স্বর্ণের খাদ বের করতে কোন অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়?
A
সাইট্রিক অ্যাসিড
B
নাইট্রিক অ্যাসিড
C
হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড
D
টারটারিক অ্যাসিড
উত্তরের বিবরণ
রাজঅম্ল বা অ্যাকোয়া রেজিয়া হচ্ছে একটি শক্তিশালী অ্যাসিড মিশ্রণ, যা ১ মোল নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO₃) এবং ৩ মোল হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) দ্বারা প্রস্তুত করা হয়। এই বিশেষ অ্যাসিড মিশ্রণ সাধারণত স্বর্ণের খাঁটি অংশ শনাক্ত করতে ও আলাদা করতে ব্যবহৃত হয়।
স্বর্ণের খাদ বের করতে প্রথমে তাকে নাইট্রিক অ্যাসিডের মাধ্যমে উত্তপ্ত করা হয়, যাতে অন্যান্য ধাতব অমিশ্রণ অপসারিত হয়। এদিকে, সালফিউরিক অ্যাসিড (H₂SO₄) সাধারণত রূপচর্চা বা কসমেটিক ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি স্বর্ণের বিশ্লেষণে নয়।
যেমন স্বর্ণ ও প্লাটিনাম—এই ধরনের অভিজাত ধাতুগুলো একা হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড বা নাইট্রিক অ্যাসিডে সহজে দ্রবীভূত হয় না। কিন্তু অ্যাকোয়া রেজিয়া এই ধাতুগুলোকে সহজেই দ্রবীভূত করতে সক্ষম, কারণ এই মিশ্রণের দুইটি অ্যাসিডের কার্যপদ্ধতি ভিন্ন হলেও একে অপরকে সহায়তা করে।
নাইট্রিক অ্যাসিড একটি শক্তিশালী অক্সিডাইজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা স্বর্ণকে Au³⁺ আয়নে রূপান্তর করে। অপরদিকে, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড থেকে প্রাপ্ত ক্লোরাইড আয়নগুলো এই স্বর্ণ আয়নের সঙ্গে কমপ্লেক্স গঠন করে এবং দ্রবণে স্থিতিশীল করে। এর ফলে দ্রবণে Au³⁺ আয়নের ঘনমাত্রা কমে যায়, যা রাসায়নিক সাম্যাবস্থাকে আরও দ্রবীভবনের দিকে ঠেলে দেয়।
সূত্র: MIT

0
Updated: 1 month ago
তড়িৎ মুদ্রণ কী?
Created: 1 week ago
A
ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রযুক্তি
B
ফটোগ্রাফির প্রিন্টিং প্রযুক্তি
C
কাগজে হাতের লেখা মুদ্রণের পদ্ধতি
D
তড়িৎ প্রলেপের মাধ্যমে হরফ বা ব্লক তৈরি করার পদ্ধতি
তড়িৎ মুদ্রণ (Electrotyping)
-
সংজ্ঞা: তড়িৎ প্রলেপের একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হরফ, ব্লক মডেল ইত্যাদি তৈরিকে তড়িৎ মুদ্রণ বলে।
প্রক্রিয়া
-
প্রথমে লেখাটি সাধারণ টাইপ ব্যবহার করে মোমের উপর ছাপানো হয়।
-
এরপর মোমের ওপর সূক্ষ্ম গ্রাফাইট গুঁড়ো ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যাতে এটি তড়িৎ পরিবাহী হয়।
-
এই মোমের ছাঁচকে কপার সালফেট দ্রবণে ক্যাথোড হিসেবে ডুবানো হয়।
-
একই দ্রবণে একটি তামার পাতকে অ্যানোড হিসেবে রাখা হয়।
-
দ্রবণের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে মোমের ছাঁচের ওপর তামার প্রলেপ জমতে থাকে।
-
প্রলেপ যথেষ্ট পুরু হলে ছাঁচ থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয় এবং সেটি ছাপার কাজে ব্যবহার করা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
ফারেনহাইট ও সেলসিয়াসের স্কেলে কত ডিগ্রি তাপমাত্রায় সমান তাপমাত্রা নির্দেশ করে?
Created: 2 months ago
A
০°
B
১০০°
C
৪°
D
- ৪০°
সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণের জন্য আমরা নিচের সূত্রটি ব্যবহার করি:
C/5 = (F - 32)/9
এখানে, C = সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং F = ফারেনহাইট তাপমাত্রা।
এখন, যদি ধরা হয় উভয় স্কেলে তাপমাত্রা সমান (x), তাহলে সমীকরণ দাঁড়ায়—
x/5 = (x - 32)/9
এখন উভয় পক্ষকে গুণ করলে:
9x = 5x - 160
=> 4x = -160
=> x = -40
অতএব, সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট উভয় স্কেলেই -৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা একই রকম মান নির্দেশ করে।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।

0
Updated: 2 months ago
লোকভর্তি হল ঘরে শূন্য ঘরের চেয়ে শব্দ ক্ষীণ হয়, কারণ-
Created: 2 months ago
A
লোকভর্তি ঘরে মানুষের সোরগোল হয়
B
শূন্য ঘর নীরব থাকে
C
শূন্য ঘরে শব্দের শোষণ কম হয়
D
শূন্য ঘরে শব্দের শোষণ বেশি হয়
শব্দ হল একটি যান্ত্রিক এবং অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ, যা বস্তুর কম্পনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। যখন একটি ঘরে বেশি মানুষ বা আসবাবপত্র থাকে, তখন শব্দের অনেকাংশ সেগুলোর মাধ্যমে শোষিত হয়, ফলে শব্দের আওয়াজ কমে যায়।
তাই লোকভর্তি ঘরে শব্দের শোষণ বেশি হওয়ায় শব্দের গতি ও আওয়াজ ক্ষীণ অনুভূত হয়। অপরদিকে, শূন্য বা খালি ঘরে শব্দের শোষণ কম হওয়ায় শব্দ তুলনামূলকভাবে বেশি প্রবল শোনা যায়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি এবং পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago