A
১৯২৬
B
১৯১১
C
১৮৬৪
D
১৯০৫
উত্তরের বিবরণ
মুসলিম সাহিত্য-সমাজ:
- মুসলিম সাহিত্য-সমাজ ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন যুক্তিবাদী ও প্রগতিশীল শিক্ষক ও ছাত্রের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হল ইউনিয়ন কক্ষে বাংলা ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে ১৯২৬ সালের ১৯ জানুয়ারি মুসলিম সাহিত্য-সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
- সংগঠনটির পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক আবুল হুসেন, মুসলিম হলের ছাত্র এ.এফ.এম আবদুল হক, ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ছাত্র আবদুল কাদির প্রমুখের ওপর। তারাই ছিলেন প্রথম কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য।
- নেপথ্যে থেকে দায়িত্ব পালন করতেন ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কাজী আবদুল ওদুদ ও যুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক কাজী আনোয়ারুল কাদীর।
এছাড়াও-
- মুসলিম সাহিত্য সমাজের মুখপাত্র শিখা পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।
- এই পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন আবুল হোসেন।
- এই পত্রিকার স্লোগান ছিলো - 'জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব'।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago
তুমি না বলেছিলে আগামীকাল আসবে?- এখানে 'না'-এর ব্যবহার কি অর্থে?
Created: 2 weeks ago
A
না-বাচক
B
হ্যাঁ-বাচক
C
প্রশ্নবোধক
D
বিস্ময়সূচক
তুমি না বলেছিলে আগামীকাল আসবে?- এখানে 'না'- প্রশ্নাত্মক/প্রশ্নবোধন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
• নির্দেশাত্মক বাক্য থেকে প্রশ্নাত্মক বাক্যে রূপান্তর:
নির্দেশাত্মক বাক্য থেকে প্রশ্নাত্মক বাক্যে রূপান্তর করতে হলে বাক্যের মৌলিক অর্থ বা মূল অর্থ অপরিবর্তিত রেখে প্রশ্নাত্মক বাক্যটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যার সবচেয়ে কাছাকাছি সম্ভাব্য উত্তর হবে নির্দেশাত্মক বাক্যটি।
• সূত্র: নির্দেশাত্মক বাক্য হ্যাঁ-বাচক হলে প্রশ্নাত্মক হবে না-বাচক, নির্দেশাত্মক বাক্য না-বাচক হলে প্রশ্নাত্মক হবে হ্যাঁ-বাচক। প্রথমটির ক্ষেত্রে বিধেয় ক্রিয়ার সঙ্গে নঞর্থক শব্দ যোগ করতে হয়, দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে নঞর্থক শব্দ বর্জন করে 'আর' প্রভৃতি বাক্যালঙ্কার শব্দের আগমন ঘটাতে হয়।
যেমন:
• নির্দেশাত্মক: দেশপ্রেমিককে সবাই ভালোবাসে।
• প্রশ্নাত্মক: দেশপ্রেমিককে কে না ভালোবাসে?
তেমনই,
• নির্দেশাত্মক: তুমি বলেছিলে আগামীকাল আসবে।
• প্রশ্নাত্মক: তুমি না বলেছিলে আগামীকাল আসবে?
• সূত্র: রূপান্তরিত বাক্যে প্রয়োজনমতো 'কে', 'কি', 'কোথায়' ইত্যাদি প্রশ্নাত্মক শব্দ এবং প্রশ্ন (?) চিহ্ন বসাতে
হয়।
যেমন:
• নির্দেশাত্মক: কেউ মৃত্যুকে ফাঁকি দিতে পারে না।
• প্রশ্নাত্মক: কেউ কি মৃত্যুকে ফাঁকি দিতে পারে?
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 2 weeks ago
প্রথম বাংলা 'থিসরাস' বা সমার্থক শব্দের অভিধান সংকলন করেছেন-
Created: 2 weeks ago
A
অশোক মুখোপাধ্যায়
B
জগন্নাত চক্রবর্তী
C
মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
D
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
বাংলা ভাষায় থিসারাস ধরনের অভিধানের পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিচিত ‘সমার্থক শব্দের অভিধান’, যা ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এটি বাংলা ভাষায় প্রথম থিসারাস-ভিত্তিক অভিধান হিসেবে বিবেচিত।
বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের কলকাতাতেও এই ধরনের অভিধান রচনার প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অশোক মুখোপাধ্যায় রচিত ‘সমার্থশব্দকোষ’। উভয় গ্রন্থের বিন্যাসে একটি মিল রয়েছে—এই দুই থিসারাস-ধর্মী অভিধানই পিটার মার্ক রজে রচিত ইংরেজি ‘Thesaurus of English Words and Phrases’ (প্রকাশ: ১৯৫৮) থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বিষয়ভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাস অনুসরণে সাজানো হয়েছে।
এই ধরণের অভিধানে কাঙ্ক্ষিত প্রতিশব্দ খুঁজে পেতে হলে পাঠককে বিষয়ভিত্তিক সূচির সাহায্য নিতে হয়। যদিও গ্রন্থের শেষে একটি বর্ণানুক্রমিক সূচিও সংযোজিত রয়েছে, সেটি মূলত পরিপূরক সহায়তা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
উৎস: মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের ‘সমার্থক শব্দের অভিধান’ গ্রন্থের ভূমিকা।

0
Updated: 2 weeks ago
নারীকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে-
Created: 2 weeks ago
A
কল্যাণীয়াষু
B
সুচরিতেষু
C
শ্রদ্ধাস্পদাসু
D
প্রীতিভাজনেষু
• পত্রে নারীকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত শব্দ- শ্রদ্ধাস্পদাসু।
• শ্রদ্ধাভাজন, স্নেহভাজন নারীদের লিখিত পত্রের সম্বোধনগুলো হলো:
- শ্রদ্ধাভাজনাসু, শ্রদ্ধাস্পদাসু, কল্যাণীয়াসু ইত্যাদি।
• শ্রদ্ধাভাজন, স্নেহভাজন পুরুষ ও বন্ধুদের লিখিত পত্রের সম্বোধনগুলো হলো:
- শ্রদ্ধাভাজনেষু, শ্রদ্ধাস্পদেষু, সুচরিতেষু, প্রীতিভাজন ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান।

0
Updated: 2 weeks ago