ঘন পাতাবিশিষ্ট বৃক্ষের নিচে রাতে ঘুমানো স্বাস্থ্যসম্মত নয়, কারণ গাছ হতে-
A
অধিক পরিমাণে অক্সিজেন নির্গত হয়
B
অধিক পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়
C
অধিক পরিমাণে কার্বন মনো-অক্সাইড নির্গত হয়
D
বিষাক্ত সায়ানাইড নির্গত হয়
উত্তরের বিবরণ
ঘন পাতাওয়ালা গাছগুলো রাতে তুলনামূলকভাবে বেশি পরিমাণে শ্বসন প্রক্রিয়া চালায়।
রাতের সময় এই গাছগুলোর নিচে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, কারণ শ্বসনের মাধ্যমে তারা বেশি পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড পরিবেশে ছেড়ে দেয়।
এ সময় উদ্ভিদ বাইরের বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে নিজস্ব জৈব প্রক্রিয়া চালায়, ফলে আশপাশের বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং রাতের বেলায় গাছের নিচে অক্সিজেনের ঘনত্ব কমে যায়।
0
Updated: 3 months ago
তাপ প্রয়োগে সবচেয়ে বেশি প্রসারিত হয় কোন পদার্থ?
Created: 3 months ago
A
তরল পদার্থ
B
বায়বীয় পদার্থ
C
কঠিন পদার্থ
D
নরম পদার্থ
তাপ প্রয়োগ করলে সকল ধরনের পদার্থই প্রসারিত হয়। তবে কোন পদার্থ কতটা প্রসারিত হবে, তা নির্ভর করে তার অণুগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণের উপর। গ্যাসীয় পদার্থে এই আকর্ষণ সবচেয়ে কম,
তাই তাপের প্রভাবে গ্যাস পদার্থই সর্বাধিক প্রসারিত হয়। অন্যদিকে, কঠিন ও তরল পদার্থে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ তুলনামূলক বেশি হওয়ায় এদের প্রসারণ তুলনামূলকভাবে কম হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 3 months ago
আকাশ মেঘলা থাকলে গরম বেশি লাগে কেন?
Created: 3 months ago
A
মেঘ উত্তম তাপ পরিবাহক
B
সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে মেঘ তাপ উৎপন্ন করে
C
বজ্রপাতের ফলে তাপ উৎপন্ন হয় বলে
D
মেঘ পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে বিকীর্ণ তাপকে ওপরে যেতে বাধা দেয় বলে
দিনের বেলায় সূর্য থেকে যে আলোকরশ্মি বিকিরণের মাধ্যমে পৃথিবীতে আসে, তা সাধারণত স্বল্প তরঙ্গদৈর্ঘ্যের হয়। এ ধরনের রশ্মি সহজেই মেঘের স্তর ভেদ করে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারে।
কিন্তু, যখন এই রশ্মিগুলো ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যেতে চায়, তখন সেগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেড়ে যায়। ফলে, এই দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তাপরশ্মি আর সহজে মেঘ ভেদ করতে পারে না এবং মেঘের স্তরে আটকে যায়।
এই আটকে পড়া বিকিরণ আবার নিচের দিকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে, যার ফলে ভূপৃষ্ঠ এবং নিকটবর্তী বায়ুমণ্ডল গরম থাকে। বিশেষত মেঘলা দিনে বা রাতে এই প্রক্রিয়াটি তাপ ধরে রাখে, ফলে পরিবেশে উষ্ণতা অনুভূত হয়।
এছাড়া, মেঘলা আবহাওয়ায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়, কারণ বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও বেশি থাকে। এই অতিরিক্ত আর্দ্রতা ঘাম শুকাতে বাধা দেয়, ফলে শরীরে তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হয়, যাকে আমরা সাধারণভাবে ভ্যাপসা গরম বলে থাকি।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাঠ্যক্রম
0
Updated: 3 months ago
রেডিও আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়-
Created: 3 months ago
A
কিডনির পাথর গলাতে
B
পিত্তপাথর গলাতে
C
গলগণ্ড রোগ নির্ণয়ে
D
নতুন পরমাণু তৈরিতে
কিছু আইসোটোপের নিউক্লিয়াস স্বাভাবিকভাবে স্থিতিশীল না হওয়ায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়।
এই ধরনের অস্থিতিশীল নিউক্লিয়াস থেকে বিভিন্ন ধরনের কণা এবং কখনো কখনো ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রশ্মি নির্গত হয়। এমন অস্থির প্রকৃতির আইসোটোপকে রেডিওআইসোটোপ (radioisotope) বলা হয়।
রেডিওআইসোটোপ চিকিৎসাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উদাহরণস্বরূপ, আয়োডিন-১৩১ (Iodine-131) নামক একটি রেডিওআইসোটোপ রয়েছে যার অর্ধায়ু (half-life) প্রায় ৮ দিন। এটি থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা নিরীক্ষণ, গলগণ্ড ও থাইরয়েড ক্যান্সারের চিকিৎসা এবং মস্তিষ্ক ও যকৃতের টিউমার শনাক্তে ব্যবহৃত হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান (নবম-দশম শ্রেণি), বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এবং Britannica Encyclopedia
0
Updated: 3 months ago