বাংলাদেশের সংবিধানের কত নং তফসিলে 'ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানবলী'র কথা উল্লেখ করা হয়েছে?
A
দ্বিতীয়
B
তৃতীয়
C
চতুর্থ
D
পঞ্চম
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ৭টি তফসিল সংযোজন করা হয়েছে, যা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিধান ও ঐতিহাসিক ঘটনার রেকর্ড হিসেবে সংরক্ষিত।
-
প্রথম তফসিল: অন্যান্য বিধান সত্ত্বেও কার্যকর আইন
-
দ্বিতীয় তফসিল: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (বর্তমানে বিলুপ্ত)
-
তৃতীয় তফসিল: শপথ ও ঘোষণা
-
চতুর্থ তফসিল: ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী
-
পঞ্চম তফসিল: ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ
-
ষষ্ঠ তফসিল: ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা
-
সপ্তম তফসিল: ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয় কোন দাবিতে?
Created: 1 month ago
A
দ্রব্যমূল্য হ্রাস
B
তত্ত্বাবধায়ক সরকার
C
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার
D
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল
২০২৪ সালে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহারের বিরোধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয়।
-
আন্দোলনের শুরু হয় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ২০২৪ সালের জুনের রায়ের পর, যখন পুরনো ৫৬% কোটা পুনর্বহাল করা হয়।
-
শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই সিদ্ধান্তে প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং তা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে রূপ নেয়।
-
সরকার আন্দোলন দমন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডার ব্যবহার করলে জনরোষ আরও তীব্র হয়।
-
আন্দোলনকারীরা “জুলাই বিপ্লব” নামে গণজাগরণ শুরু করে, যা পরবর্তীতে “মার্চ টু ঢাকা” কর্মসূচিতে রূপান্তরিত হয়।
-
৫ আগস্ট ২০২৪ এই আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নেয় এবং শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগ করে।
-
এই অভ্যুত্থানের ফলে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যার প্রধান হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার গভর্নর ছিলেন কে?
Created: 1 month ago
A
টিক্কা খান
B
খাজা নাজিমুদ্দিন
C
ফিরোজ খান নুন
D
মোঃ নূরুল আমীন
বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ছিল এক ঐতিহাসিক সংগ্রাম। এই আন্দোলনের পেছনে রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য ও সরকারের অবস্থান বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছিল। বিশেষ করে খাজা নাজিমুদ্দিন ও গভর্নর ফিরোজ খান নুনের ভূমিকা আন্দোলনকে আরও তীব্র করে তোলে।
-
ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার গভর্নর ছিলেন ফিরোজ খান নুন।
-
১৯৫২ সালের জানুয়ারির শেষ দিকে খাজা নাজিমুদ্দিনের একটি উক্তিকে কেন্দ্র করে ভাষা আন্দোলন নতুন করে জোরদার হয়।
-
২৭ জানুয়ারি নাজিমুদ্দিন ঘোষণা দেন— “পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু।”
-
২২ ফেব্রুয়ারি পূর্ববাংলা আইন পরিষদের অধিবেশনে পুনরায় ভাষা প্রশ্নে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
-
অধিবেশনের সরকারি কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করা হয়।
-
পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারি দল রাষ্ট্রভাষা বাংলা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে।
-
তবে এই বিলের ওপর এক সংশোধনী প্রস্তাবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য কেন্দ্রের নিকট সুপারিশ করা হয়।
-
এর পর বিধানসভা ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
-
কিন্তু গভর্নর ফিরোজ খান নুনের অবস্থান আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল না, বরং তা আন্দোলনকে আরও বেগবান করে।
0
Updated: 1 month ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সঙ্গীত 'আমার সোনার বাংলা'র প্রথম কত চরণ নেওয়া হয়?
Created: 1 month ago
A
৮
B
১০
C
১২
D
১৪
বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম ভাগ, ৪ নং অনুচ্ছেদে দেশের জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক সম্পর্কিত বিধানাবলী সংরক্ষিত আছে।
-
জাতীয় সঙ্গীত: প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সঙ্গীত হলো **‘আমার সোনার বাংলা’**র প্রথম দশ চরণ।
-
জাতীয় পতাকা: সবুজ ক্ষেত্রের উপর স্থাপিত রক্তবর্ণের একটি ভরাট বৃত্ত।
-
জাতীয় প্রতীক: উভয় পার্শ্বে ধান্যশীর্ষবেষ্টিত, পানিতে ভাসমান জাতীয় পুষ্প শাপলা, যার শীর্ষদেশে পাটগাছের তিনটি পরস্পর সংযুক্ত পত্র এবং উভয় পার্শ্বে দুইটি করে তারকা।
-
উপরোক্ত সব দফা-সাপেক্ষে জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক সম্পর্কিত অন্যান্য বিধানাবলী আইন দ্বারা নির্ধারিত হবে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago