বাংলাদেশ সংবিধানের প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল বিষয়টি কত নং অনুচ্ছেদে সন্নিবেশ করা হয়েছে?
A
১১১ নং
B
১১৩ নং
C
১১৭ নং
D
১১৯ নং
উত্তরের বিবরণ
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (অনুচ্ছেদ ১১৭)
-
বাংলাদেশের সংবিধানের ষষ্ঠ ভাগের তৃতীয় পরিচ্ছেদে ১১৭ নং অনুচ্ছেদে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের বিষয়বস্তু উল্লেখ রয়েছে।
১১৭ (১) অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল গঠনের উদ্দেশ্য:
সংসদ আইনের মাধ্যমে এক বা একাধিক প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা যেতে পারে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে:
-
সরকারি চাকরির শর্ত ও শাস্তি: সংবিধানের নবম ভাগে বর্ণিত বিষয় এবং সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের চাকরির শর্ত, যেমন জরিমানা বা অন্যান্য শাস্তি।
-
রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ বা সরকারি কর্তৃপক্ষ: এ ধরনের উদ্যোগ বা কর্তৃপক্ষের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, চাকরি বিষয়ক বিষয় এবং সরকারের মালিকানাধীন বা পরিচালিত সম্পত্তির ক্রয়, প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা ও বণ্টন।
-
আইনের বিষয়: সংবিধানের ১০২(৩) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত কোনো আইনের বিষয়।
১১৭ (২) অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা:
-
যদি কোনো প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়, তবে তার এখতিয়ারের আওতাভুক্ত বিষয়ে অন্য কোনো আদালত মামলা গ্রহণ বা আদেশ দিতে পারবে না।
-
তবে সংসদ আইনের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা বা আপিলের ব্যবস্থা করতে পারে।
উল্লেখযোগ্য:
-
ষষ্ঠ ভাগে মোট ৩টি পরিচ্ছদ রয়েছে:
-
১ম পরিচ্ছদ: সুপ্রীম কোর্ট (অনুচ্ছেদ ৯৪–১১৩)
-
২য় পরিচ্ছদ: অধস্তন আদালত (অনুচ্ছেদ ১১৪–১১৬)
-
৩য় পরিচ্ছদ: প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (অনুচ্ছেদ ১১৭)
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কার শাসনামলে 'বাংলার বারো ভুঁইয়ার' অভ্যুত্থান ঘটে?
Created: 1 month ago
A
সম্রাট জাহাঙ্গীর
B
দ্বিতীয় শাহ আলম
C
বাহাদুর শাহ
D
সম্রাট আকবর
সম্রাট আকবর ছিলেন তৃতীয় মুঘল সম্রাট, যিনি অবুল ফতেহ জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর নামেও পরিচিত। তিনি ১৫৫৬ সালে হুমায়ুনের মৃত্যুর পর মাত্র ১৩ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং তার শাসনামলে মোগল সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক ভিত্তি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। আকবরের দরবারে জ্ঞানী ও গুণী ব্যক্তিদের কদর ছিল এবং সেখানে ভারতীয়, ইরানী, তুরানী ও কাশ্মীরি গায়করা উপস্থিত থাকতেন। তার শাসনামলে 'বাংলার বারো ভুঁইয়ার' অভ্যুত্থান ঘটে।
-
কৃষিকাজের সুবিধার্থে মোগল সম্রাট আকবর বাংলা সন প্রবর্তন করেন।
-
তার শাসনামলে সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক ভিত্তি সুদৃঢ় হয়।
-
১৫৮২ সালে আকবর ‘দীন-ই-ইলাহি’ ধর্মের প্রবর্তন করেন।
-
খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য তিনি প্রাচীন বর্ষপঞ্জি সংস্কার করে বাংলা সন প্রবর্তন করেন।
-
সম্রাট আকবর ‘জিজিয়া কর’ রদ করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোন দার্শনিকের মতে, "সমাজের যুক্তিসিদ্ধ ইচ্ছার অভিব্যক্তিই হচ্ছে আইন"?
Created: 2 months ago
A
প্লেটো
B
জন লক
C
অ্যারিস্টটল
D
টমাস হবস
-
অ্যারিস্টটল আইনকে যুক্তিনির্ভর একটি ব্যবস্থা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তার মতে, আইন কোনো শাসকের খেয়াল-খুশির ফল নয়; বরং এটি সমাজকল্যাণমূলক যুক্তিসিদ্ধ ইচ্ছার প্রকাশ।
-
মানুষ একটি সামাজিক জীব এবং আইন মানবসমাজের প্রতিফলন।
-
সমাজে মিলেমিশে বসবাসের জন্য নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলা অপরিহার্য।
-
মানবকল্যাণের স্বার্থেই নিয়ম-কানুন প্রয়োজন, আর স্বীকৃত এই নিয়ম-কানুনই হলো আইন।
-
এরিস্টটল বলেছেন, "সমাজের যুক্তিসিদ্ধ ইচ্ছার অভিব্যক্তিই হচ্ছে আইন" (Law is the passionless reason)।
-
অধ্যাপক হল্যান্ডের মতে, আইন হলো সেই সাধারণ নিয়ম যা মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং যা সার্বভৌম রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রয়োগ করা হয়।
সূত্র: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
ওয়েজ আর্নার্স স্কিম কত সালে প্রবর্তিত হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
১৯৭২ সালে
B
১৯৭৩ সালে
C
১৯৭৪ সালে
D
১৯৭৫ সালে
ওয়েজ আর্নার্স স্কিম ১৯৭৪ সালে প্রবর্তিত হয়। এই স্কিমের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকদের অর্জিত আয় সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে প্রেরণের জন্য উৎসাহ প্রদান করা। বৈদেশিক মুদ্রা মজুত থাকার কারণে আমদানিকারকরা অনুকূলে বৈদেশিক মুদ্রা পেতেন না, ফলে স্কিমটি কার্যকর হয়। এছাড়া, প্রবাসী শ্রমজীবীদের প্রেরিত অর্থ খোলাবাজার বিনিময় হারের কাছাকাছি হারে বিনিময়ের জন্যও স্কিমটি চালু করা হয়।
প্রবাসী কর্মীদের অবদান এবং তাদের পরিবারকে সহায়তা, উদ্ভূত সমস্যা সমাধান এবং সার্বিক কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে সরকার ১৯৯০ সালে Emigration Ordinance-1982 এর ১৯(১) ধারার ক্ষমতায় “ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ তহবিল” গঠন করে। পরবর্তীতে “ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড আইন, ২০১৮” এর মাধ্যমে এই বোর্ডকে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
0
Updated: 1 month ago