'কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ' - গ্রন্থটি রচনা করেন কে?
A
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
B
উইলিয়াম কেরি
C
মনোএল দ্য আসসুম্পসাঁউ
D
নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড
উত্তরের বিবরণ
কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ হলো মনোএল দ্য আসসুম্পসাঁউ রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বাংলা গ্রন্থ। এটি মূলত গুরু–শিষ্য কথোপকথনের মাধ্যমে খ্রিষ্টধর্মের মহিমা কীর্তন করার উদ্দেশ্যে রচিত। গ্রন্থটি ১৭৪৩ খ্রিষ্টাব্দে লিসবন শহর থেকে রোমান লিপিতে মুদ্রিত হয়।
মনোএল দা আসসুম্পসাঁউ:
-
একজন পর্তুগিজ খ্রিস্টান ধর্মযাজক।
-
তিনি বাংলা ভাষায় প্রথমবারের মতো ব্যাকরণ রচনা করেন।
-
১৭৪৩ সালে তিনি দুটি বাংলা গ্রন্থ রচনা ও মুদ্রণ করেন।
মনোএল দা আসসুম্পসাঁউ-এর রচিত গ্রন্থ:
-
কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ
-
ভোকাবুলিরও এম ইদিওমা বেনগল্লা ই পোরতুগিজ
উৎস:

0
Updated: 23 hours ago
'Consumer goods'-এর উপযুক্ত বাংলা পরিভাষা কী?
Created: 1 month ago
A
ভোক্তার কল্যাণ
B
ভোগ্যপণ্য
C
ক্রয়কৃত পণ্য
D
ক্রেতার গুণাগুণ
'Consumer goods' শব্দের বাংলা পারিভাষিক শব্দ - ভোগ্যপণ্য।
‘ভোগ্যপণ্য’ অর্থ: যা সরাসরি মানুষের প্রয়োজন মেটায় যেমন খাদ্য, পোশাক ইত্যাদি
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পারিভাষিক শব্দ:
• ‘Manual’ শব্দের বাংলা পরিভাষা - সারগ্রন্থ।
• ‘Manuscript’ শব্দের বাংলা পরিভাষা - পাণ্ডুলিপি।
• ‘Memorandum’ শব্দের বাংলা পরিভাষা - স্মারকলিপি।
• ‘Appendix' শব্দের বাংলা পরিভাষা - পরিশিষ্ট।
• ‘Gazette’ শব্দের বাংলা পরিভাষা - ঘোষণাপত্র।
• ‘Idealism’ শব্দের বাংলা পারিভাষিক শব্দ - ভাববাদ।
• ‘Idiom’ শব্দের বাংলা পারিভাষিক শব্দ - বাগধারা।
• ‘Utterance’ শব্দের বাংলা পারিভাষিক শব্দ - উক্তি/বচন।
উৎস: প্রশাসনিক পরিভাষা, বাংলা একাডেমি এবং অভিগম্য অভিধান।

0
Updated: 1 month ago
অপত্নীবাচক শব্দ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
ননদ
B
তেজস্বিনী
C
জেলেনি
D
দাদি
সাধারণ নারীবাচক শব্দ দুই ধরনের:
- পত্নীবাচক,
- অপত্নীবাচক।
পত্নীবাচক:
স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক বোঝালে পত্নীবাচক হয়।
যেমন: পিতা - মাতা, চাচা - চাচি, দাদা - দাদি, জেলে - জেলেনি, গুরু - গুরুপত্নী, নন্দাই - ননদ ইত্যাদি।
অপত্নীবাচক:
স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক না বোঝালে অপত্নীবাচক হয়।
যেমন:
খোকা - খুকি, ছাত্র - ছাত্রী, শিক্ষক - শিক্ষিকা, নেতা - নেত্রী, পাগল - পাগলি, তেজস্ব - তেজস্বিনী, বালক - বালিকা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২-সংস্করণ)।

0
Updated: 2 weeks ago
জেলে জীবন কেন্দ্রিক উপন্যাস কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
গঙ্গা
B
পুতুলনাচের ইতিকথা
C
হাঁসুলী বাঁকের উপকথা
D
গৃহদাহ
গঙ্গা উপন্যাস
-
সমরেশ বসুর বিখ্যাত রচনা ‘গঙ্গা’ প্রকাশিত হয় ১৯৫৭ সালে।
-
উপন্যাসটির মূল পটভূমি হলো জেলে সম্প্রদায়ের জীবন—বিশেষত অবিভক্ত ২৪ পরগনার মাছধরা মানুষদের জীবনসংগ্রাম।
-
এখানে মূল কেন্দ্রবিন্দু চরিত্র নয়, বরং জেলেদের জীবন। তাদের দৈনন্দিন কষ্ট, লড়াই ও অভ্যাস—সবই লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন।
-
চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে: সাইদার নিবারণ, নিবারণের ভাই পাঁচু, ছেলে বিলাস, বশীর, সয়ারাম, পাচী (ছায়া), রসিক, দুলাল, দামিনী, হিমি, আতর, মহাজন ব্রজেন ঠাকুর প্রমুখ।
-
প্রথমে মনে হয় বিলাস ও হিমিই নায়ক-নায়িকা, কিন্তু আসলে সব চরিত্রকে ঘিরে আছেন নিবারণ—তাই নিবারণকেই কেন্দ্রীয় চরিত্র ধরা হয়।
পুতুলনাচের ইতিকথা
-
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত এই উপন্যাস প্রকাশিত হয় ১৯৩৬ সালে।
-
লেখকের মতে, সাহিত্যেও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। এ উপন্যাসে সেই দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োগ দেখা যায়।
-
ব্রিটিশ আমলে বাঙালি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানসিক দ্বন্দ্ব ও অস্তিত্ব সংকট শশী চরিত্রের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
-
এখানে ‘পুতুল’ বলতে বোঝানো হয়েছে—যারা নিজের দৃঢ় অবস্থান রাখতে পারে না, বরং অন্যের সামান্য প্রভাবেই দোদুল্যমান হয়ে যায়।
-
প্রধান চরিত্র: শশী, কুসুম, হারু ঘোষ প্রমুখ।
হাঁসুলী বাঁকের উপকথা
-
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত এই উপন্যাসটি মূলত আঞ্চলিক কাহিনি।
-
কাহিনি আবর্তিত হয়েছে বাঁশবাড়ি গ্রামের কাহার জাতিকে ঘিরে।
-
পুরোনো বিশ্বাস, কুসংস্কার আর সময়ের পরিবর্তনে তাদের জীবনে যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়, তাই এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
গৃহদাহ
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘গৃহদাহ’, যা প্রকাশিত হয় ১৯২০ সালে, মাসিক ভারতবর্ষ পত্রিকায়।
-
এর মূল বিষয় হলো ত্রিভুজ প্রেম।
-
নায়িকা অচলা—যার প্রতি মহিম ও সুরেশ দুই পুরুষের আকর্ষণ-বিকর্ষণ এই কাহিনির মূল কেন্দ্র।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 2 weeks ago