যুদ্ধ ও সশস্ত্র সংঘর্ষ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন বিষয়ে ১৯৪৯ সনের জেনেভা কনভেনশনসমূহ পরিচিত -
A
'তিনটি রেডক্রস কনভেনশন' নামে
B
'দুটি রেডক্রস কনভেনশন' নামে
C
'চারটি রেডক্রস কনভেনশন' নামে
D
কোনটি নয়
উত্তরের বিবরণ
যুদ্ধ ও সশস্ত্র সংঘর্ষ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের জন্য ১৯৪৯ সালে জেনেভা কনভেনশনগুলো প্রণীত হয়, যেগুলোকে সাধারণত 'চারটি রেডক্রস কনভেনশন' বলা হয়। এই কনভেনশনগুলো যুদ্ধকালীন মানবাধিকার রক্ষা এবং মানবিক আচরণ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত।
-
জেনেভা কনভেনশন হলো আন্তর্জাতিক আইন, যা যুদ্ধকালীন মানবাধিকার এবং মানবিক আচরণ সংক্রান্ত মৌলিক নীতি নির্ধারণ করে।
-
কনভেনশনগুলোর উদ্দেশ্য হলো যুদ্ধবন্দী, আহত বা অসুস্থ সেনা সদস্য এবং সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা ও মর্যাদা রক্ষা করা।
-
কনভেনশন স্বাক্ষরিত হয় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়।
-
এর আওতায় চারটি চুক্তি এবং তিনটি প্রটোকল রয়েছে।
-
চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১২ আগস্ট, ১৯৪৯ সালে।
মূল জেনেভা কনভেনশনসমূহ:
১. প্রথম কনভেনশন (১৮৬৪): আহত ও অসুস্থ সেনাদের সুরক্ষা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত।
২. দ্বিতীয় কনভেনশন (১৯০৬): সমুদ্রে যুদ্ধরত সেনাদের সুরক্ষা ও চিকিৎসা। ১৯০৭ সালে ‘হেগ চুক্তি’ সংশোধন করে এটি স্বাক্ষরিত হয়।
৩. তৃতীয় কনভেনশন (১৯২৯): যুদ্ধবন্দীদের সুরক্ষা এবং তাদের প্রতি মানবিক আচরণ।
৪. চতুর্থ কনভেনশন (১৯৪৯): সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা, বিশেষত যুদ্ধক্ষেত্র বা দখলদারিত্বের সময়।
কনভেনশনের সংশোধন ও আধুনিকায়ন:
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে কনভেনশনগুলোর সংস্করণ আরও উন্নত ও আধুনিক করা হয়।
-
১৯৭৭ ও ২০০৫ সালে আরও প্রটোকল যুক্ত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে যুদ্ধের সময় মানবাধিকার রক্ষা আরও জোরদার হয়েছে।
প্রটোকলসমূহ:
-
প্রটোকল ১ (১৯৭৭): আন্তর্জাতিক সামরিক সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সুরক্ষা।
-
প্রটোকল ২ (১৯৭৭): অ-আন্তর্জাতিক সামরিক সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিবর্গের সুরক্ষা।
-
প্রটোকল ৩ (২০০৫): অতিরিক্ত স্বাতন্ত্র্যসূচক প্রতীক গ্রহণ সংক্রান্ত।
সূত্র:

0
Updated: 16 hours ago