'বহিপীর' সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত একটি-
A
রূপক নাটক
B
ঐতিহাসিক নাটক
C
সামাজিক নাটক
D
মনস্তাত্ত্বিক নাটক
উত্তরের বিবরণ
‘বহিপীর’ নাটকটি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত একটি সামাজিক নাটক এবং আধুনিক বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ রচনা। এটি ১৯৫৫ সালে রচিত এবং ১৯৬৫ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। নাটকটি বহিপীরের সর্বগ্রাসী স্বার্থ এবং নতুন দিনের প্রতীক হিসেবে এক বালিকার বিদ্রোহের কাহিনীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
-
নাটকের নামকরণ মূল চরিত্র বহিপীর এর নামে, যিনি ধর্মকে ভণ্ডভাবে নিজের স্বার্থসিদ্ধিতে ব্যবহার করেন।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
-
বহিপীর
-
তাহেরা
-
হাতেম
-
আমেনা
-
হাশেম
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'হায়! জীবন এতো ছোট ক্যানে? এই ভুবনে'- বিখ্যাত সংলাপটি কোন উপন্যাসের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 1 month ago
A
কালিন্দী
B
কবি
C
হাঁসুলি বাঁকের উপকথা
D
আরগ্য নিকেতন
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’ উপন্যাস বাংলা কথাসাহিত্যের এক অনন্য সৃষ্টি, যেখানে কবিত্ব, প্রেম, সমাজ ও মানবজীবনের সীমা-অসীমতার সংঘাত একসাথে রূপ পেয়েছে। এই উপন্যাসে লেখক একজন প্রান্তিক মানুষের শিল্পীসত্তা ও তার জীবনের বেদনাকে গভীর মানবিক দৃষ্টিতে উপস্থাপন করেছেন।
-
‘কবি’ তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্র নিতাইচরণ, এক ডোম সম্প্রদায়ের যুবক, যার অন্তর্নিহিত কবিসত্তাই উপন্যাসের মূল বিষয়।
-
গল্পটি এক নিম্নবর্ণের মানুষ কীভাবে কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ও সমাজে নিজের অবস্থান তৈরি করতে চায়, সেই সংগ্রামকে কেন্দ্র করে আবর্তিত।
-
নিতাইচরণের জীবনে দুটি নারী আসে—কমলা ও কুন্তলা, যাদের মাধ্যমে প্রেম, আকাঙ্ক্ষা ও আত্মত্যাগের বহুমাত্রিক দিকগুলো ফুটে ওঠে।
-
উপন্যাসে শিল্পী ও সমাজের দ্বন্দ্ব, প্রেম ও দায়িত্ববোধের সংঘাত, এবং মানুষের আত্মপ্রতিষ্ঠার তীব্র আকাঙ্ক্ষা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
উপন্যাসের অন্যতম বিখ্যাত সংলাপটি—
“এই খেদ আমার মনে, ভালবেসে মিটলোনা সাধ, কুলালোনা এই জীবনে। হায়! জীবন এত ছোট কেনে? এই ভুবনে।”
—এই সংলাপ নিতাইচরণের আত্মকথন, যেখানে তাঁর অপূর্ণ ভালোবাসা ও জীবনের সীমাবদ্ধতার গভীর বোধ প্রকাশ পেয়েছে। -
তারাশঙ্কর এই উপন্যাসে সমাজের প্রান্তিক মানুষের কণ্ঠকে কেন্দ্র করে মানবিকতার এক সার্বজনীন রূপ তুলে ধরেছেন।
-
ভাষা ও বর্ণনা কাব্যিক, সংলাপগুলো আবেগপূর্ণ, যা উপন্যাসটিকে বাংলা কথাসাহিত্যে এক ক্লাসিক মর্যাদায় আসীন করেছে।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তথ্য:
-
তিনি ছিলেন একাধারে কথাসাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ।
-
জন্ম: ১৮৯৮ সালে, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার এক জমিদার পরিবারে।
-
তাঁর প্রথম গল্প ‘রসকলি’, যা সেকালের প্রসিদ্ধ পত্রিকা ‘কল্লোল’-এ প্রকাশিত হয়।
-
তাঁর লেখায় গ্রামীণ সমাজ, প্রান্তিক মানুষের জীবনসংগ্রাম, নৈতিক দ্বন্দ্ব ও মানবিক বোধ গভীরভাবে প্রতিফলিত।
প্রধান উপন্যাসসমূহ:
-
চৈতালি ঘূর্ণি
-
ধাত্রীদেবতা
-
কালিন্দী
-
কবি
-
হাঁসুলি বাঁকের উপকথা
-
গণদেবতা
-
আরগ্য নিকেতন
-
পঞ্চপুণ্ডলী
-
রাধা
ত্রয়ী উপন্যাস:
-
ধাত্রীদেবতা
-
গণদেবতা
-
পঞ্চগ্রাম
প্রসিদ্ধ ছোটগল্প:
-
রসকলি
-
বেদেনী
-
ডাকহরকরা
‘কবি’ উপন্যাসে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছেন—কবিত্ব কোনো সামাজিক অবস্থানের সীমায় আবদ্ধ নয়, বরং তা মানবমনের অন্তর্গত এক অনন্ত স্রোত, যা জীবন, প্রেম ও মৃত্যুর সীমা অতিক্রম করে মানুষকে অমর করে তোলে।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি অব্যয়বাচক দ্বিরুক্তির উদাহরণ?
Created: 2 weeks ago
A
ভারা ভারা
B
ছম ছম
C
হাতে নাতে
D
নেই নেই
বাংলা ভাষায় অব্যয়বাচক দ্বিরুক্তি হলো সেই ধরনের শব্দসমষ্টি যা সাধারণত অব্যয় বা ক্রিয়াবিশেষণ না হয়ে ধ্বনিমূলক বা অর্থবাচক অনুরূপ শব্দের পুনরাবৃত্তি দিয়ে গঠিত হয়। এই ধরনের দ্বিরুক্তিতে শব্দগুলো সাধারণত অভিব্যক্তি, অনুভূতি বা কণ্ঠস্বরের ছন্দ প্রকাশ করে এবং ভাষায় রস, তাল ও লয় যোগ করে।
‘ছম ছম’ শব্দটি এই ধরনের একটি উদাহরণ। এটি মূলত ধ্বনির অনুকরণে বা ছন্দময় প্রকাশে ব্যবহৃত হয়, যা কোনো ঘটনার তীব্রতা বা ক্রিয়ার গতি বোঝায়। এর কিছু মূল বৈশিষ্ট্য হলো:
-
ধ্বনিমূলক পুনরাবৃত্তি: ‘ছম ছম’ শব্দের পুনরাবৃত্তি ধ্বনিগত প্রভাব সৃষ্টি করে এবং শব্দটির সঙ্গে যুক্ত ঘটনার তীব্রতা বা তৎপরতা পাঠকের কাছে স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করে।
-
অব্যয়বাচক প্রভাব: এটি কোনো ক্রিয়া বা বিশেষণ নয়, বরং অব্যয়বাচক ধ্বনি বা বাচ্যসূচক শব্দ, যা পরিস্থিতি বা অভিব্যক্তি প্রকাশ করে।
-
ভাষার ছন্দ ও রস: এই ধরনের দ্বিরুক্তি বাংলা কথ্য ও সাহিত্যিক ভাষায় ছন্দ, লয় ও রস যোগ করে। উদাহরণস্বরূপ, ‘ছম ছম’ শব্দটি পদ্যে বা গদ্যে চলমান বা তীব্র গতির ইঙ্গিত দেয়।
-
সাহিত্যিক ব্যবহার: অব্যয়বাচক দ্বিরুক্তি সাধারণত গদ্য, কবিতা ও নাটক-এ ব্যবহৃত হয়, যেখানে শব্দের ধ্বনি বা ছন্দ পাঠকের অনুভূতিতে প্রভাব ফেলে।
সারসংক্ষেপে, ‘ছম ছম’ শব্দটি অব্যয়বাচক দ্বিরুক্তির একটি典তম উদাহরণ, যা মূলত ধ্বনিগত প্রভাব এবং ছন্দময় প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ভাষার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং কোনো ঘটনার গতি, তীব্রতা বা তৎপরতা সহজভাবে বোঝাতে সহায়ক। অব্যয়বাচক দ্বিরুক্তি বাংলা ভাষার ধ্বনি, ছন্দ ও রসকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 2 weeks ago
'শেষের কবিতা' কোন ধরনের রচনা?
Created: 1 week ago
A
নাটক
B
উপন্যাস
C
ছোটগল্প
D
কবিতা
‘শেষের কবিতা’ বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা, এবং এটি উপন্যাস হিসেবে পরিচিত। তাই সঠিক উত্তর হলো উপন্যাস।
উপন্যাসটি সমাজের নানান বাস্তবতা ও মানসিক আবেগের সূক্ষ্ম বর্ণনা দেয়। এটি কেবল চরিত্রচিত্র এবং কাহিনীর মাধ্যমে পাঠককে বিনোদন দেয় না, বরং মানব জীবনের দার্শনিক ও সামাজিক দিকগুলোও তুলে ধরে। ‘শেষের কবিতা’ নামটি যদিও কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ, তবে এর কাঠামো, চরিত্র, কাহিনি এবং প্রেক্ষাপট লক্ষ্য করলে বোঝা যায় এটি সম্পূর্ণরূপে ঔপন্যাসিক ধাঁচের রচনা, যেখানে গল্পের ধারাবাহিকতা এবং ঘটনার বিকাশ মূল আকর্ষণ।
উপন্যাসের মাধ্যমে লেখক চরিত্রের মনস্তত্ত্ব, তাদের মানসিক দ্বন্দ্ব, সামাজিক অবস্থা এবং সম্পর্কের জটিলতা প্রকাশ করেন। ‘শেষের কবিতা’-তে এই বৈশিষ্ট্যগুলো স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যায়। রচনাটির মাধ্যমে সমাজ, সংস্কৃতি এবং মানুষের আবেগকে সংবেদনশীল ও গভীরভাবে পাঠকের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সংক্ষেপে, ‘শেষের কবিতা’ হলো একটি উপন্যাস, যা পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কাহিনীর গভীরতা এবং চরিত্রের মানসিক, সামাজিক ও দার্শনিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে। এটি বাংলা সাহিত্যে ঔপন্যাসিক ধারা ও সাহিত্যচেতনার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।
0
Updated: 1 week ago