'কথায় কথায়' - কোন দ্বিরুক্ত বাচক শব্দ?
A
পুনরাবৃত্ত
B
অনুকার
C
ধ্বন্যাত্মক
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ব্যাকরণে পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব হলো এমন শব্দগুচ্ছ যা পুনরায় আবৃত্ত হয়। এটি হতে পারে বিভক্তিহীন বা বিভক্তিযুক্ত। পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব সাধারণত অভিব্যক্তি বা বর্ণনার বল বৃদ্ধি করতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: জ্বর জ্বর, পর পর, কবি কবি, হাতে হাতে, কথায় কথায়, জোরে জোরে ইত্যাদি।
-
বিভক্তিহীন পুনরাবৃত্ত:
-
ভালো ভালো (কথা)
-
কত কত (লোক)
-
হঠাৎ হঠাৎ (ব্যথা)
-
ঘুম ঘুম (চোখ)
-
উড় উড়ু (মন)
-
গরম গরম (জিলাপি)
-
হায় হায় (করা)
-
-
বিভক্তিযুক্ত পুনরাবৃত্ত:
-
কথায় কথায় (বাড়া)
-
মজার মজার (কথা)
-
ঝাঁকে ঝাঁকে (চলা)
-
চোখে চোখে (রাখা)
-
মনে মনে (হাসা)
-
সুরে সুরে (বলা)
-
পথে পথে (হাঁটা)
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
‘নাটিকা’ শব্দটি কোন অর্থে স্ত্রীবাচক?
Created: 1 month ago
A
সমার্থে
B
বিপরীতার্থে
C
ক্ষুদ্রার্থে
D
বৃহদার্থে
বাংলা ভাষায় কিছু শব্দ স্ত্রীলিঙ্গ রূপ ধারণ করে মূলত ক্ষুদ্রার্থে ব্যবহার বোঝাতে। যেমন—
-
নাটক → নাটিকা
-
কাব্য → কাব্যিকা
-
ছাত্র → ছাত্রিকা
এখানে "নাটক" মানে পূর্ণাঙ্গ নাট্যরূপ, আর "নাটিকা" মানে ছোট নাটক বা সংক্ষিপ্ত নাট্যাংশ। তাই ‘নাটিকা’ শব্দটি স্ত্রীবাচক রূপ হলেও প্রকৃতপক্ষে এর ক্ষুদ্র অর্থ প্রকাশ করে।
সেই জন্য উত্তর হবে ক্ষুদ্রার্থে।
0
Updated: 1 month ago
স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয়-
Created: 3 months ago
A
কার
B
অণু
C
ফলা
D
রেফ
কারবর্ণঃ স্বরবর্ণের ১০টি ছোট রূপ আছে, যেগুলোকে বলা হয় সংক্ষিপ্ত স্বর বা কারবর্ণ। এই কারবর্ণগুলো হলো—
া, ি, ী, ু, ূ, ৃ, ে, ৈ, ো, ৌ
কারবর্ণের বৈশিষ্ট্য
-
কারবর্ণ একা ব্যবহার হয় না।
-
এগুলো ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ব্যবহৃত হয়— কখনো আগে, পরে, উপরে বা নিচে।
-
কোনো ব্যঞ্জনের সঙ্গে কারবর্ণ বা হসন্তচিহ্ন না থাকলে, ধরে নেওয়া হয় সেখানে [অ] স্বর যুক্ত আছে।
অনুবর্ণঃ অনুবর্ণ হলো ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপ।
উদাহরণ:
-
ফলা
-
রেফ
-
বর্ণসংক্ষেপ
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
0
Updated: 3 months ago
একই সঙ্গে উচ্চারিত দুটি মিলিত স্বরধ্বনিকে কি বলে?
Created: 4 days ago
A
অনামৃত স্বর
B
একাক্ষর স্বর
C
যৌগিক স্বর
D
মৌলিক স্বর
একই সঙ্গে উচ্চারিত দুটি মিলিত স্বরধ্বনি যখন একটি স্বরধ্বনির মতো উচ্চারিত হয়, তখন সেটিকে যৌগিক স্বর বলা হয়। এ ধরনের ধ্বনিতে দুটি স্বর একত্রে মিললেও তাদের উচ্চারণে কোনো বিরতি থাকে না।
- যৌগিক স্বর বাংলা ভাষার ধ্বনিবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এটি দুইটি স্বরের মিলনে গঠিত হলেও উচ্চারণে একক সুরে প্রকাশিত হয়।
উদাহরণস্বরূপ, “কৌশল” শব্দে (অ+উ) মিলিত হয়ে একটি যৌগিক স্বর তৈরি করেছে। - এ ধরনের শব্দে উচ্চারণের ধারা একটানা থেকে যায় এবং পৃথক স্বরের অস্তিত্ব শোনা যায় না।
অতএব, একই সঙ্গে উচ্চারিত দুটি মিলিত স্বরধ্বনিই যৌগিক স্বর।
0
Updated: 4 days ago