সংবিধান রচনার জন্য তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কত তারিখে 'বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশ’ জারি করেন?
A
২৩ মার্চ, ১৯৭২
B
২৪ মার্চ, ১৯৭২
C
১০ এপ্রিল, ১৯৭২
D
১৭ এপ্রিল, ১৯৭২
উত্তরের বিবরণ
১৯৭২ সালে বাংলাদেশে সংবিধান প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ২৩ মার্চ ১৯৭২ তারিখে ‘বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশ’ জারি করেন, যা সংবিধান রচনার আনুষ্ঠানিক ভিত্তি স্থাপন করে। এই আদেশ অনুযায়ী, ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক প্রতিনিধিদের নিয়ে গণপরিষদ গঠন করা হয়। গণপরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ৪০৩ জন, এবং সংবিধান প্রণয়নই ছিল গণপরিষদের একমাত্র লক্ষ্য।
-
স্বাধীনতা লাভের মাত্র ১১৬ দিন পর, ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে।
-
প্রথম দিন গণপরিষদের প্রথম স্পিকার আবদুল হামিদের মৃত্যুতে মোহাম্মদ উল্লাহ স্পিকার নির্বাচিত হন।
-
দ্বিতীয় দিনে আইন ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট ‘খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি’ গঠন করা হয়।
-
কমিটিকে ১৯৭২ সালের ১০ জুনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
-
কমিটি প্রথম বৈঠক করে ১৭ এপ্রিল ১৯৭২ সালে এবং মোট ৭৪টি বৈঠকে মিলিত হয়।
-
১০ জুন ১৯৭২ সালে কমিটির শেষ বৈঠকে সংবিধানের প্রাথমিক খসড়া অনুমোদন করা হয়।
-
১১ অক্টোবর ১৯৭২ সালে কমিটি সর্বশেষ আলোচনার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ খসড়া চূড়ান্তভাবে গৃহীত করে।
-
১৩ অক্টোবর গণপরিষদ কিছু সংশোধনীসহ এই খসড়া সংবিধানের বিধিমালা গৃহীত করে।
-
১২ অক্টোবর ১৯৭২ তারিখে সভাপতি কামাল হোসেন ‘সংবিধান বিল’ গণপরিষদে উত্থাপন করেন।
উৎস:

0
Updated: 20 hours ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে কাস্টিং ভোট (Casting Vote) সম্পর্কে বলা হয়েছে?
Created: 1 week ago
A
৭৬নং অনুচ্ছেদ
B
৭৫নং অনুচ্ছেদ
C
৭৮নং অনুচ্ছেদ
D
৭৭নং অনুচ্ছেদ
কাস্টিং ভোট হলো সংসদে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া, যা স্পীকারকে ভোটের সমান অবস্থায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে কার্যকর ভূমিকা পালন করার সুযোগ দেয়। এটি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করা হয়।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
সংসদে কখনো কখনো কোন বিষয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে ভোটের সংখ্যা সমান হয়ে যেতে পারে।
-
এই অবস্থায় স্পীকার তার ভোট প্রয়োগ করে সংসদের অচলাবস্থা দূর করেন।
-
অন্যভাবে বলা যায়, কোনো বিলের ভোটাভুটিতে পক্ষে ও বিপক্ষে সমান ভোট পড়লে স্পীকার সভাপতি হিসেবে ভোট ব্যবহার করেন।
-
একে নির্ণায়ক ভোট বা কাস্টিং ভোট বলা হয়।
-
স্পীকার এই ভোট অন্য কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারবেন না।
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ৭৫(১) নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী:
-
“উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সংসদে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে, তবে সমসংখ্যক ভোটের ক্ষেত্র ব্যতীত সভাপতি (স্পিকার) ভোটদান করবেন না এবং অনুরূপ ক্ষেত্রে তিনি নির্ণায়ক (casting) ভোট প্রদান করবেন।”
-
অন্য সংবিধানিক বিধানগুলো:
-
অনুচ্ছেদ ৭৬: সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ
-
অনুচ্ছেদ ৭৭: ন্যায়পাল
-
অনুচ্ছেদ ৭৮: সংসদ ও সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি

0
Updated: 1 week ago
রাখাইন জনগোষ্ঠী প্রধানত কোথায় বসবাস করে?
Created: 5 days ago
A
কক্সবাজার, পটুয়াখালী, বরগুনা
B
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা
C
রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট
D
খুলনা, যশোর, মাগুরা
রাখাইন হলো বাংলাদেশ ও মায়ানমারের একটি গুরুত্বপূর্ণ জনগোষ্ঠী, যাদের ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। তারা মূলত উপকূলীয় অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে।
-
রাখাইন জনগোষ্ঠী বাংলাদেশ ও মায়ানমারের একটি জনগোষ্ঠীর নাম।
-
তারা মগ নামেও পরিচিত।
-
আঠারো শতকের শেষে আরাকান থেকে তারা বাংলাদেশে এসে কক্সবাজার ও পটুয়াখালীতে বসতি স্থাপন করে।
-
বর্তমানে রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রধান বসবাস কক্সবাজার, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায়।
-
এছাড়া রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায়ও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে তাদের বসতি রয়েছে।
-
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়ও রাখাইন জনগোষ্ঠীর বসতি রয়েছে।
-
‘রাখাইন’ শব্দটির উৎস পলি ভাষা।
-
ঐতিহাসিক তথ্যানুসারে, ১৭৮৪ সালে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও পটুয়াখালীতে রাখাইনদের আগমন ঘটে।
উৎস:

0
Updated: 5 days ago
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, কোন বিভাগে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জনসংখ্যা সবচেয়ে কম? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 2 weeks ago
A
চট্টগ্রাম
B
বরিশাল
C
রংপুর
D
সিলেট
জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২২
-
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জনসংখ্যা: ১৬,৫০,৪৭৮ জন।
-
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম বিভাগে বাস করে (৬০.০৪%)।
-
উপজাতির সংখ্যা সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে (০.২৫%)।
-
বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে চাকমা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনসংখ্যা:
-
চাকমা: ৪,৮৩,৩৬৫
-
মারমা: ২,২৪,২৯৯
-
ত্রিপুরা: ১,৫৬,৬২০
-
সাঁওতাল: ১,২৯,০৫৬
-
ওরাওঁ: ৮৫,৮৫৮
-
গারো: ৭৬,৮৫৪

0
Updated: 2 weeks ago