‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’ সম্পর্কে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে আলোকপাত করা হয়েছে?
A
১১ নং
B
১৭ নং
C
১৮ নং
D
২১ নং
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। সংবিধানের ১১ নং অনুচ্ছেদে এর বিস্তারিত বিধান রয়েছে।
-
সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে প্রজাতন্ত্র হবে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকবে।
-
এখানে মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত করা হবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।
-
প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের সর্বজনীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত হবে।
-
সমাজজীবনে সর্বপ্রকার বৈষম্য দূরীকরণ করা হবে এবং নাগরিকদের মৌলিক মানবিক অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হবে।
অন্যদিকে, সংবিধানের ১৭ নং অনুচ্ছেদে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার বিষয়ে বিধান রাখা হয়েছে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষ গ্রন্থ ২০২৪ অনুযায়ী, তামাক উৎপাদনে শীর্ষ জেলা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
খুলনা
B
কুষ্টিয়া
C
ঝিনাইদহ
D
দিনাজপুর
কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষ গ্রন্থ ২০২৪ অনুযায়ী বিভিন্ন ফসলের উৎপাদনে শীর্ষ স্থানধারী জেলা ও বিভাগগুলো নিম্নরূপ:
-
তামাক উৎপাদনে:
-
শীর্ষ জেলা: কুষ্টিয়া
-
শীর্ষ বিভাগ: খুলনা
-
-
চা উৎপাদনে শীর্ষ জেলা: মৌলভীবাজার
-
ভুট্টা উৎপাদনে শীর্ষ জেলা: দিনাজপুর
-
তুলা উৎপাদনে শীর্ষ জেলা: ঝিনাইদহ
-
পাট উৎপাদনে শীর্ষ জেলা: ফরিদপুর
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো কয় স্তর বিশিষ্ট?
Created: 1 month ago
A
পাঁচ
B
দুই
C
চার
D
এক
বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো
বাংলাদেশের প্রশাসন দুই স্তরে বিভক্ত: কেন্দ্রীয় প্রশাসন ও মাঠ প্রশাসন।
১. কেন্দ্রীয় প্রশাসন (সচিবালয়)
-
দেশের সব ধরনের প্রশাসনিক নীতি ও সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গ্রহণ করা হয়।
-
কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গৃহীত নীতি ও সিদ্ধান্ত মাঠ প্রশাসনের মাধ্যমে সারাদেশে বাস্তবায়িত হয়।
২. মাঠ প্রশাসন
মাঠ প্রশাসন মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়।
-
প্রথম ধাপ: বিভাগীয় প্রশাসন
-
দ্বিতীয় ধাপ: জেলা প্রশাসন
-
তৃতীয় ধাপ: উপজেলা প্রশাসন
-
উপজেলা প্রশাসন তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত, জনগণের নিকট প্রশাসনিক সেবা পৌঁছে দেয়।
-
0
Updated: 1 month ago
বিদেশি কূটনীতিকগণ কার নিকট পরিচয়পত্র পেশ করেন?
Created: 1 month ago
A
রাষ্ট্রপতি
B
সেনাপ্রধান
C
প্রধানমন্ত্রী
D
জাতীয় সংসদের স্পিকার
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্বসমূহ:
নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষমতা:
-
রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী নিয়োগ।
-
শীর্ষ কর্মকর্তা যেমন মহাহিসাব রক্ষক, রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিয়োগ।
-
প্রতিরক্ষা বাহিনীর সর্বাধিনায়ক এবং সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানদের নিয়োগ।
-
প্রধান বিচারপতি নিয়োগ (প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ব্যতীত)।
সংসদ সংক্রান্ত ক্ষমতা:
-
জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান, স্থগিত বা ভেঙে দেওয়া (প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে)।
-
সংসদে ভাষণ ও বাণী প্রদান।
-
সংসদ কর্তৃক পাস হওয়া বিলে সম্মতি দিয়ে আইন কার্যকর করা।
-
সংসদ ভেঙে গেলে বা অধিবেশন না থাকলে অধ্যাদেশ জারি।
আর্থিক ক্ষমতা:
-
রাষ্ট্রপতির সম্মতি ছাড়া অর্থ বিল উত্থাপন সম্ভব নয়।
-
সংসদ অর্থ মঞ্জুর করতে ব্যর্থ হলে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের জন্য তহবিল থেকে অর্থ অনুমোদন।
বিচার বিভাগীয় ক্ষমতা:
-
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের নিয়োগ।
-
আদালত বা ট্রাইব্যুনালের প্রদত্ত দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা।
জরুরি অবস্থা ঘোষণা:
-
যুদ্ধ, বিদেশি আগ্রাসন বা অভ্যন্তরীণ গোলযোগের ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা ঘোষণা (প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে)।
অন্যান্য দায়িত্ব:
-
জাতীয় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব।
-
খেতাব, পদক ও সম্মাননা প্রদান।
-
নাগরিকদের বিদেশি উপাধি গ্রহণে অনুমতি প্রদান।
-
রাষ্ট্রীয় চুক্তি ও দলিল সম্পাদন।
-
বিদেশি কূটনীতিকদের পরিচয়পত্র গ্রহণ।
-
প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও বিচারপতিদের শপথ বাক্য পাঠ করানো।
জবাবদিহিতা:
-
রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করবেন।
0
Updated: 1 month ago