'দেখা যায় না এমন' এক কথায় কী বলে?
A
ভূতপূর্ব
B
অদৃশ্য
C
অদৃষ্ট
D
অদৃষ্টপূর্ব
উত্তরের বিবরণ
শব্দার্থ ও তাদের অর্থ
-
দেখা যায় না এমন, দৃষ্টির অগোচর – অদৃশ্য
-
যা পূর্বে ছিল এখন নেই – ভূতপূর্ব
-
দেখা হয়নি এমন – অদৃষ্ট
-
যা পূর্বে দেখা যায় নি এমন – অদৃষ্টপূর্ব
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'বঙ্গদর্শন' - পত্রিকার প্রথম সম্পাদক কে?
Created: 1 month ago
A
অক্ষয়কুমার দত্ত
B
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
জোশুয়া মার্শম্যান
D
দোম আন্তোনিও
‘বঙ্গদর্শন’ হলো একটি মাসিক সাহিত্যপত্রিকা, যা ১৮৭২ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি উনিশ শতকের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ প্রভাব ফেলেছে, বিশেষত বাংলা গদ্যের গঠনে। পত্রিকাটি ১৮৭৬ পর্যন্ত মাত্র চার বছর প্রকাশিত হয়েছিল।
-
ভাষা ও বিষয়বস্তু:
-
খুব উন্নত মানের সাধু বাংলা
-
সাহিত্য, সমাজ, বিজ্ঞান, রাজনীতি, ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন সম্পর্কিত প্রবন্ধ
-
বিভিন্ন উপন্যাস প্রকাশিত হতো
-
-
সম্পাদনা ও নেতৃত্ব:
-
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৮৭৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন সম্পাদক ও প্রধান লেখক।
-
উল্লেখযোগ্য:
-
অক্ষয়কুমার দত্ত সম্পাদিত পত্রিকা: তত্ত্ববোধিনী
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'মনগড়া' - কোন সমাস?
Created: 1 month ago
A
কর্মধারয় সমাস
B
তৎপুরুষ সমাস
C
বহুব্রীহি সমাস
D
নিত্য সমাস
তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস এমন এক ধরনের সমাস, যেখানে পূর্বপদে থাকা তৃতীয়া বিভক্তি (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপ পায়। অর্থাৎ, দুটি পদ একত্রিত হয়ে নতুন একটি শব্দ তৈরি করে, তবে বিভক্তিচিহ্ন আর থাকে না। এই সমাসে ক্রিয়ার সঙ্গে করণ বা উপায়ের সম্পর্ক বোঝায়।
তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাসের সংজ্ঞা:
-
পূর্বপদে তৃতীয়া বিভক্তির (যেমন— দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপে যে সমাস গঠিত হয়, তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলা হয়।
উদাহরণ:
-
মন দিয়ে গড়া → মনগড়া
-
শ্রম দ্বারা লব্ধ → শ্রমলব্ধ
-
মধু দিয়ে মাখা → মধুমাখা
ব্যাখ্যা:
উপরের উদাহরণগুলোয় দেখা যায়, বিভক্তি “দিয়ে” বা “দ্বারা” বাদ দিয়ে দুটি শব্দ যুক্ত হয়েছে। এর ফলে নতুন শব্দ সৃষ্টি হয়েছে, যা মূল বাক্যের ভাব বজায় রেখেছে কিন্তু গঠনগতভাবে সংক্ষিপ্ত হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
'রাত্রিকালীন যুদ্ধকে' এক কথায় কী বলা হয়?
Created: 1 week ago
A
ভুজঙ্গ
B
নৈশরণ
C
জুগুপ্স
D
সৌপ্তিক
‘রাত্রিকালীন যুদ্ধ’ বা রাতে সংঘটিত যুদ্ধকে এক কথায় “সৌপ্তিক” বলা হয়। এই শব্দটি সংস্কৃত মূল থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ ঘুমন্ত বা রাত্রির সঙ্গে সম্পর্কিত। সাহিত্য ও ইতিহাসে এটি সাধারণত সেই যুদ্ধকে বোঝায়, যা রাতের অন্ধকারে সংঘটিত হয়। অন্যদিকে, ভুজঙ্গ শব্দের অর্থ সাপ, এবং এটি বহু কাব্যে প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। জুগুপ্সা বলতে বোঝায় নিন্দা, কুৎসা, অপবাদ বা ঘৃণা—যা কোনো ব্যক্তির প্রতি অবজ্ঞা বা অপমান প্রকাশের অনুভূতি প্রকাশ করে।
• সৌপ্তিক যুদ্ধ শব্দটি মহাভারতের “সৌপ্তিক পর্ব”-এর সঙ্গে সম্পর্কিত, যেখানে রাতের অন্ধকারে যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
• ভুজঙ্গ শব্দটি কবিতায় প্রায়ই বিপদ, প্রতারণা বা ভয় বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
• জুগুপ্সা শব্দটি সাধারণত নৈতিক বা সামাজিক ঘৃণার অর্থে ব্যবহৃত হয়, যা অন্যের প্রতি বিরূপ মনোভাব নির্দেশ করে।
• সাহিত্যিক বিশ্লেষণে, এই তিনটি শব্দ যথাক্রমে যুদ্ধ, প্রাণী ও অনুভূতির প্রতীকী প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
• প্রাচীন সংস্কৃত ও বাংলা সাহিত্য উভয় ভাষাতেই এদের ব্যবহার শব্দরস ও অর্থবৈচিত্র্য বৃদ্ধি করে।
0
Updated: 1 week ago