সাধারণ তাপমাত্রায় তাপজনিত কম্পনের কারণে এগুলো এলোমেলোভাবে অবস্থান করে, ফলে একদিকে নীট চুম্বকায়ণ দেখা যায় না।
ডায়া চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে দুর্বল চুম্বকত্ব সৃষ্টি হয় কিন্তু তারা চৌম্বক ক্ষেত্র থেকে সরে যায়, তাদেরকে ডায়া চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: হাইড্রোজেন, পানি, সোনা, রূপা, তামা, বিসমাথ ইত্যাদি।
-
এদের মধ্যে সৃষ্ট চুম্বকায়নের অভিমুখ বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখের বিপরীত দিকে হয়।
ফেরো চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে শক্তিশালী চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং আবিষ্ট চুম্বকায়নের অভিমুখ বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখের সাথে একই দিকে হয়, তাদেরকে ফেরো চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: লোহা, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
অচৌম্বক পদার্থ নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
নিকেল
B
দস্তা
C
রূপা
D
পিতল
অচৌম্বক পদার্থ হলো এমন পদার্থ যেগুলোকে চুম্বক আকর্ষণ করে না এবং যেগুলোকে চুম্বকে পরিণতও করা যায় না। এই পদার্থগুলোর অণুর ভেতরে চৌম্বক মুহূর্ত (magnetic moment) থাকলেও তা এলোমেলোভাবে বিন্যস্ত থাকে, ফলে সামগ্রিকভাবে কোনো চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি হয় না।
-
অচৌম্বক পদার্থে অণুগুলোর চৌম্বক মুহূর্ত একে অপরকে নিরপেক্ষ করে দেয়।
-
এগুলোর মধ্যে চৌম্বক শক্তি প্রায় শূন্য বা অত্যন্ত দুর্বল হয়।
-
চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলেও এগুলোর মধ্যে স্থায়ী চৌম্বকত্ব সৃষ্টি হয় না।
-
উদাহরণ: সোনা, রূপা, তামা, পিতল, অ্যালুমিনিয়াম, দস্তা, টিন, কাঠ, কাগজ, প্লাস্টিক, রাবার ইত্যাদি।
-
এসব পদার্থের ব্যবহার বিদ্যুৎ পরিবাহিতা বা তাপ পরিবাহিতার জন্য হলেও চৌম্বক প্রয়োগে ব্যবহৃত হয় না।
অন্যদিকে, চৌম্বক পদার্থ হলো এমন পদার্থ যেগুলোকে চুম্বক আকর্ষণ করে এবং যেগুলোকে চুম্বকে পরিণত করা যায়। এসব পদার্থের অণুগুলোর চৌম্বক মুহূর্ত একই দিকে বিন্যস্ত থাকে, ফলে এরা শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করতে সক্ষম।
-
চৌম্বক পদার্থে অণুগুলোর চৌম্বক মুহূর্ত সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো থাকে।
-
এরা বাহ্যিক চৌম্বক ক্ষেত্রে সহজেই স্থায়ী চুম্বক হিসেবে রূপান্তরিত হতে পারে।
-
বেশিরভাগ চৌম্বক পদার্থে লোহা (Fe) বিদ্যমান থাকায় এদেরকে ফেরোম্যাগনেটিক পদার্থ (Ferromagnetic materials) বলা হয়।
-
“ফেরো” শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Ferrum থেকে এসেছে, যার অর্থ লোহা।
-
উদাহরণ: লোহা, ইস্পাত, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি।
-
চৌম্বক পদার্থ মোটামুটি তিন শ্রেণির হতে পারে—ফেরোম্যাগনেটিক, প্যারাম্যাগনেটিক, ও ডায়াম্যাগনেটিক, যেখানে ফেরোম্যাগনেটিক পদার্থে চৌম্বক প্রভাব সবচেয়ে বেশি।
0
Updated: 1 month ago