বাংলাদেশের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত হয়?
A
দ্বাদশ
B
ত্রয়োদশ
C
চতুর্দশ
D
পঞ্চদশ
উত্তরের বিবরণ
২৭ মার্চ, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী আনা হয়। এ সংশোধনীর মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধান রাখা হয়।
-
১৯৯৬ সালের ২১ মার্চ জাতীয় সংসদে সংশোধনী বিলটি উপস্থাপিত হয়।
-
২৪ মার্চ আইন মন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী বিলটি ১০ সদস্য বিশিষ্ট বাছাই কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।
-
২৬ মার্চ বিলটি সংশোধনী আকারে সর্বসম্মতিক্রমে ২৬৯-০ ভোটে গৃহীত হয়।
-
সংশোধনীর মূল বিষয়সমূহ হলো:
১. জাতীয় সংসদ বিলোপের ১৫ দিনের মধ্যে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন।
২. প্রধান উপদেষ্টাকে প্রধানমন্ত্রীর এবং অন্যান্য উপদেষ্টাগণকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা প্রদান।
৩. তত্ত্বাবধায়ক সরকার নীতি নির্ধারণী কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে না।
৪. যোগ্য প্রধান উপদেষ্টা না থাকলে প্রেসিডেন্ট প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন।
৫. প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের মধ্য থেকে ১০ জন উপদেষ্টা নিয়োগ।
৬. সরকারের মেয়াদ হবে তিন মাস, এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পর তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। -
উচ্চ আদালতের আদেশে ২০১১ সালে এই সংশোধনীটি বাতিল করা হয়।
উৎস:

0
Updated: 20 hours ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত বিধান উল্লেখ রয়েছে?
Created: 3 days ago
A
৫৮ অনুচ্ছেদ
B
৫৯ অনুচ্ছেদ
C
৬৯ অনুচ্ছেদ
D
৬৮ অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের
সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত মৌলিক বিধান দেওয়া হয়েছে।
সংবিধানে
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিধান:
- বাংলাদেশের সংবিধানে তৃনমূল পর্যায়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য স্থানীয়
সরকারকে প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান এবং একই সাথে
জনগণের অংশগ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
- বাংলাদেশের সংবিধানে স্থানীয় সরকার সম্পর্কে ৪টি অনুচ্ছেদ রয়েছে
(অনুচ্ছেদ ৯, ১১, ৫৯
এবং ৬০)।
- এসব অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা ও কার্যকারিতা বিষয়ে
সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে।
⇒ অনুচ্ছেদ
৯: এই অনুচ্ছেদে স্থানীয়
সরকার প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করা এবং কৃষক,
শ্রমিক ও মহিলাদের জন্য
বিশেষ প্রতিনিধিত্বের কথা বলা হয়েছে।
⇒
অনুচ্ছেদ ১১: প্রশাসনের সকল
পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণের উপর জোর দেওয়া
হয়েছে।
⇒
অনুচ্ছেদ ৫৯: প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি প্রশাসনিক ইউনিটের স্থানীয় শাসন নির্বাচিত ব্যক্তিদের
সমন্বয়ে গঠিত সংস্থাগুলির উপর
ন্যস্ত করার কথা বলা
হয়েছে।
⇒
অনুচ্ছেদ ৬০: স্থানীয় শাসন-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্থানীয় প্রয়োজনে কর আরোপ করার
ক্ষমতাসহ বাজেট প্রস্তুতকরণ এবং নিজস্ব তহবিল
রক্ষনাবেক্ষণের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এ
অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক ক্ষমতা প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে।
৫৯।
(১) আইনানুযায়ী নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠানসমূহের উপর
প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক প্রশাসনিক এককাংশের স্থানীয় শাসনের ভার প্রদান করা
হইবে।(২) এই সংবিধান
ও অন্য কোন আইন-সাপেক্ষে সংসদ আইনের দ্বারা
যেরূপ নির্দিষ্ট করিবেন, এই অনুচ্ছেদের (১)
দফায় উল্লিখিত অনুরূপ প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান যথোপযুক্ত প্রশাসনিক এককাংশের মধ্যে সেইরূপ দায়িত্ব পালন করিবেন এবং
অনুরূপ আইনে নিম্নলিখিত বিষয়
সংক্রান্ত দায়িত্ব অন্তর্ভুক্ত হইতে পারিবে:
(ক)
প্রশাসন ও সরকারী কর্মচারীদের
কার্য;
(খ) জনশৃংখলা রক্ষা;
(গ) জনসাধারণের কার্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন-সম্পর্কিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

0
Updated: 3 days ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্র সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করবেন?
Created: 1 day ago
A
১৫ নং
B
১৭ নং
C
১৮ক নং
D
১৯ নং
বাংলাদেশের
সংবিধান:
- বাংলাদেশের
সংবিধানের ১৯ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্র সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করবেন।
⇒ ১৯
নং অনুচ্ছেদ:
- ১৯ (১) সকল নাগরিকের
জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে
রাষ্ট্র সচেষ্ট হবেন।
- ১৯ (২) মানুষে মানুষে
সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য
বিলোপ করার জন্য, নাগরিকদের
মধ্যে সম্পদের সুষম বন্টন নিশ্চিত
করার জন্য এবং প্রজাতন্ত্রের
সর্বত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমান স্তর অর্জনের
উদ্দেশ্যে সুষম সুযোগ-সুবিধাদান
নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্র
কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
- ১৯ (৩) জাতীয় জীবনের
সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা
রাষ্ট্র নিশ্চিত করবেন।
অন্যদিকে,
- বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ নং অনুচ্ছেদে
'মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা' সম্পর্কে বলা হয়েছে।
- সংবিধানের ১৭ নং অনুচ্ছেদের
বিষয়বস্তু : অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা।
- সংবিধানের ১৮ক নং অনুচ্ছেদের
বিষয়বস্তু : পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য
সংরক্ষণ ও উন্নয়ন।

0
Updated: 1 day ago
দেশের প্রথম সিমেন্ট কারখানা কোনটি?
Created: 5 days ago
A
আকিজ সিমেন্ট কারখানা
B
ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি
C
শাহ সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড
D
লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানা
• ছাতক সিমেন্ট কোম্পানী:
- দেশের প্রথম সিমেন্ট কারখানা ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড।
- ছাতক সিমেন্ট কোং লিঃ, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে অবস্থিত দেশের একমাত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ সিমেন্ট কারখানা।
- এটি ১৯৩৭ সনে আসাম বেঙ্গল সিমেন্ট কোম্পানী নামে ব্যক্তি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত।
- ১৯৬৫ সনে পাক-ভারত যুদ্ধের পর ব্যক্তি মালিক কর্তৃক কারখনাটি পরিত্যক্ত হয়।
- পরে ১৯৬৬ সন হতে উহা ইপিআইডিসি'র নিয়ন্ত্রনে আসে।
- বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়ার পর প্রথমে বিএমওজিসি, বিএমইডিসি ।
- এবং সর্বশেষ ১৯৮২ সালের ১লা জুলাই থেকে বিসিআইসি'র নিয়ন্ত্রণে আসে।
অপরদিকে,
- লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানা:
- ছাতক লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি বাংলাদেশে তথা এশিয়া মহাদেশের অন্যতম মাল্টি-ন্যাশনাল কোম্পানি।
- শাহ সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড।
- আকিজ সিমেন্ট কারখানা।

0
Updated: 5 days ago