A
ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল
B
কাজের পরিচয় ফলে বোঝা যায়
C
ফুলের গন্ধে ঘুম আসেনা একলা জেগে রই
D
আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস
উত্তরের বিবরণ
• অধিকরণ কারক:
- ক্রিয়ার আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক। আধার বলতে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার স্থান, কাল ও ভাবকে বােঝায়।
- অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।
- বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথায়, কখন ও কোনাে বিষয় বােঝাতে অধিকরণ কারক হয়।
• অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি অর্থাৎ এ, য়, তে ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।
যেমন:
- আধার (স্থান) : আমরা প্রতিদিন কলেজে যাই।
- কাল (সময়): সকালে সূর্য উঠবে।
প্রশ্নে প্রদত্ত,
''আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস'' এই বাক্যে ''আকাশে'' শব্দ দ্বারা স্থানকে বুঝিয়েছে এবং এতে সপ্তমী বিভক্তি (এ) আছে। তাই ‘আকাশে’ শব্দটি অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তির উদাহরণ।
আবার,
- বাক্যের ক্রিয়াকে কোথায় দ্বারা প্রশ্ন করলেও ‘আকাশে’ উত্তর পাওয়া যায়। সুতরাং ‘আকাশ’ শব্দটি এ বিভক্তিযোগে অধিকরণে সপ্তমী কারক।
অন্যদিকে,
• 'ফুলের গন্ধে ঘুম আসেনা'- এখানে 'ফুলের' সম্বন্ধ কারকের উদাহরণ।
• কাজের পরিচয় ফলে বোঝা যায়।- কাজের পরিচয় কী দ্বারা বোঝা যায় ফল দ্বারা। সুতরাং ‘ফলে’ করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

0
Updated: 1 week ago
'শ্রদ্ধাবান লভে জ্ঞান অন্যে কভু নয়।' - এখানে 'শ্রদ্ধাবান' কোন কারক?
Created: 2 months ago
A
করণ
B
কর্তা
C
অপাদান
D
কর্ম
কর্তা কারক
যে ব্যক্তি বা বস্তু ক্রিয়াটি সম্পাদন করে, তাকে কর্তা কারক বলে। অর্থাৎ, বাক্যে যে কর্তা ক্রিয়ার কার্য সম্পাদন করে, সেই কর্তার দ্বারাই কর্তা কারক নির্ধারিত হয়। কর্তা কারকে সাধারণত কোনও বিভক্তি যোগ হয় না।
উদাহরণ
-
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে, খাজনা দেব কিসে?
-
সপ্তপুরুষ যেথায় মানুষ।
-
শ্রদ্ধাবান লভে জ্ঞান, অন্যে কভু নয়।
উৎস
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি – নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ ও ২০২১ সংস্করণ)
বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি – সপ্তম শ্রেণি

0
Updated: 2 months ago
'সর্বাঙ্গে ব্যথা, ঔষধ দিব কোথা'-এই বাক্যে 'ঔষধ' শব্দ কোন কারকে কোন বিভক্তির উদাহরণ?
Created: 1 week ago
A
কর্ম কারকে শূন্য
B
সম্প্রদানে সপ্তমী
C
অধিকরণে শূন্য
D
কর্তৃকারকে শূন্য
কর্মকারক
কর্তা যে বস্তু বা প্রাণিকে আশ্রয় করে কাজ সম্পাদন করে, তাকে কর্মকারক বলা হয়। কর্ম দুই ধরনের হয়: মুখ্য কর্ম এবং গৌণ কর্ম।
উদাহরণস্বরূপ:
-
বাবা আমাকে (গৌণ কর্ম) একটি কলম (মুখ্য কর্ম) কিনে দিয়েছেন।
-
সাধারণত মুখ্য কর্ম হয় বস্তুবাচক, আর গৌণ কর্ম হয় প্রাণিবাচক।
-
এছাড়াও, কর্মকারকের গৌণ কর্মে সাধারণত বিভক্তি যুক্ত হয়, কিন্তু মুখ্য কর্মে বিভক্তি যুক্ত হয় না।
প্রথমা (অবিভক্তি বা শূন্য বিভক্তি)
-
ডাক্তার ডাক।
-
আমাকে একখানা বই দাও। (যেখানে দ্বিকর্মক ক্রিয়ার মুখ্য কর্ম ব্যবহৃত হয়েছে)
-
রবীন্দ্রনাথ পড়লাম, নজরুল পড়লাম — এখানে গ্রন্থবিশেষ অর্থে গ্রন্থকারের ব্যবহার করা হয়েছে।
-
সর্বাঙ্গে ব্যথা ঔষধ দিব কোথা।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 1 week ago
বাক্যের অন্তর্গত শব্দের পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
Created: 4 days ago
A
সন্ধি
B
পদ
C
কাল
D
কারক
উত্তর: ঘ) কারক
সহজ ব্যাখ্যা:
বাংলা ব্যাকরণে বাক্যের শব্দগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বোঝাতে যে নিয়ম ব্যবহৃত হয়, সেটি কারক নামে পরিচিত।
কারকের মাধ্যমে বোঝা যায়, কে কাজটি করছে, কার উপর কাজটি হচ্ছে, কোথায় কাজটি ঘটছে ইত্যাদি।
উদাহরণ:
রানা বই পড়ে।
→ রানা = কর্তৃকারক (যে পড়ছে)
→ বই = কর্মকারক (যাকে পড়া হচ্ছে)
এই শব্দদুটো ক্রিয়ার (পড়ে) সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছে কারকের মাধ্যমে।
বাংলা ভাষায় মোট ৬টি কারক রয়েছে:
-
কর্তৃকারক (যে কাজ করে)
-
কর্মকারক (যার উপর কাজ হয়)
-
করণকারক (যার মাধ্যমে কাজ হয়)
-
সম্প্রদান কারক (যার জন্য কিছু দেওয়া হয়)
-
অপাদান কারক (যেখান থেকে কিছু দূরে যায়)
-
অধিকরণ কারক (যেখানে কাজ ঘটে)
তাই বাক্যে শব্দের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝাতে ‘কারক’ সবচেয়ে উপযুক্ত উত্তর।
অন্য অপশনগুলোর ব্যাখ্যা:
ক) সন্ধি:
দুইটি শব্দ জোড়া লাগলে যে ধ্বনিগত পরিবর্তন হয়, তাকে সন্ধি বলে। যেমন: বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়।
→ এটি শব্দগঠন নিয়ে কাজ করে, বাক্যের শব্দের সম্পর্ক নয়।
খ) পদ:
যখন কোনও শব্দে বিভক্তি যুক্ত হয়, তখন তাকে পদ বলে। যেমন: 'মানুষটি', 'বইয়ে'।
→ এটি শব্দের শ্রেণি নির্ধারণ করে, কিন্তু পারস্পরিক সম্পর্ক নয়।
গ) কাল:
কাল হলো কাজটি কখন হয়েছে—বর্তমানে, অতীতে না ভবিষ্যতে।
→ এটি ক্রিয়ার সময় বোঝায়, শব্দের সম্পর্ক নয়।
শব্দগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করার জন্য সঠিক উত্তর হলো ঘ) কারক।

0
Updated: 4 days ago