'যুবনাশ্ব' কার ব্যবহৃত ছদ্মনাম?
A
বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের
B
সতীনাথ ভাদুড়ীর
C
বিমল মিত্রের
D
মণীশ ঘটকের
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যে অনেক লেখক তাঁদের সৃষ্টিকর্মে ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন। মণীশ ঘটকের ছদ্মনাম ছিলো যুবনাশ্ব। অন্যদিকে আরও কয়েকজন খ্যাতনামা লেখকের ছদ্মনাম পাওয়া যায়।
-
বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় – যাযাবর
-
বিমল মিত্র – জাবালি
-
সতীনাথ ভাদুড়ী – চিত্রগুপ্ত
উৎস:

0
Updated: 18 hours ago
'পথের দাবি' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
C
সত্যেন সেন
D
সুকান্ত ভট্টাচার্য
'পথের দাবী' উপন্যাস
'পথের দাবী' হলো ভারতীয় লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি রাজনৈতিক উপন্যাস, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৬ সালে।
উপন্যাসটির প্রেক্ষাপট ব্রহ্মদেশ, যেখানে কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছেন এক গুপ্ত বিপ্লবী দলের নায়ক সব্যসাচী। ইতিহাস ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সব্যসাচী চরিত্রে বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর ছায়া স্পষ্ট। বইটিতে ব্রিটিশ শাসনের তীব্র সমালোচনা এবং সশস্ত্র বিপ্লবের প্রতি গভীর সমর্থন প্রকাশ পেয়েছে।
প্রকাশের পরপরই সরকার কর্তৃক এটি নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও নান্দনিক দৃষ্টিকোণ থেকে 'পথের দাবী' উৎকৃষ্ট সাহিত্যকর্ম কিনা তা নিয়ে মতবিরোধ থাকতে পারে, তবে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে এই উপন্যাস একটি প্রাণপ্রদীপের মতো কাজ করেছে।
উপন্যাসের সমাপ্তিতে লেখা ছিল —
“আমি বিপ্লবী, ভারতের স্বাধীনতাই আমার একমাত্র লক্ষ্য, আমার একমাত্র সাধনা।”
এই সংলাপটি ভারতীয় রাজনৈতিক ইতিহাসে এই গ্রন্থের গুরুত্বকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
'পথের দাবী' ধারাবাহিক রূপে প্রথম প্রকাশিত হয় 'বঙ্গবাণী' পত্রিকার ১৩২৯ সালের ফাল্গুন সংখ্যায়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 months ago
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ক্রীতদাসের হাসি
B
মাটি আর অশ্রু
C
হাঙর নদী গ্রেনেড
D
সারেং বউ
হাঙর নদী গ্রেনেড (উপন্যাস)
সেলিনা হোসেনের লেখা ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি আবেগঘন ও প্রতিবাদী উপন্যাস। গল্পটি হলদী গ্রামের এক বয়স্ক নারীর জীবনকে কেন্দ্র করে গড়া। এই মা নিজের সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে উৎসাহিত করেন এবং একদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ষা করার জন্য নিজের মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে দেন।
উপন্যাসে মা ও দেশের জন্য তার আত্মত্যাগের মহিমা ফুটে ওঠে। এছাড়া, উপন্যাসে বর্ণিত গ্রামটি যেন মুক্তিযুদ্ধের প্রতীকী বাংলাদেশ হিসেবে উপস্থিত হয়।
উৎস: সেলিনা হোসেন, হাঙর নদী গ্রেনেড, সাহিত্য প্রকাশন, বাংলাদেশ।

0
Updated: 1 month ago
কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস কোনটি?
Created: 2 months ago
A
মৃত্যুক্ষুধা
B
আলেয়া
C
ঝিলিমিলি
D
মধুমালা
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত উপন্যাস:
- বাঁধন-হারা।
- মৃত্যুক্ষুধা ।
- কুহেলিকা।
• 'মৃত্যুক্ষুধা' উপন্যাস:
- কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'মৃত্যুক্ষুধা' উপন্যাসটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৯৩১ সালে।
- নারী জীবনের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা এবং সমাজের বাস্তবচিত্র এই উপন্যাসে তুলে ধরা হয়েছে।
- দারিদ্য, ক্ষুধা, দুর্ভিক্ষের পরিপ্রেক্ষিতে সপরিবারে মেজ-বৌয়ের মুসলিম থেকে খ্রিষ্ট ধর্মান্তর গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হয়ে ওঠে গল্পে। অন্যদিকে গল্পের নায়কা রুবি আনসারকে ভালোবাসালেও রুবির পিতা তাকে বিয়ে দেয় আইসিএস পরীক্ষার্থী মোয়াজ্জেমের সঙ্গে। মোয়াজ্জেমের মৃত্যুর পর বিধবা রুবির জীবনে নেমে আসে সমাজের বিধিনিষেধ।
• ‘বাঁধন-হারা' উপন্যাস:
• কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস ‘বাঁধন-হারা' (১৯২৭)।
- এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস।
- এতে ১৮টি পত্র রয়েছে।
- কাজী নজরুল ইসলাম করাচীতে অবস্থানকালে ‘বাধন-হারা' উপন্যাস রচনা শুরু করেন।
- এটি মুসলিম ভারত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
- উপন্যাসের নায়ক নুরুল হুদা।
- অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে রয়েছে - রবিউল, রাবেয়া, সােফিয়া, মাহবুবা প্রমুখ।
• 'কুহেলিকা' উপন্যাস:
- ১৯৩৪ বঙ্গাব্দে 'নওরোজ' পত্রিকায় 'কুহেলিকা' উপন্যাস প্রকাশ আরম্ভ হয়।
- গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশ পায় ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে(১৯৩১)।
- এ উপন্যাসে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ এসেছে অত্যন্ত বড় ক্যানভাসে।
- কুহেলিকা উপন্যাসের নায়ক জাহাঙ্গীর।
- এই উপন্যাসের বিখ্যাত উক্তি, ''ইহারা মায়াবিনীর জাত। ইহারা সকল কল্যাণের পথে মায়াজাল পাতিয়া রাখিয়াছে। ইহারা গহন পথের কণ্টক, রাজপথের দস্যু।''
অন্যদিকে,
• কাজী নজরুল ইসলাম রচিত তাঁর রচিত গীতিনাট্য: আলেয়া, মধুমালা।
• কাজী নজরুল ইসলাম রচিত তিনটি ছোট নাটকের গ্রন্থ হচ্ছে ঝিলিমিলি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর , বাংলাপিডিয়া মৃত্যুক্ষুধা উপন্যাস ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago