ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের আসনের অনুপাত কত?
A
৩:৪
B
২:৩
C
৩:১
D
৪:১
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তর হলো ইউনিয়ন পরিষদ, যা গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন ও শাসন ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করে।
-
ইউনিয়ন পরিষদের ভিত্তি ১৮৭০ সালে “গ্রাম চৌকিদারী আইন” প্রবর্তনের মাধ্যমে রচিত হয়।
-
পরবর্তী সময়ে:
-
১৯১৯ সালে ইউনিয়ন বোর্ড,
-
১৯৫৯ সালে ইউনিয়ন কাউন্সিল,
-
১৯৭২ সালে ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে রূপান্তরিত হয়।
-
-
১৯৯৭ সালে ইউনিয়ন পরিষদের কাঠামোগত পরিবর্তন করা হয়।
-
প্রতিটি ইউনিয়ন ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত।
-
বর্তমান আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদে মোট ১৩ জন ব্যক্তি থাকবেন:
-
১ জন চেয়ারম্যান,
-
১২ জন সদস্য, যার মধ্যে ৯ জন সাধারণ আসনের এবং ৩ জন সংরক্ষিত মহিলা আসনের।
-
-
প্রতি তিন ওয়ার্ড থেকে একজন মহিলা সদস্য নির্বাচিত হন, অর্থাৎ সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের অনুপাত ৩:১।
-
ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ ৫ বছর, এবং সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্য অপসারণ করা যেতে পারে।
-
এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাপ্তাহিক কাজ সম্পাদনের জন্য একজন সচিব রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ইউনিয়ন পরিষদের মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রামীণ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং শাসন ব্যবস্থার দায়িত্বশীলতার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
উৎস:

0
Updated: 20 hours ago
সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ অনুসরণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়?
Created: 1 week ago
A
১১১নং অনুচ্ছেদ
B
১০৬নং অনুচ্ছেদ
C
১১০নং অনুচ্ছেদ
D
১০৯নং অনুচ্ছেদ
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের সংবিধানের ১০৬ নং অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে কার্যক্রম শুরু করে। এই অনুচ্ছেদ সুপ্রীম কোর্টের উপদেষ্টামূলক ক্ষমতা সম্পর্কিত বিধান নির্ধারণ করে, যা রাষ্ট্রপতি আইনগত ও জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে আদালতের মতামত গ্রহণের সুযোগ প্রদান করে।
-
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে।
-
১০৬ নং অনুচ্ছেদ: সুপ্রীম কোর্টের উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার
-
রাষ্ট্রপতির নিকট যদি এমন কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হয় বা সম্ভাবনা দেখা দেয় যা জনগুরুত্বপূর্ণ, তাহলে তিনি তা আপীল বিভাগের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করতে পারেন।
-
আপীল বিভাগ নিজ বিবেচনায় উপযুক্ত শুনানি শেষে রাষ্ট্রপতিকে মতামত জ্ঞাপন করে।
-
-
অন্যান্য প্রাসঙ্গিক অনুচ্ছেদ:
-
১০৯ নং অনুচ্ছেদ: আদালতসমূহের উপর তত্ত্বাবধায়ন ও নিয়ন্ত্রণ।
-
১১০ নং অনুচ্ছেদ: অধস্তন আদালত থেকে হাইকোর্ট বিভাগে মামলা স্থানান্তর।
-
১১১ নং অনুচ্ছেদ: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বাধ্যতামূলকতা।
-

0
Updated: 1 week ago
স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করে লর্ড ডালহৌসি কোন রাজ্যটি অধিকার করেন?
Created: 6 days ago
A
অযোধ্যা
B
পাঞ্জাব
C
হায়দ্রাবাদ
D
নাগপুর
স্বত্ববিলোপ নীতি ছিল একটি সাম্রাজ্যবাদী নীতি, যার মূল কথা হলো: ব্রিটিশ শাসনাধীন কোনো আশ্রিত রাজ্যের রাজা যদি অপুত্রক অবস্থায় মারা যান এবং তার রাজবংশে কোনো উত্তরাধিকার না থাকে, তাহলে সেই রাজ্য সরাসরি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হবে। এই নীতির মাধ্যমে সাঁতারা, নাগপুর, ঝাঁসি ও সম্বলপুর রাজ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
লর্ড ডালহৌসি সর্বপ্রথম সাঁতারা রাজ্যের উপর এই নীতি প্রয়োগ করেন। সাঁতারার রাজা ইংরেজদের অনুমতি ছাড়াই দত্তক পুত্র গ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৮ সালে রাজা মারা গেলে ডালহৌসি দত্তক পুত্রের দাবি অগ্রাহ্য করে সাঁতারা রাজ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করেন।
-
সম্বলপুর রাজ্যও অপুত্রক অবস্থায় মৃত্যুর পর ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হয়।
-
১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে ভোঁসলে বংশের শেষ রাজা অপুত্রক অবস্থায় মারা গেলে, নাগপুর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হয়। এটি ইংরেজদের জন্য কলকাতা থেকে বোম্বাই (মুম্বাই) যাতায়াতের পথ সরল করতে সহায়ক হয়।
-
একই বছরের মধ্যে ঝাঁসির রাজা মৃত্যুর পর দত্তক পুত্রের দাবি অস্বীকার করে ডালহৌসি ঝাঁসীকেও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করেন।
-
এভাবে শতদ্রু নদীর নিকট ভগৎ রাজ্য, মধ্যপ্রদেশে উদয়পুর, রাজস্থানে করৌলি প্রভৃতি রাজ্যও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
উৎস:

0
Updated: 6 days ago
বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১নং অনুচ্ছেদ কোন বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত?
Created: 1 week ago
A
বাক-স্বাধীনতা
B
ধর্মীয় স্বাধীনতা
C
চলাফেরার স্বাধীনতা
D
সমাবেশের স্বাধীনতা
ধর্মীয় স্বাধীনতা – বাংলাদেশ সংবিধান (অনুচ্ছেদ ৪১)
-
ধারার সীমাবদ্ধতা: আইন, জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার প্রতি সম্মান রেখে।
মূল বিষয়বস্তু:
-
ধর্ম অবলম্বন ও প্রচার:
-
প্রত্যেক নাগরিকের যেকোনো ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রয়েছে।
-
-
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান:
-
প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ-সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রয়েছে।
-
-
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণ:
-
কোনো ব্যক্তি যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় কার্যকলাপের সাথে সম্পর্কিত না হয়, তবে তাকে ঐ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করা যাবে না।
-
জরুরি অবস্থার সময়ও এই অধিকার রদ করা যায় না।
-
সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ:
-
অনুচ্ছেদ ৩৯: চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা
-
অনুচ্ছেদ ৩৭: সমাবেশের স্বাধীনতা
-
অনুচ্ছেদ ৩৬: চলাফেরার স্বাধীনতা

0
Updated: 1 week ago