যেসব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত ও ব্যবহারিক অর্থ অভিন্ন, তাদের কী বলা হয়?
A
যৌগরূঢ় শব্দ
B
রূঢ়ি শব্দ
C
যৌগিক শব্দ
D
মৌলিক শব্দ
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় শব্দগুলোকে বিভিন্ন ধাপে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তার মধ্যে যৌগিক শব্দ, রূঢ়ি শব্দ এবং যৌগরূঢ় শব্দ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
-
যৌগিক শব্দ:
-
সংজ্ঞা: যেসব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত ও ব্যবহারিক অর্থ অভিন্ন।
-
উদাহরণ: গায়ক, দৌহিত্র, চিকামারা, বাবুয়ানা, মধুর, কর্তব্য ইত্যাদি।
-
-
রূঢ়ি শব্দ:
-
সংজ্ঞা: যেসব শব্দ প্রত্যয় ও উপসর্গযোগে মূল শব্দের অনুগামি না হয়ে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: বাঁশি, তৈল, সন্দেশ, প্রবীণ, হরিণ, পাঞ্জাবী, হস্তী ইত্যাদি।
-
-
যৌগরূঢ় শব্দ:
-
সংজ্ঞা: সমাসনিষ্পন্ন যেসব শব্দ সমস্যমান পদসমূহের অনুগামি না হয়ে কোন বিশেষ অর্থ গ্রহণ করে।
-
উদাহরণ: পঙ্কজ, রাজপুত, জলধি, মহাযাত্রা ইত্যাদি।
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'কালান্তর' - বলতে কী বোঝায়?
Created: 1 month ago
A
অন্য জন্ম
B
অন্য যুগ
C
অন্য লোক
D
অন্য কাল
‘অন্য কাল’ এর এক কথায় প্রকাশ হলো কালান্তর। এই শব্দ দ্বারা কোনো নির্দিষ্ট কালের পরিবর্তন বা পরবর্তী সময় বোঝানো হয়।
অন্যদিকে—
-
অন্য লোক — লোকান্তর
-
অন্য যুগ — যুগান্তর
-
অন্য জন্ম — জন্মান্তর
0
Updated: 1 month ago
'সতীর্থ' কোন সমাস?
Created: 1 month ago
A
তৎপুরুষ সমাস
B
কর্মধারয় সমাস
C
অব্যয়ীভাব সমাস
D
বহুব্রীহি সমাস
বহুব্রীহি সমাস হলো সেই সমাস যেখানে পূর্ব বা পর কোন পদের সরাসরি অর্থ বোঝানো হয় না, বরং একটি তৃতীয় অর্থ প্রকাশ পায়।
-
উদাহরণ:
-
দশ আনন যার = দশানন
-
চার পা বিশিষ্ট প্রাণী = চতুষ্পদ
-
পদ্ম নাভিতে যার = পদ্মনাভ
-
সমান তীর্থ যাদের = সতীর্থ
-
সমান উদর যার = সহোদর
-
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটিতে বিরামচিহ্ন যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়নি?
Created: 3 months ago
A
ডিসেম্বর ১৬, ১৯৭১
B
২৬ মার্চ, ১৯৭১
C
ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২
D
পয়লা বৈশাখ, চৌদ্দশো সাত
- যতিচিহ্নের অশুদ্ধ প্রয়োগ ঘটেছে ‘ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২’ বাক্যে।
• বাক্যটির শুদ্ধরূপ হবে- ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২।
------------------------
• যতিচিহ্ন:
মুখের কথা লিখিত রূপ দেওয়ার সময় কম-বেশি থামা বোঝাতে যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়। বক্তব্যকে স্পষ্ট করতেও যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়।যতিচিহ্নকে বিরামচিহ্ন বা বিরতি চিহ্নও বলা হয়।
• কমা:
- কমা সামান্য বিরতি নির্দেশ করে। কমা পূর্ণযতি নয়, তাই কমা দিয়ে কোনো বাক্য শেষ হয় না। কমা চিহ্নের বাংলা নাম পাদচ্ছেদ।
- শব্দ, বর্গ ও অধীন বাক্যকে আলাদা করতে কমার ব্যবহার হয়।
• সম্বোধন পদের পরে সাধারণত কমা বসে।
যেমন:
- স্যার, আমাকে ব্যাপারটি বুঝিয়ে দেবেন?
- রব, এদিকে এসো।
• বাক্যে একাধিক বিশেষ্য কিংবা বিশেষণ পদের বিবৃতি প্রকাশের ক্ষেত্রে কমা বসাতে হয়।
যেমন:
- জনি বুদ্ধিমান, সাহসী ও জ্ঞানী।
- মীম, সানি, হারুন ও রব কক্সবাজার গিয়েছে।
• তারিখ লিখতে বার ও মাসের পরে ‘কমা’ বসে।
যেমন:
- ১৯শে আশ্বিন, বৃহস্পতিবার, ১৪২৫ সালে মীম বান্দরবান জেলায় জন্মগ্রহণ করে।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ এবং বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)।
0
Updated: 3 months ago