A
আরবি
B
ফারসি
C
হিন্দি
D
তুর্কি
উত্তরের বিবরণ
‘কাঁচি’ শব্দটি তুর্কি ভাষা থেকে আগত।
এটি একটি ধারালো হাতিয়ার, যা মূলত কাগজ, কাপড় বা অনুরূপ বস্তু কেটে ফেলার কাজে ব্যবহৃত হয়। এটি দুইটি হাতলযুক্ত ইস্পাতের ধারালো ফলা দিয়ে তৈরি, যা একসঙ্গে যুক্ত থাকে।
বাংলা ভাষায় তুর্কি ভাষার প্রভাব লক্ষণীয়।
‘কাঁচি’ ছাড়াও বাংলা ভাষায় আরও কিছু সাধারণ ব্যবহারযোগ্য শব্দ তুর্কি ভাষা থেকে এসেছে। যেমন—তোপ, চাকু, বাবা, বাবুর্চি, মুচলেকা প্রভৃতি শব্দ তুর্কি ভাষা থেকেই গৃহীত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আধুনিক বাংলা অভিধান, বাংলা একাডেমি।

0
Updated: 1 week ago
উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যয়ের পার্থক্য-
Created: 2 weeks ago
A
অব্যয় ও শব্দাংশ
B
নতুন শব্দ গঠনে
C
উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পিছনে
D
ভিন্ন অর্থ প্রকাশে
উপসর্গ ও প্রত্যয়ের মধ্যে মূল পার্থক্য
উপসর্গ হলো সেই অর্থহীন শব্দাংশ যা মূল শব্দের আগে বসে নতুন অর্থসহ শব্দ তৈরি করে, আর প্রত্যয় হলো অর্থহীন শব্দাংশ যা মূল শব্দের পরে যোগ হয়ে নতুন শব্দের সৃষ্টি করে।
উপসর্গ
-
উপসর্গ হলো এমন ছোট ছোট অর্থহীন অংশ যা শব্দের শুরুতে বসে এবং নতুন অর্থবহ শব্দ তৈরি করে।
-
উদাহরণস্বরূপ, ‘অজানা’ শব্দে ‘অ’, ‘অভিযোগ’ শব্দে ‘অভি’, ‘বেতার’ শব্দে ‘বে’ অংশগুলো উপসর্গ।
-
উপসর্গ নিজে কোনো নির্দিষ্ট অর্থ বহন করে না, কিন্তু এটি নতুন শব্দে অর্থের দ্যোতনা বা বৈচিত্র্য আনে। তাই বলা হয়, “উপসর্গের নিজস্ব অর্থ নেই, তবে অর্থ প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
-
বাংলায় প্রায় পঞ্চাশের বেশি উপসর্গ ব্যবহৃত হয়।
-
ভাষার গতিপথ অনুযায়ী, উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ,
৩. বিদেশি উপসর্গ।
প্রত্যয়
-
প্রত্যয় হলো শব্দ বা ধাতুর শেষে যুক্ত হওয়া অর্থহীন অংশ যা নতুন শব্দ গঠনে সহায়তা করে।
-
যেমন: ‘বাঘ’ + ‘আ’ = ‘বাঘা’, ‘দিন’ + ‘ইক’ = ‘দৈনিক’।
-
প্রত্যয় মূলত দুই প্রকার—
১. কৃৎ প্রত্যয়:
ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয় এমন শব্দাংশ যা ক্রিয়ারূপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
যেমন: ‘চল’ + ‘ন্ত’ = ‘চলন্ত’, ‘কৃ’ + ‘তব্য’ = ‘কর্তব্য’।
বাংলায় কৃৎ প্রত্যয়ের দুটি রূপ পাওয়া যায়—বাংলা কৃৎ প্রত্যয় ও সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়।
২. তদ্ধিত প্রত্যয়:
শব্দের শেষে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে।
যেমন: ‘চোর’ + ‘আ’ = ‘চোরা’, ‘কেষ্ট’ + ‘আ’ = ‘কেষ্টা’, ‘ডিঙি’ + ‘আ’ = ‘ডিঙা’, ‘হাত’ + ‘আ’ = ‘হাতা’।সূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 2 weeks ago
‘ডাক্তার সাহেবের হাতযশ ভালো- – বাক্যে ‘হাত’ ব্যবহৃত হয়েছে –
Created: 1 day ago
A
অধিকার অর্থে
B
যশ অর্থে
C
অভ্যাস অর্থে
D
নিপুণতা অর্থে
বাক্যটি হলো –
“ডাক্তার সাহেবের হাতযশ ভালো।”
এখানে “হাতযশ” মানে হলো হাতের কাজ ভালো হওয়া, অর্থাৎ তিনি যে চিকিৎসা করেন, তা ভালো ফল দেয় বা সফল হয়।
-
এখানে ‘হাত’ শব্দটি নিপুণতা বা দক্ষতার ইঙ্গিত দেয়।
-
তাই “হাতযশ ভালো” মানে তিনি চিকিৎসায় নিপুণ বা দক্ষ।
🔹 সারাংশ:
এই বাক্যে ‘হাত’ শব্দটি নিপুণতা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, কারণ এটি চিকিৎসকের সফল চিকিৎসাকৌশলের প্রতি ইঙ্গিত করে।

0
Updated: 1 day ago
প্রথম বাংলা 'থিসরাস' বা সমার্থক শব্দের অভিধান সংকলন করেছেন-
Created: 2 weeks ago
A
অশোক মুখোপাধ্যায়
B
জগন্নাত চক্রবর্তী
C
মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
D
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
বাংলা ভাষায় থিসারাস ধরনের অভিধানের পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিচিত ‘সমার্থক শব্দের অভিধান’, যা ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এটি বাংলা ভাষায় প্রথম থিসারাস-ভিত্তিক অভিধান হিসেবে বিবেচিত।
বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের কলকাতাতেও এই ধরনের অভিধান রচনার প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অশোক মুখোপাধ্যায় রচিত ‘সমার্থশব্দকোষ’। উভয় গ্রন্থের বিন্যাসে একটি মিল রয়েছে—এই দুই থিসারাস-ধর্মী অভিধানই পিটার মার্ক রজে রচিত ইংরেজি ‘Thesaurus of English Words and Phrases’ (প্রকাশ: ১৯৫৮) থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বিষয়ভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাস অনুসরণে সাজানো হয়েছে।
এই ধরণের অভিধানে কাঙ্ক্ষিত প্রতিশব্দ খুঁজে পেতে হলে পাঠককে বিষয়ভিত্তিক সূচির সাহায্য নিতে হয়। যদিও গ্রন্থের শেষে একটি বর্ণানুক্রমিক সূচিও সংযোজিত রয়েছে, সেটি মূলত পরিপূরক সহায়তা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
উৎস: মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের ‘সমার্থক শব্দের অভিধান’ গ্রন্থের ভূমিকা।

0
Updated: 2 weeks ago