'শাশ্বত বঙ্গ' গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
A
কাজী মোতাহার হোসেন
B
আবুল হুসেন
C
কাজী আবদুল ওদুদ
D
কাজী আনোয়ারুল কাদির
উত্তরের বিবরণ
শাশ্বত বঙ্গ
- কাজী আবদুল ওদুদ রচিত ‘শাশ্বত বঙ্গ’ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং বাঙালির সাংস্কৃতিক ইতিহাসের বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য একটি গ্রন্থ।
- একটি কবিতাসহ ৭৫টি প্রবন্ধ নিয়ে সংকলিত হয় এ গ্রন্থ।
- গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় বাংলা ১৩৫৮ সনে, কলকাতা থেকে।
- কাজী আবদুল ওদুদ রচিত নবর্পয্যায় (১ম ও ২য় খণ্ড), রবীন্দ্রকাব্য পাঠ, সমাজ ও সাহিত্য, হিন্দু-মুসলমানের বিরোধ, আজকার কথা, নজরুল প্রতিভা, স্বাধীনতা-দিনের উপহার প্রভৃতি গ্রন্থের নির্বাচিত প্রবন্ধ এবং অপ্রকাশিত কিছু প্রবন্ধ নিয়ে গ্রন্থ আকারে ‘শাশ্বত বঙ্গ’ সংকলিত হয়।
--------------------------------
• কাজী আবদুল ওদুদ:
- কাজী আবদুল ওদুদ একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, চিন্তাবিদ।
- তিনি ১৮৯৪ সালের ২৬ এপ্রিল ফরিদপুর জেলার পাংশা উপজেলার বাগমারা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।
- আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ধারায় কাজী আবদুল ওদুদের প্রধান পরিচয় চিন্তাশীল লেখক হিসেবে। তবে তাঁর লেখালেখি শুরু হয় কথাসাহিত্যের মাধ্যমে।
- তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ মীর পরিবার পাঁচটি গল্পের সংকলন।
- এরপর তিনি তিনটি গল্প রচনা করেন যা পরবর্তী সময়ে তরুণ (১৯৪৮) গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়।
- নদীবক্ষে ও আজাদ (১৯৪৮) তাঁর দু’টি উপন্যাস।
- নাটকও রচনা করেন দু’টি ‘পথ ও বিপথ’ (১৯৩৯) এবং ‘মানব-বন্ধু’। মানব-বন্ধু পরবর্তীকালে তরুণ গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago
'সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি' এই চরণদ্বয়ের লেখক _____।
Created: 2 months ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
কুসুমকুমারী দাস
C
মদনমোহন তর্কালঙ্কার
D
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
• "সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি" — এই পঙ্ক্তিটি মদনমোহন তর্কালঙ্কার রচিত 'আমার পণ' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
• মদনমোহন তর্কালঙ্কার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
-
তিনি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার বিল্বগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তাঁর পারিবারিক পদবি ছিল চট্টোপাধ্যায়, তবে তিনি 'তর্কালঙ্কার' উপাধি নামেই বেশি পরিচিত।
-
তিনি শিশুদের জন্য উপযোগী একটি অসাধারণ বই ‘শিশু শিক্ষা’ রচনা করেন, যা তিন খণ্ডে প্রকাশিত হয় (১৮৪৯ ও ১৮৫৩ সালে)।
-
তাঁরই লেখা বিখ্যাত শিশুপাঠ্য কবিতা “পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল”।
-
তাঁর মৌলিক কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি হলো:
-
রসতরঙ্গিণী
-
বাসবদত্তা
-
• 'আমার পণ' কবিতার অংশবিশেষ:
আমার পণ
মদনমোহন তর্কালঙ্কার
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি।
আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে,
আমি যেন সেই কাজ করি ভাল মনে।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর) ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 2 months ago
কোন কবিতা রচনার কারণে নজরুল ইসলামের কারাদণ্ড হয়েছিল?
Created: 3 months ago
A
বিদ্রোহী
B
আনন্দময়ীর আগমনে
C
কাণ্ডারী হুশিয়ার
D
অগ্রপথিক
কাজী নজরুল ইসলামের রচিত 'আনন্দময়ীর আগমনে' একটি প্রতিবাদী কবিতা, যা তাকে কারাবরণে বাধ্য করেছিল।
৭৯ লাইনের এই জ্বালাময়ী কবিতাটি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদে ভরপুর। ১৯২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ‘ধূমকেতু’ পত্রিকার পূজাবার্ষিকীতে কবিতাটি প্রকাশিত হলে, ব্রিটিশ সরকার এতে বিদ্রোহের গন্ধ পেয়ে নজরুলকে কুমিল্লা থেকে ৮ নভেম্বর গ্রেফতার করে।
কাজী নজরুল ইসলাম: বিদ্রোহ ও সাহিত্যের কবি
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজচিন্তায় ছিলেন এক বিপ্লবী চিন্তার ধারক। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে।
শৈশবে ‘দুখু মিয়া’ নামে পরিচিত এই কবি বাংলা সাহিত্যে ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে খ্যাত হন।
গানে ও কবিতায় সমান পারদর্শী নজরুল আধুনিক বাংলা সংগীত জগতে ‘বুলবুল’ নামে সুপরিচিত।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো:
-
অগ্নিবীণা
-
বিষের বাঁশী
-
ছায়ানট
-
সাম্যবাদী
-
সর্বহারা
-
সিন্ধু-হিন্দোল
-
চক্রবাক
-
ফণি-মনসা
-
প্রলয়-শিখা
তথ্যসূত্র:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা - ড. সৌমিত্র শেখর
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 3 months ago
'স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়' চরণটি কার রচনা?
Created: 5 months ago
A
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
B
মধুসূদন দত্ত
C
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
D
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
‘স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়’— এই অমর পঙ্ক্তিটি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত দেশাত্মবোধক কাব্য পদ্মিনী উপাখ্যান থেকে নেওয়া। এটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রাথমিক দেশপ্রেমবোধক কবিতা, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবীদের মধ্যে প্রেরণা জুগিয়েছিল।
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন প্রখ্যাত কবি ও সাংবাদিক। তাঁর জন্ম হয় পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার বাকুলিয়া গ্রামে। ছাত্রজীবনেই তাঁর কবিতা ঈশ্বরগুপ্ত সম্পাদিত সংবাদ প্রভাকর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তাঁর সাহিত্যিক যাত্রার প্রধান ও প্রথম উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি পদ্মিনী উপাখ্যান, যা ১৮৫৮ সালে প্রকাশিত হয়।
এই কাব্যটি টডের Annals and Antiquities of Rajasthan গ্রন্থের কাহিনির ওপর ভিত্তি করে রচিত একটি ঐতিহাসিক রোমান্টিক কবিতা। ইংরেজি কাব্যরীতির প্রভাবে গড়ে ওঠা এই কাব্যে রঙ্গলাল স্বাধীনতার প্রতি তাঁর গভীর আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন:
“স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়?
দাসত্বশৃঙ্খল বল কে পরিবে পায় হে, কে পরিবে পায়?”
এই পঙ্ক্তিগুলি পরবর্তীতে বিপ্লবীদের মধ্যে চেতনার সঞ্চার করে।
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্য হলো:
-
কর্মদেবী
-
শূরসুন্দরী
-
কাঞ্চী কাবেরী
এছাড়াও, তিনি কালিদাসের ঋতুসংহার ও কুমারসম্ভব-এর বাংলা পদ্যানুবাদ করেন (১৮৭২)। তাঁর নীতিকুসুমাঞ্জলি (১৮৭২) সংস্কৃত নীতিগর্ভ ও তত্ত্বমূলক কবিতার আরেকটি অনুবাদসাহিত্য।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 5 months ago