'কথায় কথায়' - কোন দ্বিরুক্ত বাচক শব্দ?
A
পুনরাবৃত্ত
B
অনুকার
C
ধ্বন্যাত্মক
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ব্যাকরণে পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব হলো এমন শব্দগুচ্ছ যা পুনরায় আবৃত্ত হয়। এটি হতে পারে বিভক্তিহীন বা বিভক্তিযুক্ত। পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব সাধারণত অভিব্যক্তি বা বর্ণনার বল বৃদ্ধি করতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: জ্বর জ্বর, পর পর, কবি কবি, হাতে হাতে, কথায় কথায়, জোরে জোরে ইত্যাদি।
-
বিভক্তিহীন পুনরাবৃত্ত:
-
ভালো ভালো (কথা)
-
কত কত (লোক)
-
হঠাৎ হঠাৎ (ব্যথা)
-
ঘুম ঘুম (চোখ)
-
উড় উড়ু (মন)
-
গরম গরম (জিলাপি)
-
হায় হায় (করা)
-
-
বিভক্তিযুক্ত পুনরাবৃত্ত:
-
কথায় কথায় (বাড়া)
-
মজার মজার (কথা)
-
ঝাঁকে ঝাঁকে (চলা)
-
চোখে চোখে (রাখা)
-
মনে মনে (হাসা)
-
সুরে সুরে (বলা)
-
পথে পথে (হাঁটা)
-
উৎস:

0
Updated: 23 hours ago
'তাগিদ' শব্দটি কোন পদ?
Created: 4 weeks ago
A
বিশেষ্য
B
বিশেষণ
C
ক্রিয়া
D
অব্যয়
শব্দ ‘তাগিদ’ কোন পদ তা নির্ধারণ করার জন্য আমরা এর অর্থ ও ব্যবহার বিশ্লেষণ করি।
‘তাগিদ’ শব্দের অর্থ: কোনো কাজে উৎসাহ বা প্রেরণা দেওয়া, উদ্দীপনা বা উদ্দীপক বার্তা। উদাহরণ: “শিক্ষকের তাগিদে ছাত্ররা আরও মনোযোগী হয়ে পড়ে।”
এখানে লক্ষ্য করুন:
-
এটি কোনো ব্যক্তি, স্থান বা বস্তু নির্দেশ করে না → বিশেষ্য হতে পারে।
-
এটি কোনো গুণ বা অবস্থা বোঝায় না → বিশেষণ নয়।
-
এটি কোনো কর্ম বা কাজের ক্রিয়াকে নির্দেশ করে না → ক্রিয়া নয়।
-
এটি কোনো সাধারণ অব্যয় (যেমন: শুধু সংযোগ বা অব্যয় পদ) নয়।
সুতরাং, ‘তাগিদ’ হলো বিশেষ্য।
সংক্ষেপে ব্যাখ্যা:
‘তাগিদ’ শব্দটি এমন একটি পদ যা কোনো বস্তু বা ধারণা (উদ্দীপনা/প্রেরণা) বোঝায়। অতএব, এটি বিশেষ্য।

0
Updated: 4 weeks ago
'আ' উচ্চারণের সময়ে ঠোঁটের উন্মুক্তি কেমন?
Created: 1 day ago
A
অর্ধ-সংবৃত
B
বিবৃত
C
অর্ধ-বিবৃত
D
সংবৃত
বাংলা ভাষায় স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ঠোঁট কতটুকু খোলা বা বন্ধ থাকে, তার ভিত্তিতে স্বরধ্বনি চার ভাগে বিভক্ত করা হয়।
-
সংবৃত স্বরধ্বনি: উচ্চারণের সময় ঠোঁট কম খোলে।
উদাহরণ: [ই], [উ] -
অর্ধ-সংবৃত স্বরধ্বনি:
উদাহরণ: [এ], [ও] -
অর্ধ-বিবৃত স্বরধ্বনি:
উদাহরণ: [অ্যা], [অ] -
বিবৃত স্বরধ্বনি: উচ্চারণের সময় ঠোঁট বেশি খোলে।
উদাহরণ: [আ]
উৎস:

0
Updated: 1 day ago
নিঃশ্বাসের স্বল্পতম প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছকে কী বলে?
Created: 2 weeks ago
A
যৌগিক ধ্বনি
B
অক্ষর
C
বর্ণ
D
মৌলিক স্বরধ্বনি
অক্ষর (Syllable)
-
মানুষের কণ্ঠযন্ত্রের সামান্য প্রয়াসে উচ্চারিত ক্ষুদ্রতম ধ্বনি বা শব্দাংশকে অক্ষর বা সিলেবল বলা হয়।
-
অক্ষর প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে—
(ক) মুক্তাক্ষর
(খ) বদ্ধাক্ষর
মুক্তাক্ষর
-
যখন একটি অক্ষর কেবলমাত্র একটি স্বরবর্ণ দ্বারা গঠিত হয়, তখন তাকে মুক্তাক্ষর বলে।
-
একে স্বরান্ত অক্ষর বা অযুগ্ম ধ্বনিও বলা হয়।
-
মুক্তাক্ষরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এর উচ্চারণ শেষে মুখ খোলা থাকে এবং অক্ষরকে চাইলে দীর্ঘায়িত করে উচ্চারণ করা যায়।
-
উদাহরণ: “ভালোবাসো যদি বলিবে না কেন?”
এখানে (ভা), (লো), (বা), (সো), (য), (দি), (ব), (লি), (বে), (না), (কে), (ন)—মোট ১২টি অক্ষরই মুক্তাক্ষর। -
মুক্তাক্ষর সাধারণত U চিহ্ন দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
বদ্ধাক্ষর
-
যে সব অক্ষরের সমাপ্তি ঘটে ব্যঞ্জনধ্বনি বা অর্ধস্বরধ্বনি দিয়ে, সেগুলোকে বদ্ধাক্ষর বলা হয়।
-
একে যুগ্মাস্বরান্ত বা ব্যঞ্জনান্ত ধ্বনিও বলা হয়।
-
উদাহরণ: “সোম বার দিনরাত হরতাল।”
এখানে (সোম্), (বার্), (দিন্), (রাত), (হর্), (তাল্)—এই ৬টি অক্ষর বদ্ধাক্ষর। -
বদ্ধাক্ষরকে সাধারণত ( – ) চিহ্ন দিয়ে বোঝানো হয়।
উৎস: বাংলা কবিতার ছন্দ বিশ্লেষণ এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা — ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 2 weeks ago