"স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার? ভয় কি বন্ধু, আমরা এখনো চারকোটি পরিবার"-পঙ্ক্তিদ্বয় কার রচনা?
A
রফিক আজাদ
B
আলাউদ্দিন আল আজাদ
C
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
D
হাসান হাফিজুর রহমান
উত্তরের বিবরণ
আলাউদ্দিন আল আজাদ রচিত 'স্মৃতিস্তম্ভ' কবিতাটি তাঁর 'মানচিত্র' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। এটি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা হয়। কবিতাটিতে ভাষা আন্দোলনের সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও জাতির অটল প্রতিজ্ঞা ফুটে উঠেছে। এর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য লাইন হলো:
"স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার? ভয় কি বন্ধু, আমরা এখনো
চারকোটি পরিবার
খাড়া রয়েছি তো! যে-ভিত কখনো কোনো রাজন্য
পারেনি ভাঙতে"
-
রচয়িতা: আলাউদ্দিন আল আজাদ
-
জন্ম: ৬ মে ১৯৩২, নরসিংদী জেলার রায়পুর থানার রামনগর গ্রাম
-
তিনি ছিলেন শিক্ষাবিদ, কবি, কথাশিল্পী, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক, গবেষক ও সাহিত্য-সমালোচক।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস:
-
তেইশ নম্বর তৈলচিত্র
-
শীতের শেষ রাত বসন্তের প্রথম দিন
-
কর্ণফুলী
-
ক্ষুধা ও আশা
-
খসড়া কাগজ
-
স্বপ্নশিলা
-
বিশৃঙ্খলা
তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
-
মানচিত্র
-
ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ
তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থ:
-
জেগে আছি
-
মৃগনাভি
-
ধানকন্যা
-
যখন সৈকত
-
অন্ধকার সিঁড়ি
-
জীবনজামিন
-
আমার রক্ত স্বপ্ন আমার
উৎস:

0
Updated: 18 hours ago
রামমোহন রায় রচিত ব্রহ্মসূত্রের অনুবাদ ও টীকা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বেদান্তসার
B
গোস্বামীর সহিত বিচার
C
বেদান্তগ্রন্থ
D
ভট্টাচার্যের সহিত বিচার
বেদান্তগ্রন্থ
-
‘বেদান্তগ্রন্থ’ (১৮১৫) রামমোহন রায় কর্তৃক ব্রহ্মসূত্রের অনুবাদ ও টীকা।
-
বাংলাগদ্যের ইতিহাসে এই গ্রন্থটির ঐতিহাসিক মূল্য অসামান্য।
-
গ্রন্থের উদ্দেশ্য: পৌত্তলিকতা হিন্দু ধর্মের মুখ্য নয়, বরং ব্রহ্মই একমাত্র তত্ত্ব ও উপাস্য।
-
এই গ্রন্থ অবলম্বন করে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে প্রবল বাকবিতর্ক সৃষ্টি হয়।
রাজা রামমোহন রায়
-
বাংলার নবজাগরণের আদি পুরুষ, জন্ম: ১৭৭২ সালের ২২শে মে, হুগলী জেলার রাধানগর।
-
১৮৩০ সালে খেতাবসর্বস্ব মুগল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর তাকে ‘রাজা’ উপাধিতে ভূষিত করেন এবং ব্রিটিশ রাজ ও পার্লামেন্টে ওকালতি করার জন্য ইংল্যান্ডে পাঠান।
-
কলকাতায় ২০ আগস্ট ১৮২৮ সালে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহায়তায় তিনি ব্রাহ্মসমাজ স্থাপন করেন।
-
শিব প্রসাদ রায় ছদ্মনামে মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করতেন।
-
তিনি প্রায় ৩০টি গ্রন্থ রচনা করেছেন।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ
-
বেদান্তগ্রন্থ
-
বেদান্তসার
-
ভট্টাচার্যের সহিত বিচার
-
গোস্বামীর সহিত বিচার
-
সহমরন বিষয়ক প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ
-
গৌড়ীয় ব্যাকরণ প্রভৃতি
উৎস:
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও'- এই কবিতা দিয়ে রবীন্দ্রনাথের কোন উপন্যাসটি সমাপ্ত হয়েছে?
Created: 18 hours ago
A
নৌকাডুবি
B
চতুরঙ্গ
C
চার অধ্যায়
D
শেষের কবিতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘শেষের কবিতা’ একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৯ সালে। তবে এর কিছু অংশ ১৯২৮ সালে ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় ছাপা হয়। ভাষার অসাধারণ ঔজ্জ্বল্য, দৃপ্তশক্তি ও কবিত্বের দীপ্তি এই গ্রন্থকে স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত করেছে এবং এটি রবীন্দ্রনাথের অন্যতম বিস্ময়কর সৃষ্টি হিসেবে গণ্য হয়।
-
প্রকাশকাল: ১৯২৯ (প্রথমে ১৯২৮ সালে প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত)
-
উপন্যাসে ভাষার গুণে অসামান্য কবিত্ব ও শক্তির প্রকাশ ঘটেছে।
-
এর অনেক বাক্য প্রবাদের মর্যাদা পেয়েছে। যেমন:
“ফ্যাশনটা হলো মুখোশ, স্টাইলটা হলো মুখশ্রী।” -
পণ্ডিত সুকুমার সেন বলেন: “বৈষ্ণব সাধনার পরকীয়াতত্ত্ব রবীন্দ্রনাথের কবিমানসে যেভাবে রূপান্তর লাভ করিয়াছিল, ‘শেষের কবিতায়’ তাহার পরিচয় পাই।”
-
উপন্যাসটির সমাপ্তি হয়েছে কবিতা দিয়ে:
“কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও”
উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
অমিত
-
লাবণ্য
-
কেতকী
-
শোভনলাল প্রমুখ
উৎস:

0
Updated: 18 hours ago
'চণ্ডীমঙ্গল' কাব্যের কোন কবিকে 'স্বভাব কবি' বলা হয়?
Created: 4 days ago
A
দ্বিজমাধব
B
ভবানীশঙ্কর দাস
C
হরিরাম
D
মুকুন্দরাম
‘চণ্ডীমঙ্গল’ কাব্য চণ্ডী নামক লৌকিক-পৌরাণিক দেবীর পূজা প্রচারের কাহিনি অবলম্বনে রচিত। এর আদি কবি মানিক দত্ত, তবে চণ্ডীমঙ্গল ধারার প্রধান বা শ্রেষ্ঠ কবি হলেন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী। এছাড়া এই কাব্যের কবি দ্বিজমাধবকে ‘স্বভাব কবি’ বলা হয়।
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্রসমূহ—
-
কালকেতু
-
ফুল্লরা
-
ধনপতি
-
ভাঁড়ুদত্ত
-
মুরারি শীল প্রমুখ
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের উল্লেখযোগ্য কবিগণ—
-
ষোল শতক: মানিক দত্ত, বলরাম, দ্বিজমাধব, মুকুন্দরাম
-
সতের শতক: হরিরাম, দ্বিজরাম দেব
-
আঠার শতক: মুক্তারাম সেন, ভারতচন্দ্র রায়, অকিঞ্চন চক্রবর্তী, জয়নারায়ণ সেন, ভবানীশঙ্কর দাস
উৎস:

0
Updated: 4 days ago