নিচের কোনটি অ্যাটর্নি জেনারেলের ক্ষমতা বা কার্যাবলির মধ্যে পড়ে না?
A
রাষ্ট্রের পক্ষে আদালতে বক্তব্য পেশ করা
B
রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করা
C
সরকারের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা
D
সংসদে সরাসরি আইন প্রণয়ন করা
উত্তরের বিবরণ
অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা, যিনি রাষ্ট্র ও সরকারের পক্ষে আইনগত বিষয় নিয়ে আদালতে বক্তব্য প্রদান করেন। তবে তিনি সরাসরি সংসদে আইন প্রণয়ন করতে পারেন না।
-
বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ ভাগ, ৫ম পরিচ্ছেদ, ৬৪ নং অনুচ্ছেদে অ্যাটর্নি জেনারেল পদের কথা উল্লেখ আছে।
-
রাষ্ট্রপতি সুপ্রীম কোর্টের বিচারক হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
-
রাষ্ট্রপতির সন্তোষানুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমা পর্যন্ত পদে বহাল থাকবেন এবং পারিশ্রমিক পাবেন।
-
অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিত স্বাক্ষরযুক্ত পত্রের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে পারবেন।
-
তিনি সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারকের সমান মর্যাদা ভোগ করবেন।
অ্যাটর্নি জেনারেলের ক্ষমতা ও কার্যাবলি:
-
রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত সকল দায়িত্ব পালন করা।
-
বাংলাদেশের সকল আদালতে বক্তব্য পেশ করার অধিকার থাকা।
-
বাংলাদেশ সরকারের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন।
উল্লেখ্য, দেশের বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন মো. আসাদুজ্জামান।
উৎস:

0
Updated: 20 hours ago
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভা কাজের জন্য কার কাছে দায়বদ্ধ থাকেন?
Created: 20 hours ago
A
রাষ্ট্রপতির কাছে
B
আদালতের কাছে
C
জাতীয় সংসদের কাছে
D
স্পিকারের কাছে
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভা কাজের জন্য জাতীয় সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকেন। সংবিধানের ৫৫ নং অনুচ্ছেদ মন্ত্রিসভার গঠন ও কর্তব্যসমূহের বিধান দেয়।
-
৫৫ (১): বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী সময়ের প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য মন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রিসভা গঠন করবেন।
-
৫৫ (২): প্রধানমন্ত্রী বা তাঁর কর্তৃত্বে সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করা হবে।
-
৫৫ (৩): মন্ত্রিসভা যৌথভাবে সংসদের নিকট দায়ী থাকবেন।
-
৫৫ (৪): সরকারের সকল নির্বাহী ব্যবস্থা রাষ্ট্রপতির নামে প্রকাশ করা হবে।
-
৫৫ (৫): রাষ্ট্রপতির নামে প্রণীত আদেশসমূহ ও চুক্তিপত্রের সত্যায়ন ও প্রমাণীকরণ বিধিসমূহ অনুযায়ী হবে এবং এগুলোর বৈধতা আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না।
-
৫৫ (৬): রাষ্ট্রপতি সরকারী কার্যাবলী বন্টন ও পরিচালনার জন্য বিধিসমূহ প্রণয়ন করবেন।
উৎস:

0
Updated: 20 hours ago
’আমান’ কোন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা?
Created: 2 weeks ago
A
ইরান
B
মিশর
C
ইসরায়েল
D
ইরাক
বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা
-
মিশর – মুখবরাত
-
ইসরায়েল – মোসাদ, আমান
-
জাপান – নাইচো
-
ইরান – ভিভাক
-
সৌদি আরব – এস পি এ (SPA)
-
চীন – এম এস এস (MSS)
-
পাকিস্তান – আইএসআই (ISI)
-
যুক্তরাষ্ট্র – সিআইএ (CIA), ফেয়ারফ্যাক্স, এনএসএ (NSA), এফবিআই (FBI)
-
যুক্তরাজ্য – এসআইএস (SIS), এমআই৬, স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড, ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিস
-
ফ্রান্স – ডিজিএসআই (DGSI)
-
ভারত – RAW, CBI
উৎস: ব্রিটানিকা

0
Updated: 2 weeks ago
জেলা প্রশাসকের প্রধান কাজ কী?
Created: 20 hours ago
A
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়
B
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা
C
ভূমি ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করা
D
বর্ণিত সবগুলো
জেলা প্রশাসক হলেন জেলার প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা, যিনি জেলা প্রশাসক বা ডেপুটি কমিশনার নামে পরিচিত। তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন এবং জেলার প্রশাসন, পরিকল্পনা ও উন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি কার্যক্রম সমন্বয় করেন।
-
জেলা প্রশাসক একইসাথে জেলা প্রশাসক, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (District Magistrate), জেলা কালেক্টর (District Collector) ও ডেপুটি কমিশনার (Deputy Commissioner) হিসেবে কাজ করেন।
-
তিনি প্রশাসন, পরিকল্পনা, উন্নয়ন এবং সরকারি নিয়ম পদ্ধতির সমন্বয়কারী এবং প্রশাসন কাডারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
-
জেলা প্রশাসক আইনশৃঙ্খলা, ভূমি প্রশাসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সমন্বয় এবং সাধারণ ও স্থানীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
জেলা প্রশাসক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রতিনিধি এবং সরাসরি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগের ক্ষমতাপ্রাপ্ত একমাত্র কর্মকর্তা।
-
তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশ ও তত্ত্বাবধানে কাজ করেন।
-
ডেপুটি কমিশনার হিসাবে জেলা পোস্টিং পাওয়ার আগে তিনি সহকারী কমিশনার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার, সহকারী সচিব ও উপসচিব পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে জেলা ইউনিট সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।
-
জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব তিনটি ভাগে বিভক্ত: ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর, ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কমিশনার, অর্থাৎ রাজস্ব আদায়, বিচার সংক্রান্ত এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের সমন্বয়।
-
প্রথম দুই দায়িত্ব দুইশ বছরের বেশি সময়ের পুরনো, যা ব্রিটিশ কোম্পানি শাসনামলের। উন্নয়নমূলক কাজের দায়িত্ব পাকিস্তান আমলে যোগ হয়।
-
২০০৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের পর জেলা প্রশাসক শুধুমাত্র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
উৎস:

0
Updated: 20 hours ago