শুদ্ধ বানান কোনটি?
A
অর্দিক্ষীত
B
অদিক্ষীত
C
অদীক্ষিত
D
অদীক্ষীত
উত্তরের বিবরণ
শব্দ: অদীক্ষিত
-
শুদ্ধ বানান: অদীক্ষিত
-
পদবিভাগ: বিশেষণ
-
উৎপত্তি: সংস্কৃত
-
অর্থ: দীক্ষালাভ করেনি এমন
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বর্ণদ্বিত্বের উদাহরণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
গলদা > গল্লা
B
স্বর্ণ > সন্ন
C
ছোট > ছোট্ট
D
রাজ্য > রাজ্জ
বর্ণদ্বিত্ব বা দ্বিত্ব ব্যঞ্জন হল একটি ভাষাগত বৈশিষ্ট্য, যেখানে কোনো শব্দের উচ্চারণ বা অর্থের গুরুত্ব অনুযায়ী একটি ব্যঞ্জনধ্বনি দ্বিগুণ উচ্চারিত হয় এবং তাই তার বানানেও দ্বিত্ববর্ণ দেখা যায়। এটি বর্ণদ্বিত্ব, দ্বিত্ব ব্যঞ্জন বা ব্যঞ্জনদ্বিত্বতা নামে পরিচিত।
-
উদাহরণস্বরূপ:
-
সকাল > সক্কাল
-
মুলুক > মুল্লুক
-
বড় > বড্ড
-
ছোট > ছোট্ট
-
কিছু > কিচ্ছু
-
পাকা > পাক্কা
-
অন্যদিকে, প্রগত সমীভবন হলো এমন প্রক্রিয়া যেখানে পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের প্রভাবে পরবর্তী অসম ব্যঞ্জনধ্বনি পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সমান উচ্চারণে রূপান্তরিত হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ:
-
চন্দন > চন্নন
-
গলদা > গল্লা
-
স্বর্ণ > সন্ন
-
পদ্ম > পদ্দ
-
রাজ্য > রাজ্জ
-
চক্র > চক্কর
-
লগ্ন > লগ্ন
-
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি প্রমিত বানান নয়?
Created: 2 months ago
A
তৃণ
B
অগ্নিষাৎ
C
ভাষণ
D
উষ্ণ
প্রমিত বাংলা বানান ও ণ-ত্ব / ষ-ত্ব বিধান
১. প্রমিত বানান
-
অগ্নিষাৎ → প্রমিত নয়।
-
সংস্কৃত ‘সাৎ’ প্রত্যয়যুক্ত পদে সাধারণত ষ নয়।
উদাহরণ:-
অগ্নিসাৎ
-
ধূলিসাৎ
-
ভূমিসাৎ
-
২. ণ-ত্ব বিধান
-
ঋ, র, ষ এর পরে মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়।
উদাহরণ:-
ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বর্ণনা, কারণ, মরণ, ভীষণ, ভাষণ, উষ্ণ ইত্যাদি
-
৩. মূল নিয়ম
-
তৎসম/সংস্কৃত শব্দে ঋ, র, ষ এর পরে ‘ণ’ লেখা হয়।
-
সমাস বা বিদেশি/দেশি শব্দে এই বিধান প্রয়োগ হয় না।
0
Updated: 2 months ago
'কলমবাজ' - শব্দের 'বাজ' কোন ধরনের প্রত্যয়?
Created: 1 month ago
A
বাংলা কৃৎ প্রত্যয়
B
বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়
C
সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়
D
বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়
‘কলমবাজ’ শব্দের ‘বাজ’ একটি বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়।
তদ্ধিত প্রত্যয় হলো এমন প্রত্যয়, যা শব্দের শেষে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে। উদাহরণস্বরূপ—
-
লাজ + উক = লাজুক,
-
বড় + আই = বড়াই,
-
ঘর + আমি = ঘরামি।
বাংলা ভাষায় তদ্ধিত প্রত্যয় তিন প্রকার—
১. বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়,
২. বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়,
৩. তৎসম বা সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়।
বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়ের উদাহরণসমূহ—
-
বাজ (অর্থ: দক্ষ): কলমবাজ, ধড়িবাজ, ধোঁকাবাজ।
-
বন্দি (উৎপত্তি: ফারসি ‘বন্দ্’): জবানবন্দি, সারিবন্দি, নজরবন্দি, কোমরবন্দ।
-
সই (অর্থ: মতো): জুতসই, মানানসই, চলনসই, টেকসই।
দ্রষ্টব্য: ‘টিপসই’ ও ‘নামসই’ শব্দে ‘সই’ কোনো প্রত্যয় নয়; এগুলো ‘সহি’ (অর্থ: স্বাক্ষর) শব্দ থেকে উদ্ভূত।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
বিভক্তিহীন নাম শব্দকে বলা হয় প্রাতিপদিক।
-
প্রাতিপদিক তদ্ধিত প্রত্যয়ের প্রকৃতি বলে একে নাম প্রকৃতিও বলা হয়।
-
যেমন ধাতু কৃৎ-প্রত্যয়ের প্রকৃতি, তেমনি প্রাতিপদিক তদ্ধিত প্রত্যয়ের প্রকৃতি।
-
প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতু হয় ক্রিয়া প্রকৃতি এবং প্রাতিপদিক হয় নাম প্রকৃতি।
-
তদ্ধিত প্রত্যয় বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়ে শব্দের অর্থে বৈচিত্র্য আনে।
0
Updated: 1 month ago