সংবিধানের তৃতীয় তফসিল অনুসারে, প্রধান বিচারপতিকে কে শপথ বাক্য পাঠ করায়?
A
প্রধানমন্ত্রী
B
স্পীকার
C
রাষ্ট্রপতি
D
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় তফসিল [১৪৮ অনুচ্ছেদ] শপথ ও ঘোষণাপত্র সম্পর্কিত বিধান নির্ধারণ করে। তফসিলে নির্বাচিত বা নিযুক্ত ৯টি পদে শপথগ্রহণের প্রক্রিয়া উল্লেখ রয়েছে।
-
সংবিধানের তৃতীয় তফসিল অনুসারে শপথগ্রহণের নিয়ম:
১. রাষ্ট্রপতি: শপথ বাক্য পাঠ করান স্পীকারের মাধ্যমে।
২. প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতি-মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী: শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে।
৩. স্পীকার: শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে।
৪. ডেপুটি স্পীকার: শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে।
৫. সংসদ সদস্য: শপথ বাক্য পাঠ করান স্পীকারের মাধ্যমে।
৬. প্রধান বিচারপতি বা বিচারক: শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে।
৭. প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা নির্বাচন কমিশনার: শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে।
৮. মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক: শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে।
৯. সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য: শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ কোন দুই অপারেশনে অংশগ্রহণ করে?
Created: 1 month ago
A
UNTAG ও UNAMIR
B
UNIIMOG ও UNTAG
C
UNOSOM ও UNMISS
D
UNPROFOR ও UNMIK
বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা মিশন:
-
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন:
-
১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনী গঠন করা হয়।
-
এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও বজায় রাখার জন্য নিয়োজিত।
-
-
বাংলাদেশের অংশগ্রহণ:
-
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ১৩৬তম সদস্য হিসেবে জাতিসংঘে যোগ দেয়।
-
১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা পাঠাচ্ছে।
-
প্রথমবার অংশগ্রহণ: ১৯৮৮ সালে দুটি অপারেশন—
-
ইরাক-ইরান যুদ্ধের শান্তি রক্ষার জন্য UNIIMOG
-
নামিবিয়ার জন্য UNTAG
-
-
UNIIMOG মিশনে প্রেরিত সদস্য সংখ্যা: ১৫ জন
-
-
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
বাংলাদেশী সৈন্যরা শান্তি প্রতিষ্ঠা, ত্রাণ কার্যক্রম ও বিপজ্জনক পরিস্থিতি মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের প্রথম ছয় লেন বিশিষ্ট সেতু কোনটি?
Created: 1 month ago
A
যমুনা সেতু
B
পদ্মা সেতু
C
মধুমতী সেতু
D
কোনটি নয়
মধুমতী সেতু, যা কালনা সেতু নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। এটি দেশের প্রথম ৬ লেনবিশিষ্ট সেতু হিসেবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
অবস্থান: নড়াইল।
-
সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ: ৬৯০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ২৭.১০ মিটার প্রস্থ।
-
সংযোগ সড়ক: উভয় পাশে ৪.২৭৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সংযোগ সড়ক, যার প্রস্থ ৩০.৫০ মিটার।
-
নির্মাণ প্রকল্প: সওজের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় জাইকার অর্থায়নে নির্মিত।
-
মোট নির্মাণ ব্যয়: ৯৫৯.৮৫ কোটি টাকা।
-
সংযোগ: নড়াইল, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০টি জেলার সঙ্গে ঢাকাকে সরাসরি সংযুক্ত করছে।
0
Updated: 1 month ago
কত সালে দেশে বীমা শিল্পকে জাতীয়করণ করা হয়?
Created: 2 months ago
A
১৯৭২ সালে
B
১৯৭৩ সালে
C
১৯৭৪ সালে
D
১৯৭৫ সালে
বীমা জাতীয়করণ:
- বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে বীমা শিল্পকে জাতীয়করণ করা হয়।
উল্লেখ্য,
- ১৯৭২ সালের ২৬শে মার্চ Bangladesh Insurance (Emergancy Provision) Order, 1972 জারি করা হয়।
- এতে ১৯৩৮ সালের বীমা আইনটি বাংলাদেশের বীমা আইন বলে বিবেচিত হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
- পরবর্তীতে একই সালের ৮ই আগস্ট রাষ্ট্রপতির ৯৫ নং আদেশ বলে তৎকালিন ৭৫টি বীমা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করে প্রথমে ৫টি সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যথা- ১. বাংলাদেশ জাতীয় বীমা কর্পোরেশন, ২. কর্ণফুলী বীমা কর্পোরেশন, ৩. তিস্তা বীমা কর্পোরেশন, ৪. সুরমা জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং ৫. রূপসা জীবন বীমা কর্পোরেশন।
- অতপর ১৯৭৩ সালের ১৪ই মে বীমা কর্পোরেশন অধ্যাদেশ (Insurance Corporation Ordinance, 1973) ঘোষণার মধ্য দিয়ে ৫টি বীমা সংস্থাকে ২টি সংস্থার অধীনে আনা হয়, যথা- ১। জীবন বীমা কর্পোরেশন ও ২। সাধারণ বীমা কর্পোরেশন।
- ১৯৮৩ সালে রাষ্ট্রায়ত্ব বীমা কর্পোরেশনের পাশাপাশি ব্যক্তি মালিকানায় বীমা ব্যবসার অনুমতি দেয়া হয়।
- বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচুর বেসরকারী বীমা ব্যবসা চালু আছে।
উৎস: ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ ২য় পত্র, এইচ এস সি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago