মন্ত্রিসভার কত ভাগ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী রাখা যায়?
A
৫%
B
১০%
C
১৫%
D
২৫%
উত্তরের বিবরণ
টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হলো এমন একজন মন্ত্রী যিনি সংসদ সদস্য না হয়েও সরকারের মন্ত্রিসভায় নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
-
সংবিধানের ৫৬(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মন্ত্রিসভায় সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে ৯০% মন্ত্রী নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন।
-
সংসদ সদস্যদের বাইরে থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী নামে পরিচিত।
-
অর্থাৎ, মন্ত্রিসভায় ১০% পর্যন্ত মন্ত্রী সংসদ সদস্য নয় এমন ব্যক্তিদের মধ্যে হতে পারেন।
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে উপ-রাষ্ট্রপতি পদে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের বিধান চালু করা হয়?
Created: 3 days ago
A
৪র্থ সংশোধনী
B
৭ম সংশোধনী
C
৬ষ্ঠ সংশোধনী
D
৯ম সংশোধনী
১৯৮৯
সালে গৃহীত ৯ম সংশোধনীর মাধ্যমে উপরাষ্ট্রপতি পদে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচনের বিধান চালু করা হয়।
নবম সংশোধনী আইন:
- সংবিধান আইন, ১৯৮৯ (নবম
সংশোধনী) পাস হয় ১৯৮৯
সালের জুলাই মাসে।
- এই সংশোধনী দ্বারা রাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্রপতি পদে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের বিধান করা হয়; রাষ্ট্রপতির পদে একই ব্যক্তির
দায়িত্ব পালন পর পর
দুই মেয়াদের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয় (প্রতি
মেয়াদকাল ৫ বছর)।
- এই সংশোধনীতে আরও বলা হয়
যে, শূন্যতা সৃষ্টি হলে একজন উপ-রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করা যেতে পারে,
তবে সেই নিয়োগের পক্ষে
জাতীয় সংসদের অনুমোদন আবশ্যক হবে।
এছাড়াও,
প্রথম সংশোধনী: সংবিধানের প্রথম সংশোধনী আনা হয় ১৯৭৩
সালের জুলাই মাসে।
দ্বিতীয় সংশোধনী: ১৯৭৩ সালের ২২
সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় সংশোধনী আনা হয়।
তৃতীয় সংশোধনী: মূলত ভারত ও
বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারণী একটি চুক্তি বাস্তবায়ন
করার জন্য ১৯৭৪ সালের
২৩ নভেম্বর এ সংশোধনী আনা
হয়।
চতুর্থ সংশোধনী: ১৯৭৫ সালের ২৫
জানুয়ারি এ সংশোধনীর মাধ্যমেই
বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন
ঘটানো হয়।
পঞ্চম সংশোধনী: জাতীয় সংসদে এ সংশোধনী আনা
হয় ১৯৭৯ সালের ৬
এপ্রিল।
ষষ্ঠ সংশোধনী: ১৯৮১ সালের ১০
জুলাই এ সংশোধনী আনা
হয়।
সপ্তম সংশোধনী: ১৯৮৬ সালের ১১
নভেম্বর জাতীয় সংসদে সপ্তম সংশোধনী আনা হয়।
অষ্টম সংশোধনী: ১৯৮৮ সালের ৯
জুন সংবিধানে অষ্টম সংশোধনী আনা হয়।
নবম সংশোধনী: নবম সংশোধনী আনা
হয় ১৯৮৯ সালের ১১
জুলাই।
দশম সংশোধনী: ১৯৯০ সালের ১২
জুন দশম সংশোধনী বিল
পাস হয়।
একাদশ সংশোধনী: গণঅভ্যুত্থানে এইচ এম এরশাদের
পতনের পর বিচারপতি মো.
সাহাবুদ্দিনের দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে ১৯৯১ সালে
এ সংশোধনী পাস হয়।
দ্বাদশ সংশোধনী: ১৯৯১ সালের এ
সংশোধনীর মাধ্যমে ১৭ বছর পর
দেশে পুনরায় সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
ত্রয়োদশ সংশোধনী: ১৯৯৬ সালের ২৬
মার্চ এ সংশোধনীর মাধ্যমে
সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়।
চতুর্দশ সংশোধনী: ২০০৪ সালের ১৬
মে এ সংশোধনী আনা
হয়।
পঞ্চদশ সংশোধনী: ২০১১ সালের ৩০
জুন এ সংশোধনী আনা
হয়।
ষোড়শ সংশোধনী: উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের
অপসারণের ক্ষমতা আইন প্রণেতাদের হাতে
ফিরিয়ে দিতে সংবিধানের ষোড়শ
সংশোধন পাস হয় ২০১৪
সালের ১৭ সেপ্টেম্বর।
সপ্তদশ সংশোধনী: ২০১৮ সালের ২৯
জানুয়ারি আনা হয় সপ্তদশ
সংশোধনী।

0
Updated: 3 days ago
বাংলাদেশের প্রথম ছয় লেন বিশিষ্ট সেতু কোনটি?
Created: 1 week ago
A
যমুনা সেতু
B
পদ্মা সেতু
C
মধুমতী সেতু
D
কোনটি নয়
মধুমতী সেতু, যা কালনা সেতু নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। এটি দেশের প্রথম ৬ লেনবিশিষ্ট সেতু হিসেবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
অবস্থান: নড়াইল।
-
সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ: ৬৯০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ২৭.১০ মিটার প্রস্থ।
-
সংযোগ সড়ক: উভয় পাশে ৪.২৭৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সংযোগ সড়ক, যার প্রস্থ ৩০.৫০ মিটার।
-
নির্মাণ প্রকল্প: সওজের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় জাইকার অর্থায়নে নির্মিত।
-
মোট নির্মাণ ব্যয়: ৯৫৯.৮৫ কোটি টাকা।
-
সংযোগ: নড়াইল, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০টি জেলার সঙ্গে ঢাকাকে সরাসরি সংযুক্ত করছে।

0
Updated: 1 week ago
চাকমাদের গ্রাম প্রধানের উপাধি-
Created: 5 days ago
A
হেডম্যান
B
আদাম
C
কার্বারী
D
সার্কেল প্রধান
চাকমা বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের বৃহত্তম ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, যার নিজস্ব সামাজিক ও প্রশাসনিক কাঠামো রয়েছে। তারা বিভিন্ন জেলা ও প্রতিবেশী দেশেও বিস্তৃতভাবে বসবাস করছে।
-
পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলায় চাকমাদের বসতি রয়েছে।
-
চাকরি বা অন্যান্য কারণে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চাকমাদের বসতি দেখা যায়।
-
প্রতিবেশী দেশ ভারতের মিজোরাম, ত্রিপুরা, আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লী-তেও অনেক চাকমা বসবাস করে।
-
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলা মিলিয়ে গঠিত হয়েছে চাকমা সার্কেল, যার প্রধানকে বলা হয় চাকমা চীফ বা চাকমা রাজা।
-
পার্বত্য চট্টগ্রামের আরও দুটি সার্কেল, যেগুলিও চাকমাদের মৌজার সমন্বয়ে গঠিত।
-
চাকমা ভাষায় গ্রামকে ‘আদাম’ বা ‘পাড়া’ বলা হয়।
-
গ্রাম প্রধানের উপাধি হলো ‘কার্বারী’।
-
কয়েকটি গ্রাম মিলিয়ে গঠিত হয় মৌজা, যার প্রধানকে বলা হয় হেডম্যান।
-
হেডম্যানের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে খাজনা আদায়, সামাজিক বিরোধের বিচার, এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা এবং জনগণের কল্যাণ দেখভাল।
উৎস:

0
Updated: 5 days ago