স্বর্ণের খাদ বের করতে কোন অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়?
A
সাইট্রিক অ্যাসিড
B
নাইট্রিক অ্যাসিড
C
হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড
D
টারটারিক অ্যাসিড
উত্তরের বিবরণ
রাজঅম্ল বা অ্যাকোয়া রেজিয়া হচ্ছে একটি শক্তিশালী অ্যাসিড মিশ্রণ, যা ১ মোল নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO₃) এবং ৩ মোল হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) দ্বারা প্রস্তুত করা হয়। এই বিশেষ অ্যাসিড মিশ্রণ সাধারণত স্বর্ণের খাঁটি অংশ শনাক্ত করতে ও আলাদা করতে ব্যবহৃত হয়।
স্বর্ণের খাদ বের করতে প্রথমে তাকে নাইট্রিক অ্যাসিডের মাধ্যমে উত্তপ্ত করা হয়, যাতে অন্যান্য ধাতব অমিশ্রণ অপসারিত হয়। এদিকে, সালফিউরিক অ্যাসিড (H₂SO₄) সাধারণত রূপচর্চা বা কসমেটিক ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি স্বর্ণের বিশ্লেষণে নয়।
যেমন স্বর্ণ ও প্লাটিনাম—এই ধরনের অভিজাত ধাতুগুলো একা হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড বা নাইট্রিক অ্যাসিডে সহজে দ্রবীভূত হয় না। কিন্তু অ্যাকোয়া রেজিয়া এই ধাতুগুলোকে সহজেই দ্রবীভূত করতে সক্ষম, কারণ এই মিশ্রণের দুইটি অ্যাসিডের কার্যপদ্ধতি ভিন্ন হলেও একে অপরকে সহায়তা করে।
নাইট্রিক অ্যাসিড একটি শক্তিশালী অক্সিডাইজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা স্বর্ণকে Au³⁺ আয়নে রূপান্তর করে। অপরদিকে, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড থেকে প্রাপ্ত ক্লোরাইড আয়নগুলো এই স্বর্ণ আয়নের সঙ্গে কমপ্লেক্স গঠন করে এবং দ্রবণে স্থিতিশীল করে। এর ফলে দ্রবণে Au³⁺ আয়নের ঘনমাত্রা কমে যায়, যা রাসায়নিক সাম্যাবস্থাকে আরও দ্রবীভবনের দিকে ঠেলে দেয়।
সূত্র: MIT
0
Updated: 3 months ago
মকরক্রান্তি রেখা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
২৩°৩০′ দক্ষিণ অক্ষাংশ
B
২৩°৩০′ উত্তর অক্ষাংশ
C
২৩°৩০′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ
D
২৩°৩০′ পশ্চিম দ্রাঘিমাংশ
পৃথিবীর অক্ষ ও সূর্যের অবস্থানের কারণে কিছু নির্দিষ্ট অক্ষরেখা সূর্যের কিরণকে সরাসরি প্রভাবিত করে।
-
দক্ষিণ গোলার্ধে ২৩.৫° দক্ষিণ অক্ষরেখা বা ২৩°৩০′ দক্ষিণ অক্ষাংশকে মকরক্রান্তি রেখা বলা হয়।
-
উত্তর গোলার্ধে ২৩.৫° উত্তর অক্ষরেখাকে কর্কটক্রান্তি রেখা বলা হয়।
-
পৃথিবীর আহ্নিক গতি এবং নিজ অক্ষে ২৩.৫° কোণে হেলে থাকা অবস্থার কারণে সূর্যের কিরণ এই দুই অক্ষরেখার উপর লম্বভাবে পড়ে।
0
Updated: 1 month ago
এসবেসটস কি?
Created: 3 months ago
A
অগ্নি নিরোধক খনিজ পদার্থ
B
কম ঘনত্ববিশিষ্ট তরল পদার্থ
C
বেশি ঘনত্ববিশিষ্ট তরল পদার্থ
D
এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ
এসবেস্টস একধরনের অগ্নি প্রতিরোধী খনিজ উপাদান।
-
এটি ম্যাগনেসিয়াম-ভিত্তিক একটি আকরিক হিসেবে পরিচিত।
-
তাপ ও আগুন প্রতিরোধের অসাধারণ ক্ষমতার কারণে এটি বৈদ্যুতিক এবং ভবন নিরোধক হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
-
প্রত্যেক ফায়ার সার্ভিস সহায়ক কর্মী একই ধরনের এসবেস্টস তন্তুর সংস্পর্শে এসেছিলেন।
-
তাছাড়া, আগুন নির্বাপণ কেন্দ্রের বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী, ফায়ার ট্রাকের যন্ত্রাংশ ও সুরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে এসবেস্টস ব্যবহৃত হতো।
0
Updated: 3 months ago
তাপ পরিমাপের যন্ত্র কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ভোল্টমিটার
B
থার্মোমিটার
C
ক্যালরিমিটার
D
অ্যামিটার
তাপ (Heat) এবং তাপমাত্রা (Temperature)
1️⃣ তাপ (Heat)
-
সংজ্ঞা: বস্তুর বা পদার্থের অণুসমূহের অভ্যন্তরস্থ গতির সঙ্গে সম্পর্কিত শক্তি, যা ঠান্ডা ও গরমের অনুভূতি সৃষ্টি করে।
-
এস.আই একক: জুল (J)
-
অন্যান্য একক: ক্যালরি (Cal), যা বিশেষ করে পুষ্টি বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।
-
পরিমাপের যন্ত্র: ক্যালরিমিটার
-
বৈশিষ্ট্য:
-
তাপের প্রবাহ তাপের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে না।
-
দুটি বস্তুর তাপ সমান হলেও, তাদের তাপমাত্রা ভিন্ন হতে পারে।
-
2️⃣ তাপমাত্রা (Temperature)
-
সংজ্ঞা: বস্তুর তাপীয় অবস্থা, যা এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুতে তাপ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
-
এস.আই একক: কেলভিন (K)
-
প্রচলিত একক: সেলসিয়াস (°C) ও ফারেনহাইট (°F)
-
পরিমাপের যন্ত্র: থার্মোমিটার
-
বৈশিষ্ট্য:
-
তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে তাপের প্রবাহ।
-
দুটি বস্তুর তাপমাত্রা সমান হলেও, তাতে থাকা তাপের পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে।
-
3️⃣ অন্যান্য পরিমাপ যন্ত্র
-
থার্মোমিটার → তাপমাত্রা পরিমাপ করে
-
ভোল্টমিটার → বিভব পার্থক্য (Voltage) পরিমাপ করে
-
অ্যামিটার → বিদ্যুৎ প্রবাহ (Current) পরিমাপ করে
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago