সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী রচিত কোন গ্রন্থটি বৃটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ প্রচারের অভিযোগে বাজেয়াপ্ত করা হয়?
A
স্পেন বিজয় কাব্য
B
তারাবাঈ
C
অনল প্রবাহ
D
স্বজাতি প্রেম
উত্তরের বিবরণ
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী রচিত ‘অনল প্রবাহ’ মুসলিম জাগরণমূলক একটি কাব্য, যা ১৯০০ সালে প্রকাশিত হয়। কাব্যটি মুসলমানদের দুরবস্থা ও অধঃপতন তুলে ধরে এবং ইংরেজদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও রোষ প্রকাশ করেছে। কাব্যটির মূল বার্তা হলো: “যা চলে গেছে তার জন্য শোক বৃথা, বরং জাতির হৃতগৌরব উদ্ধারের প্রচেষ্টা মুখ্য।”
-
প্রথম সংস্করণে কবিতা ছিল নয়টি:
-
অনল-প্রবাহ
-
তুর্যধ্বনি
-
মূর্ছনা
-
বীর-পূজা
-
অভিভাষণ: ছাত্রগণের প্রতি
-
মরক্কো-সঙ্কটে
-
আমীর-আগমনে
-
দীপনা
-
আমীর-অভ্যর্থনা
-
-
১৩১৫ বঙ্গাব্দে (১৯০৮) প্রকাশিত দ্বিতীয় সংস্করণ ছিল পরিবর্তিত ও বর্ধিত।
-
বর্ধিত সংস্করণের কারণে তৎকালীন বাংলার সরকার বইটি বাজেয়াপ্ত করে এবং সিরাজীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তিনি ফরাসি অধিকৃত চন্দননগরে ৮ মাস আত্মগোপন করেন এবং পরে আত্মসমর্পণ করলে বৃটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ প্রচারের অভিযোগে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড লাভ করেন।
সিরাজীর অন্যান্য সাহিত্যকর্ম:
-
উপন্যাস: রায়নন্দিনী, তারাবাঈ, ফিরোজা বেগম
-
প্রবন্ধ: স্বজাতি প্রেম, তুর্কি নারী জীবন, স্পেনীয় মুসলান সভ্যতা
-
কাব্যগ্রন্থ: অনল প্রবাহ, উচ্ছ্বাস, উদ্বোধন, স্পেন বিজয় কাব্য
-
ভ্রমণকাহিনি: তুরস্ক ভ্রমণ
উৎস:

0
Updated: 18 hours ago
শরৎচন্দ্রের কোন উপন্যাসটি সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল?
Created: 2 months ago
A
পথের দাবী
B
নিষ্কৃতি
C
চরিত্রহীন
D
দত্তা
সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হওয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর উপন্যাস হলো 'পথের দাবী'।
• 'পথের দাবী' উপন্যাস:
- 'পথের দাবী' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি রাজনৈতিক উপন্যাস। কাহিনির পটভূমি ব্রহ্মদেশ।
- এক গুপ্ত দলের নায়ক সব্যসাচী উপন্যাসের প্রধান চরিত্র।
- কারো কারো মতে সব্যসাচী চরিত্রে বিপ্লবী রসবিহারীবসুর ছায়াপাত ঘটেছে।
- উপন্যাসটি বিপ্লববাদীদের প্রতি সমর্থনের অভিযোগে ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করে।
- ভারতীয় রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাসে এই গ্রন্থ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
- বঙ্গবাণী পত্রিকার ১৩২৯-এর ফাল্গুন সংখ্যা থেকে 'পথের দাবি' ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
-----------------------------
• শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়:
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলি জেলার দেবানন্দপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর প্রথম উপন্যাস বড়দিদি (১৯০৭) ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত গল্পের নাম 'মন্দির'।
- তিনি 'মন্দির' গল্পের জন্য ১৯০৩ সালে কুন্তলীন সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন।
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস হলো 'পথের দাবী' যা ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয়। এটি ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল।
তাঁর রচিত বিখ্যাত উপন্যাস:
- দেনা-পাওনা,
- বড়দিদি,
- দত্তা,
- বিরাজ-বৌ,
- পণ্ডিতমশাই,
- পরিণীতা,
- চন্দ্রনাথ,
- দেবদাস,
- পল্লীসমাজ,
- চরিত্রহীন,
- গৃহদাহ,
- পথের দাবী,
- শেষ প্রশ্ন,
- শেষের পরিচয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি উপন্যাস নয়?
Created: 1 week ago
A
দিবারাত্রির কাব্য
B
শেষের কবিতা
C
পল্লী-সমাজ
D
কবিতার কথা
কবিতার কথা, শেষের কবিতা, দিবারাত্রির কাব্য ও পল্লী-সমাজ—allই বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ, যা তাদের প্রকাশকাল, রচয়িতা ও মূল চরিত্রের দিক থেকে আলাদা। প্রতিটি গ্রন্থের তথ্য নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
-
কবিতার কথা: জীবনানন্দ দাশ রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ। এটি ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থের বিখ্যাত উক্তি হলো: "সকলেই কবি নন, কেউ কেউ কবি"।
-
শেষের কবিতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উপন্যাস, যা ১৯২৯ সালে প্রকাশিত হয়। এটি কাব্যোপন্যাস হিসেবেও পরিচিত। মূল চরিত্রগুলো হলো অমিত, লাবণ্য, কেতকী প্রমুখ।
-
দিবারাত্রির কাব্য: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস, যা ১৯৩৫ সালে প্রকাশিত হয়। প্রধান চরিত্রগুলো হলো হেরম্ব ও আনন্দ।
-
পল্লী-সমাজ: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস, যা ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয়। এর আগে এটি “ভারতবর্ষ” পত্রিকায় ১৯১৫ সালে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। প্রধান চরিত্রগুলো হলো রমা, রমেশ, বেণী ও বলরাম।

0
Updated: 1 week ago
'জীবন আমার বোন' উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র কোনটি?
Created: 1 day ago
A
রঞ্জু
B
মুরাদ
C
লুলু চৌধুরী
D
জাহেদুল কবির খোকা
‘জীবন আমার বোন’ উপন্যাস
-
লেখক: মাহমুদুল হক
-
প্রকাশ: ১৯৭৬, সাহিত্য প্রকাশ
-
এটি লেখকের তৃতীয় উপন্যাস
-
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাহিনী, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ যুগসন্ধিক্ষণের ঘটনাপ্রবাহকে চিত্রিত করে
-
পটভূমি: ১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ, ঢাকা শহর
-
কেন্দ্রীয় চরিত্র: জাহেদুল কবির খোকার দৃষ্টি দিয়ে গল্প বলা হয়েছে
উপন্যাসের কাহিনি সংক্ষেপ:
-
১ মার্চ প্রেসিডেন্টের ভাষণে উত্তাল হয় ঢাকা; উত্তেজনা বাড়তে থাকে বিশেষ করে খোকার বয়সী তরুণদের মধ্যে
-
শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের জল্পনা-কল্পনা, কাঠের ডামি রাইফেল হাতে কুচকাওয়াজ
-
সমান্তরালভাবে চলে রঞ্জু-খোকার পারিবারিক জীবন
-
ঘটেছে আসন্ন যুদ্ধ পূর্ববর্তী ঐতিহাসিক ঘটনাবলী:
-
অসহযোগ আন্দোলন
-
জাহাজে করে চট্টগ্রামে পাকিস্তানি সৈন্যের আগমন
-
নতুন গভর্নর টিক্কা খান
-
৭ মার্চের ভাষণ
-
জয়দেবপুরে সেনাবাহিনীর গোলাগুলি
-
ঢাকার রাস্তায় মিছিল, মিটিং, জনসভা
-
-
উপন্যাসে দেখা যায় বারুদের স্তুপে পরিণত ঢাকা শহর, যা ২৫ মার্চের কালরাতে স্ফুলিঙ্গে জ্বলে উঠে
-
গণহত্যা শেষে ২৭ মার্চ ঠিক মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মুহূর্তেই উপন্যাস শেষ হয়
উপন্যাসের অন্যান্য চরিত্র:
-
খোকার ছোট বোন: রঞ্জু
-
খোকার বন্ধু: মুরাদ, ইয়াসিন, রহমান
-
মুরাদের বড় বোন: লুলু চৌধুরী
-
খোকার পরিচিত: রাজীব ভাই ও তার দুই স্ত্রী
মাহমুদুল হক রচিত অন্যান্য উপন্যাস:
-
কালো বরফ (দেশবিভাগের কাহিনী)
-
জীবন আমার বোন (মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রিক)
-
খেলাঘর
-
অনুর পাঠশালা
-
নিরাপদ তন্দ্রা
-
অশরীরী
-
পাতালপুরী
-
মাটির জাহাজ

0
Updated: 1 day ago