গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে ‘রাজনৈতিক দল থেকে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোটদানের কারণে আসন শূন্য হওয়ার বিধানটি বর্ণিত আছে?
A
৬৬ নং
B
৬৭ নং
C
৭০ নং
D
৭১ নং
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ সংবিধানের ৭০ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে সাংসদ নির্বাচিত হন, তবে সংসদে সেই দলের বিপক্ষে ভোট প্রদান বা দল থেকে পদত্যাগ করলে তার সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়। সংসদে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট প্রদান বা দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলাকে ফ্লোর ক্রসিং বলা হয়।
-
৭০ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী:
-
সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হলে যদি তিনি উক্ত দল থেকে পদত্যাগ করেন, অথবা
-
সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোট দেন,
-
তাহলে তাঁর সংসদে আসন শূন্য হবে।
-
-
তবে এই কারণে তিনি পরবর্তী কোনো নির্বাচনে সংসদ-সদস্য হবার অযোগ্য হবেন না।
অন্য সংবিধানিক প্রাসঙ্গিক অনুচ্ছেদ:
-
৬৬ নং অনুচ্ছেদ: সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা।
-
৬৭ নং অনুচ্ছেদ: সদস্যদের আসন শূন্য হওয়া।
-
৭১ নং অনুচ্ছেদ: দ্বৈত-সদস্যতায় বাধা।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল রক্ত লাল রক্ত লাল' গানটির গীতিকার কে?
Created: 2 months ago
A
আপেল মাহমুদ
B
গোবিন্দ হালদার
C
সমর দাস
D
স্বপ্না রায়
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র:
- স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বেতার সম্প্রচার কেন্দ্র।
- চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে এর প্রাথমিক যাত্রা শুরু হয়।
- মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রচারিত গানগুলো মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রেরণা যুগিয়েছে।
⇒ তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর:
- কথা ও সুর: আপেল মাহমুদ।
- শিল্পী: রথীন্দ্রনাথ রায়।
⇒ পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল রক্ত লাল রক্ত লাল:
- গীতিকার: গোবিন্দ হালদার।
- সুরকার: সমর দাস।
- গানটি কয়েকজন শিল্পীর সমবেত কণ্ঠে প্রচার করা হয়।
⇒ মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি:
- গীতিকার: গোবিন্দ হালদার।
- সুরকার: আপেল মাহমুদ।
- শিল্পী: আপেল মাহমুদ।
⇒ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে:
- গীতিকার: গোবিন্দ হালদার।
- সুরকার: আপেল মাহমুদ।
- শিল্পী: স্বপ্না রায়।
⇒ সালাম সালাম হাজার সালাম:
- গীতিকার: ফজলে খোদা।
- সুরকার: আব্দুল জব্বার।
- শিল্পী: আব্দুল জব্বার।
তথ্যসূত্র - প্রথম আলো পত্রিকার রিপোর্ট।
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত বিধান উল্লেখ রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
৫৮ অনুচ্ছেদ
B
৫৯ অনুচ্ছেদ
C
৬৯ অনুচ্ছেদ
D
৬৮ অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত মৌলিক বিধান প্রদান করা হয়েছে, যা তৃণমূল পর্যায়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
সংবিধানে স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত বিধান:
-
স্থানীয় সরকারকে প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অংশগ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
-
সংবিধানে স্থানীয় সরকার সংক্রান্ত ৪টি অনুচ্ছেদ রয়েছে: অনুচ্ছেদ ৯, ১১, ৫৯ এবং ৬০।
-
এসব অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
অনুচ্ছেদ ৯: স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করা এবং কৃষক, শ্রমিক ও মহিলাদের জন্য বিশেষ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।
-
অনুচ্ছেদ ১১: প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
-
অনুচ্ছেদ ৫৯: প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি প্রশাসনিক ইউনিটের স্থানীয় শাসন নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত সংস্থার উপর ন্যস্ত করা।
-
অনুচ্ছেদ ৬০: স্থানীয় শাসন-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানকে স্থানীয় প্রয়োজনে কর আরোপ, বাজেট প্রস্তুতকরণ এবং নিজস্ব তহবিল রক্ষণের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
৫৯ অনুচ্ছেদের মূল বিধান (সংক্ষেপে):
১. আইনানুযায়ী নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠানসমূহের উপর প্রতিটি প্রশাসনিক ইউনিটের স্থানীয় শাসনের ভার প্রদান করা হবে।
২. সংসদ আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী, এই প্রতিষ্ঠানসমূহ যথোপযুক্ত প্রশাসনিক ইউনিটে নিম্নলিখিত দায়িত্ব পালন করবে:
-
(ক) প্রশাসন ও সরকারি কর্মচারীদের কার্য পরিচালনা
-
(খ) জনশৃঙ্খলা রক্ষা
-
(গ) জনসাধারণের কার্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন
0
Updated: 1 month ago
ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব কবে ও কোথায় উত্থাপিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ, লাহোরে
B
১৯৩৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, দিল্লিতে
C
১৯৪৬ সালের ৯ এপ্রিল, কলকাতায়
D
১৯৪৭ সালের ৩ জুন, করাচিতে
১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ, লাহোরে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের বার্ষিক অধিবেশনে শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন, যা পরবর্তীতে পাকিস্তান প্রস্তাব নামেও পরিচিতি লাভ করে।
-
প্রস্তাবটি জিন্নাহর সভাপতিত্বে সভায় গৃহীত হয় এবং ইতিহাসে লাহোর প্রস্তাব নামে সুপরিচিত।
-
প্রস্তাবের ভিত্তি ছিল দ্বিজাতি তত্ত্ব।
-
প্রস্তাবে সরাসরি ‘পাকিস্তান’ শব্দ ব্যবহৃত হয়নি, তথাপি এটি মুসলিমদের পৃথক আবাসভূমির স্বপ্ন বপন করে।
-
এই প্রস্তাব ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে স্বাধীন রাষ্ট্রের ধারণা সৃষ্টি করে।
-
কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ লাহোর প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago