বাংলাদেশে কত সালে 'স্থানীয় শাসন অর্ডিন্যান্স' জারি হয়?
A
১৯৭২ সালে
B
১৯৭৪ সালে
C
১৯৭৬ সালে
D
১৯৭৭ সালে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে স্থানীয় শাসন অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ সালে জারি হয়। এর মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নতুন রূপ প্রদান করা হয়। এর আগে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় সরকারের গঠন ও নির্বাচনের পরিবর্তন ঘটেছিল।
-
১৯৭২ সালে জারিকৃত রাষ্ট্রপতির ৭নং আদেশ অনুযায়ী সরকার বিদ্যমান সকল স্থানীয় সরকার কমিটি ভেঙে দেয়।
-
১৯৭৩ সালে নতুন করে জারিকৃত রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ২২ অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
-
১৯৭৬ সালে জেনারেল জিয়াউর রহমানের সরকার নতুন স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশ জারি করে। এতে তিন ধরনের গ্রামীণ স্থানীয় সরকার গঠনের বিধান রাখা হয়: ইউনিয়ন পরিষদ, থানা পরিষদ এবং জেলা পরিষদ।
-
এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কেবলমাত্র ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান ও অপর ৯ জন সদস্য প্রাপ্তবয়স্কদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন।
-
থানা পরিষদ সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হবে। এখানে মহকুমা অফিসার (SDO) চেয়ারম্যান এবং সার্কেল অফিসার (SO) ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হবেন।
-
জেলা পরিষদ নির্বাচিত সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা ও মহিলা সদস্যদের দ্বারা গঠনের কথা থাকলেও এখানে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
উৎস:

0
Updated: 20 hours ago
মোট কতটি দেশের অনুমোদন নিয়ে IMF প্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 1 week ago
A
২৯টি
B
৩২টি
C
৪২টি
D
৪৪টি
IMF (International Monetary Fund / আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল)
-
পূর্ণরূপ: The International Monetary Fund (IMF)
-
গঠনের সিদ্ধান্ত: ৪ জুলাই, ১৯৪৪
-
প্রতিষ্ঠিত: ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৪৫
-
কার্যক্রম শুরু: মার্চ, ১৯৪৭
-
প্রতিষ্ঠার স্থান: নিউ হ্যাম্পশায়ার, যুক্তরাষ্ট্র
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সম্মেলন: Bretton Woods Conference
-
প্রাথমিক অনুমোদিত দেশ: ২৯টি
-
বর্তমান সদস্য: ১৯১টি দেশ
-
সদরদপ্তর: ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র
-
বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক: ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা
-
রিজার্ভ মুদ্রা: ৫টি (ডলার, পাউন্ড, ইয়েন, ইউরো ও চীনা ইউয়ান)
IMF-এর প্রধান কাজ:
-
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা: সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
-
ঋণ ও সহায়তা প্রদান: কোনো দেশ অর্থনৈতিক সংকটে পড়লে ঋণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান।
-
পরামর্শ ও গবেষণা: সদস্য দেশগুলোর অর্থনীতি বিশ্লেষণ করে নীতি প্রণয়নে পরামর্শ দেওয়া এবং বিশ্ব অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কিত তথ্য প্রদান।
-
মুদ্রা বিনিময় ও মানের স্থিতিশীলতা: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ করতে এবং মুদ্রার মান স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা।
-
Special Drawing Rights (SDR): সংকটকালীন সময়ে আন্তর্জাতিক লেনদেনে ব্যবহারের জন্য সদস্য দেশগুলোকে SDR প্রদানের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সহায়তা।

0
Updated: 1 week ago
বঙ্গভঙ্গ কালে ভারতের ভাইসরয় কে ছিলেন?
Created: 6 days ago
A
লর্ড কার্জন
B
লর্ড মাউন্টব্যাটেন
C
লর্ড রিপন
D
লর্ড ওয়াভেল
বঙ্গভঙ্গের সময় ভারতীয় ভাইসরয় ছিলেন লর্ড কার্জন, এবং তিনি প্রধানত প্রশাসনিক সুবিধা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ১৯০৫ সালে বিশাল আয়তনের বাংলা প্রদেশকে দুটি প্রদেশে বিভক্ত করেন। এই সময়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ করে দুটি নতুন প্রদেশ সৃষ্টি করা হয়।
-
পূর্ব বঙ্গ ও আসাম প্রদেশ:
-
পূর্ব বঙ্গের ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের সাথে জলপাইগুড়ি, পার্বত্য ত্রিপুরা, মালদাহ ও আসামকে যুক্ত করে এই নতুন প্রদেশ তৈরি করা হয়।
-
নতুন প্রদেশের আয়তন দাঁড়ায় ১০৬,৫৪০ বর্গমাইল, জনসংখ্যা ৩ কোটি ১০ লক্ষ, যার মধ্যে ১ কোটি ৮০ লক্ষ মুসলমান।
-
নতুন প্রদেশের রাজধানী করা হয় ঢাকা, এবং অনুসঙ্গী সদর দপ্তর হয় চট্টগ্রাম।
-
-
পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যা নিয়ে আরেকটি প্রদেশ গঠিত হয়, যার নামকরণ করা হয় বাংলা প্রদেশ।
-
এই প্রদেশের রাজধানী হয় কলকাতা।
-
-
মাত্র ৬ বছরের মধ্যে, ১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর বঙ্গভঙ্গ রদ ঘোষণা করা হয়।
উৎস:

0
Updated: 6 days ago
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, কোন বিভাগে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জনসংখ্যা সবচেয়ে কম? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 2 weeks ago
A
চট্টগ্রাম
B
বরিশাল
C
রংপুর
D
সিলেট
জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২২
-
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জনসংখ্যা: ১৬,৫০,৪৭৮ জন।
-
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম বিভাগে বাস করে (৬০.০৪%)।
-
উপজাতির সংখ্যা সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে (০.২৫%)।
-
বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে চাকমা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনসংখ্যা:
-
চাকমা: ৪,৮৩,৩৬৫
-
মারমা: ২,২৪,২৯৯
-
ত্রিপুরা: ১,৫৬,৬২০
-
সাঁওতাল: ১,২৯,০৫৬
-
ওরাওঁ: ৮৫,৮৫৮
-
গারো: ৭৬,৮৫৪

0
Updated: 2 weeks ago