'গঙ্গা' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
A
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
B
সমরেশ বসু
C
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
D
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উত্তরের বিবরণ
সমরেশ বসুর রচিত "গঙ্গা" উপন্যাসটি ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত হয়। এটি তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা, যেখানে মূল বিষয়বস্তু হিসেবে উঠে এসেছে জেলেজীবন, বিশেষত অবিভক্ত ২৪ পরগনা জেলার মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের জীবনসংগ্রাম। লেখক চরিত্র চিত্রণের চেয়ে জেলেদের জীবনযাপন, সংগ্রাম ও বাস্তবতাকেই প্রধানভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
-
প্রকাশকাল: ১৯৫৭
-
বিষয়বস্তু: জল, জাল ও জেলেদের জীবনসংগ্রাম; বিশেষত অবিভক্ত ২৪ পরগনার মাছমারা সম্প্রদায়
-
চরিত্রগুলো অতটা ব্যক্তিগতভাবে উজ্জ্বল হয়ে ওঠেনি, বরং সামগ্রিকভাবে জেলেজীবনের কাহিনিই মুখ্য হয়ে উঠেছে।
-
লেখকের মূল লক্ষ্য ছিল জেলেদের জীবনচিত্র উপস্থাপন করা, চরিত্রায়ণ এখানে গৌণ।
উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রসমূহ:
-
নিবারণ (কেন্দ্রীয় চরিত্র)
-
সাইদার নিবারণ, পাঁচু (নিবারণের ছোট ভাই), বিলাস (নিবারণের ছেলে)
-
বশীর, সয়ারাম, পাচী (ছায়া), রসিক, দুলাল
-
অমর্তের বউ, দামিনী, হিমি, হিমির সখী আতর
-
মহাজন ব্রজেন ঠাকুর প্রমুখ
-
আপাতভাবে নায়ক-নায়িকা বিলাস ও হিমি হলেও, উপন্যাসের সমস্ত চরিত্রের আবর্তন নিবারণকে কেন্দ্র করেই, তাই নিবারণকে কেন্দ্রীয় চরিত্র ধরা হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন
B
প্রাণ যাওয়ার ভয় = প্রাণভয়
C
ক্ষণকাল ব্যাপিয়া স্থায়ী = ক্ষণস্থায়ী
D
স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ = স্মৃতিসৌধ
সমাসের উদাহরণ ও সংজ্ঞা
-
দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস: ক্ষণকাল ব্যাপিয়া স্থায়ী = ক্ষণস্থায়ী
-
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস: যে সমাসে ব্যাসবাক্যের মাঝের পদ লোপ হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলা হয়।
-
উদাহরণসমূহ:
-
সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন
-
হাসি মাখা মুখ = হাসিমুখ
-
ঝাল মিশ্রিত মুড়ি = ঝালমুড়ি
-
প্রাণ যাওয়ার ভয় = প্রাণভয়
-
স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ = স্মৃতিসৌধ
-
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'বৈকুণ্ঠের উইল' উপন্যাস কে রচনা করেছেন?
Created: 1 month ago
A
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
D
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ও চিত্রশিল্পী, যিনি সমকালীন সমাজ ও মানুষের জীবনের সূক্ষ্ম দিকগুলো তাঁর রচনায় ফুটিয়ে তুলেছেন। সাহিত্য ও চিত্রকর্মে অসাধারণ অবদানের জন্য তিনি বিভিন্ন সম্মাননা লাভ করেছেন।
-
জন্ম ও মৃত্যু: ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলি জেলার দেবানন্দপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৮ সালের ১৬ জানুয়ারি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
-
চিত্রকর্ম: বার্মায় বসবাসকালে তাঁর অঙ্কিত ‘মহাশ্বেতা’ অয়েল পেইন্টিং একটি বিখ্যাত চিত্রকর্ম হিসেবে খ্যাত।
-
সন্মাননা ও পুরস্কার: সাহিত্যকর্মে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি কুন্তলীন পুরস্কার (১৯০৩), জগত্তারিণী স্বর্ণপদক (১৯২৩), বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সদস্যপদ (১৯৩৪) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিট উপাধি (১৯৩৬) লাভ করেন।
উপন্যাস:
-
বড়দিদি
-
বিন্দুর ছেলে ও অন্যান্য
-
পরিণীতা
-
বৈকুণ্ঠের উইল
-
পল্লীসমাজ
-
দেবদাস
-
চরিত্রহীন
-
নিষ্কৃতি
-
শ্রীকান্ত (৪ খন্ড)
-
দত্তা
-
গৃহদাহ
-
রামের সুমতি
-
বিরাজবৌ
-
দেনা-পাওনা
-
পথের দাবী
-
শেষ প্রশ্ন
0
Updated: 1 month ago
নাটকে ‘গৈরিশ ছন্দের’ প্রবর্তন করেন কে?
Created: 2 months ago
A
রামায়ণ তর্করত্ন
B
গোবিন্দচন্দ্র দাস
C
গিরিশচন্দ্র ঘোষ
D
গিরিশচন্দ্র সেন
গিরিশচন্দ্র ঘোষ
-
গিরিশচন্দ্র ঘোষ (১৮৪৪–১৯১২) বাংলা নাটকের সমৃদ্ধি সাধনে অসাধারণ অবদান রেখেছেন।
-
যশস্বী অভিনেতা এবং প্রতিভাশালী নাট্যকার—এই যুগ্ন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়ে তিনি পচাঁত্তরখানি সমাপ্ত নাটক এবং চারখানি অসমাপ্ত প্রহসন রচনা করেছেন।
-
তাঁর প্রধান ও সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠা হলো ‘নটগুরু’ হিসেবে।
-
গিরিশচন্দ্র ঘোষের নাটকগুলিতে তিনি নিজে উদ্ভাবিত ‘গৈরিশ ছন্দ’ ব্যবহার করেছেন, যা যথেষ্ট সার্থকতা অর্জন করেছে। এর উদ্দেশ্য ছিল অভিনয়ে উপযোগী ভাষা সৃষ্টি।
-
এই ছন্দের প্রভাব পরবর্তীকালের নাট্যকারদের ওপরও লক্ষণীয়। ভক্তিমূলক পৌরাণিক নাটকের ক্ষেত্রেও তাঁর প্রভাব অস্বীকার্য।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 2 months ago