বিদ্যুৎ বিল নিচের কোন এককে হিসাব করা হয়?
A
কিলােওয়াট-ঘণ্টা
B
ওয়াট-ঘণ্টা
C
ওয়াট-কেলভিন
D
ওয়াট
উত্তরের বিবরণ
ওয়াট-ঘণ্টা হলো শক্তির একটি একক, যা নির্দেশ করে যে এক ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো তড়িৎ যন্ত্র এক ঘণ্টা ধরে কাজ করলে কত পরিমাণ তড়িৎ শক্তি অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয়, যেমন বাতি জ্বলে আলোক শক্তি উৎপন্ন হওয়া বা পাখা ঘুরে যান্ত্রিক শক্তি প্রাপ্তি।
-
১ ওয়াট-ঘণ্টা = ১ ওয়াট × ১ ঘণ্টা
-
শক্তি পরিমাপের জন্য প্রায়শই কিলোওয়াট-ঘণ্টাও ব্যবহার করা হয়।
-
১ কিলোওয়াট-ঘণ্টা = ১০০০ ওয়াট × ৩৬০০ সেকেন্ড = ৩,৬,০০,০০০ ওয়াট-সেকেন্ড = ৩,৬,০০,০০০ জুল ≈ ৩.৬ মেগা জুল
-
-
আন্তর্জাতিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ কিলোওয়াট-ঘণ্টা এককে পরিমাপ করা হয়।
-
এটি বোঝায় ১ কিলোওয়াট শক্তি ১ ঘণ্টা ধরে ব্যবহৃত হলে মোট শক্তি খরচ।
-
এই একককে বোর্ড অব ট্রেড (BOT) ইউনিট বা সংক্ষেপে ইউনিট বলা হয়।
-
বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার জন্য কিলোওয়াট-ঘণ্টা ব্যবহার করা হয়।
সূত্র:

0
Updated: 16 hours ago
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মূলত কোন প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 week ago
A
পারমাণবিক সংযোজন
B
পারমাণবিক বিভাজন
C
তেজস্ক্রিয় ক্ষয়
D
আয়নীকরণ
পারমাণবিক বিভাজন (Nuclear Fission) হলো একটি প্রক্রিয়া, যেখানে ভারী পরমাণুর নিউক্লিয়াস (যেমন ইউরেনিয়াম-235 বা প্লুটোনিয়াম-239) ভেঙে দুটি বা ততোধিক হালকা নিউক্লিয়াসে পরিণত হয় এবং বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়। এই শক্তি সাধারণত পানিকে বাষ্পে রূপান্তরিত করতে ব্যবহৃত হয়, যা টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সহায়ক।
নিউক্লিয়ার ফিশন সম্পর্কিত তথ্য:
-
এটি একটি পারমাণবিক প্রক্রিয়া যেখানে ভারী নিউক্লিয়াস ভেঙে হালকা নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়।
-
একে বিয়োজন বিক্রিয়া নামেও ডাকা হয়।
-
এই বিক্রিয়ার ফলে প্রচুর শক্তি উৎপন্ন হয়, যা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও পারমাণবিক অস্ত্র, বিশেষ করে পারমাণবিক বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
অন্যান্য প্রাসঙ্গিক প্রক্রিয়া:
-
পারমাণবিক সংযোজন (Nuclear Fusion): হালকা পরমাণু মিলিয়ে ভারী পরমাণু তৈরি করে, যা সূর্যের শক্তির উৎস, তবে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রে এখনো ব্যবহারযোগ্য নয়।
-
তেজস্ক্রিয় ক্ষয় (Radioactive Decay): স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিউক্লিয়াস থেকে কণা বা বিকিরণ নির্গমন করে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল প্রক্রিয়া নয়।
-
আয়নীকরণ (Ionization): ইলেকট্রন যোগ-বিয়োগ করে আয়ন তৈরি করে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান প্রক্রিয়া নয়।

0
Updated: 1 week ago
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপযোগী করতে কী ব্যবহার করা হয়?
Created: 6 days ago
A
জেনারেটর
B
স্টেপ আপ ট্রান্সফর্মার
C
সার্কিট ব্রেকার
D
স্টেপ ডাউন ট্রান্সফর্মার
তড়িতের সিস্টেম লস
-
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী পাওয়ার প্লান্টগুলো থেকে বিদ্যুৎকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়।
-
বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য প্রথমে সাব-স্টেশনে পাঠানো হয়।
-
এরপর সাব-স্টেশন থেকে বিতরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে।
-
বিদ্যুৎ শক্তি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানোর জন্য যে পরিবাহী তার ব্যবহার করা হয়, তার কিছু পরিমাণ রোধ (Resistance, R) থাকে।
-
কোনো রোধের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ (I) গেলে, সবসময় I²R তাপ শক্তি উৎপন্ন হয়। এ কারণে বিদ্যুৎ শক্তির কিছু অংশ ক্ষয় বা লস হয়।
-
নির্দিষ্ট বিদ্যুৎ শক্তির জন্য উচ্চ ভোল্টেজে সরবরাহ করলে রোধজনিত তাপ লস কম হয়।
-
এজন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত শক্তিকে স্টেপ-আপ ট্রান্সফর্মার দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজে রূপান্তর করা হয়।
-
গ্রাহকদের ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎকে স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করে নিরাপদ ও ব্যবহারযোগ্য ভোল্টেজে নামানো হয়।
উৎস:

0
Updated: 6 days ago
বৈদ্যুতিক মটর এমন একটি যন্ত্রকৌশল, যা-
Created: 4 months ago
A
তাপ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিকে রূপান্তরিত করে
B
তাপ শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে
C
যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে
D
তড়িৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে
শক্তির রূপান্তর:
- মাইক্রোফোন- শব্দ শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে।
- বৈদ্যুতিক মোটর- তড়িৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে।
- লাউড স্পিকার ও বৈদ্যুতিক ঘন্টা বিদ্যুৎ শক্তিকে শব্দ শক্তিতে রূপান্তর করে।
- জেনারেটর বা ডায়নামো- যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তর করে।
- মোবাইল ফোনের ব্যাটারিকে বিদ্যুৎ দিয়ে চার্জ দেওয়ার ফলে তড়িৎ শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 4 months ago