১৯৭২ সালের সংবিধানে অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলার দায়িত্ব কার ওপর ন্যস্ত ছিল?
A
রাষ্ট্রপতি
B
সুপ্রিম কোর্ট
C
প্রধানমন্ত্রী
D
বর্ণিত সবাই
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধানের ব্যবস্থা নির্ধারণ করে।
-
সংবিধানের প্রাথমিক ১৯৭২ সালের সংস্করণে, এই দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত ছিল।
-
১৯৭৪ সালের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এই দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত করা হয়।
-
পরবর্তীতে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী যোগ করে বলা হয়, এই দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে পালন করবেন।
-
পরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ পঞ্চম সংশোধনী আইন অসাংবিধানিক ঘোষণা করলে, পঞ্চদশ সংশোধন আইন, ২০১১ এর মাধ্যমে ১১৬ অনুচ্ছেদের বর্তমান বিধান প্রতিস্থাপিত হয়।
-
বর্তমানে ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি অধস্তন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধান করেন সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে।
উল্লেখ্য, ২৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে অধস্তন আদালতের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাসংক্রান্ত ১১৬ অনুচ্ছেদ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী।
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
সংবিধান রচনার জন্য তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ‘গণপরিষদ আদেশ’ জারি করা হয় -
Created: 1 day ago
A
২৩ মার্চ, ১৯৭২
B
১০ এপ্রিল, ১৯৭২
C
১১ এপ্রিল, ১৯৭২
D
১৭ এপ্রিল, ১৯৭২
বাংলাদেশের
সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন:
- সংবিধান রচনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবু সাইদ চৌধুরী ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ ‘গণপরিষদ আদেশ’ জারি করেন।
- এরপর ১০ এপ্রিল, ১৯৭২
গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
- গণপরিষদে সদস্য ছিলেন ৪০৩ জন।
- মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশের সভাপতিত্বে
গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে শাহ আবদুল হামিদ
স্পিকার ও মোহাম্মদ উল্লাহ
ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। ২ মে,
১৯৭২ শাহ আবদুল হামিদ
মারা গেলে মোহাম্মদ উল্লাহ
স্পিকার নির্বাচিত হন।
- গণপরিষদ অধিবেশনের পরদিন ১১ এপ্রিল গণপরিষদে
খসড়া সংবিধান-প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়।
⇒ সরকারের আইনমন্ত্রী
ড. কামাল হোসেনকে আহ্বায়ক করে ৩৪ সদস্যের
এ কমিটি গঠন করা হয়।
- সংবিধান প্রণয়নের সময় জনগণের মতামত
সংগ্রহের জন্য মতামত আহ্বান
করা হয়।
- সংগৃহীত মতামত থেকে ৯৮টি সুপারিশ
গ্রহণ করা হয়।
- গণপরিষদ ভবনে সংবিধান প্রণয়ন
কমিটির বৈঠকে সহযোগিতা করেন ব্রিটিশ আইনসভার
খসড়া আইন-প্রণেতা আই
গাথরি।
- সংবিধান লেখার পর এর বাংলা
ভাষারূপ পর্যালোচনার জন্য ড. আনিসুজ্জামানকে
আহ্বায়ক, সৈয়দ আলী আহসান এবং
মযহারুল ইসলামকে ভাষা বিশেষজ্ঞ হিসেবে
একটি কমিটি গঠন করে পর্যালোচনার
ভার দেওয়া হয়।
- ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের
দ্বিতীয় অধিবেশনে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন
খসড়া সংবিধান বিল আকারে উত্থাপন
করেন।
- ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর
সংসদে পাস হওয়া সংবিধানের
হাতের লেখা কপির উপর
সইয়ের জন্য দিন নির্ধারণ
করা হয়।
- দুই দিনব্যাপী এ সই অনুষ্ঠানে
একে একে ৪০৩ জন
গণপরিষদ সদস্যের মধ্যে ৩৯৯ জন সই
করেন। মানবেন্দ্র নারায়ণ চাকমা (পি.ই. ২৯৯),
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (পি.ই. ২২১),
আজিজার রহমান (পি.ই. ২২)
ও এম ইব্রাহিম (পি.ই. ৮২) সই
দানে বিরত থাকেন।
- ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ (বিজয় দিবস) সংবিধান থেকে কার্যকর হয়।

0
Updated: 1 day ago
জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ অনুযায়ী, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কত?
Created: 1 week ago
A
৪.৪%
B
৫.৫%
C
৭.৭%
D
৯.৯%
জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ সংক্রান্ত তথ্য:
-
বাজেটের ক্রম: ৫৪তম (অন্তবর্তীকালীনসহ ৫৫তম)
-
বাজেটের শিরোনাম: 'বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়'
-
বাজেট উত্থাপনকারী: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ (অর্থ উপদেষ্টা)
-
বাজেট উত্থাপন তারিখ: ২ জুন, ২০২৫
-
বাজেট অনুমোদন: ২২ জুন, ২০২৫
-
বাজেট কার্যকর: ১ জুলাই, ২০২৫
-
জিডিপির আকার: ৬২,৪৪,৫৭৮ কোটি টাকা
-
জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার: ৫.৫%
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশে কত সালে 'স্থানীয় শাসন অর্ডিন্যান্স' জারি হয়?
Created: 20 hours ago
A
১৯৭২ সালে
B
১৯৭৪ সালে
C
১৯৭৬ সালে
D
১৯৭৭ সালে
বাংলাদেশে স্থানীয় শাসন অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ সালে জারি হয়। এর মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নতুন রূপ প্রদান করা হয়। এর আগে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় সরকারের গঠন ও নির্বাচনের পরিবর্তন ঘটেছিল।
-
১৯৭২ সালে জারিকৃত রাষ্ট্রপতির ৭নং আদেশ অনুযায়ী সরকার বিদ্যমান সকল স্থানীয় সরকার কমিটি ভেঙে দেয়।
-
১৯৭৩ সালে নতুন করে জারিকৃত রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ২২ অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
-
১৯৭৬ সালে জেনারেল জিয়াউর রহমানের সরকার নতুন স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশ জারি করে। এতে তিন ধরনের গ্রামীণ স্থানীয় সরকার গঠনের বিধান রাখা হয়: ইউনিয়ন পরিষদ, থানা পরিষদ এবং জেলা পরিষদ।
-
এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কেবলমাত্র ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান ও অপর ৯ জন সদস্য প্রাপ্তবয়স্কদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন।
-
থানা পরিষদ সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হবে। এখানে মহকুমা অফিসার (SDO) চেয়ারম্যান এবং সার্কেল অফিসার (SO) ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হবেন।
-
জেলা পরিষদ নির্বাচিত সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা ও মহিলা সদস্যদের দ্বারা গঠনের কথা থাকলেও এখানে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
উৎস:

0
Updated: 20 hours ago