শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের আবিষ্কারক কে?
A
বড়ু চণ্ডীদাস
B
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
C
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
D
বসন্তরঞ্জন রায়বিদ্বদ্বল্লভ
উত্তরের বিবরণ
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন একটি বৈষ্ণব কাব্য যা রচনা করেছেন বড়ু চণ্ডীদাস। যদিও রচনাকাল সঠিকভাবে নির্ণীত হয়নি, এটি সাধারণত প্রাকচৈতন্য যুগের (খ্রিস্টীয় ১৪শ শতক) মনে করা হয়। ১৩১৬ বঙ্গাব্দে (খ্রি. ১৯০৯) বসন্তরঞ্জন রায় পুথিটি আবিষ্কার করেন, যা বাঁকুড়া জেলার বনবিষ্ণুপুরের কাঁকিল্যা গ্রামের দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এর নিকট থেকে পাওয়া যায়। এটি মধ্যযুগের বাংলা ভাষায় রচিত কোনো লেখকের প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ।
-
কাব্যের কাঠামো:
-
মোট ১৩ খন্ডে বিভক্ত
-
মোট ৪১৮টি পদে বিন্যস্ত
-
-
প্রধান চরিত্র:
-
রাধা
-
কৃষ্ণ
-
বড়ায়ি
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোনটি উর্দু উপসর্গ?
Created: 1 month ago
A
বর
B
দর
C
গর
D
হর
বাংলা ভাষায় শুধু দেশীয় নয়, বিদেশি ভাষারও বহু শব্দ এবং উপসর্গ প্রচলিত হয়েছে। আরবি, ফারসি, উর্দু ও ইংরেজি ভাষার এসব উপসর্গ দীর্ঘকাল ধরে বাংলায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এগুলোকে নির্দিষ্টভাবে শ্রেণিবদ্ধ করা যায় না, তাই এদের বলা হয় বিদেশি উপসর্গ।
-
আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের
-
ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম
-
উর্দু উপসর্গ: হর
-
ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'ত্রিনয়ন' শব্দে 'ন' ব্যবহৃত হওয়ার কারণ কী?
Created: 2 months ago
A
এটি তদ্ভব শব্দ
B
এটি দেশি শব্দ
C
এটি সমাসবদ্ধ শব্দ
D
এটি বিদেশি শব্দ
• "ণ-ত্ব বিধান":
বাংলা ভাষায় বহু তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে মূর্ধন্য-ণ এবং দন্ত্য-ন এর ব্যবহার রয়েছে। এগুলো বাংলা বানানেও অবিকৃতভাবে রক্ষিত হয়।
এখানে:
-
তৎসম শব্দের বানানে ণ-এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ণ-ত্ব বিধান।
-
ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে তৎসম শব্দে সব সময় 'ণ' ব্যবহৃত হয়।
-
ঋ, র, ষ এর পরে 'ণ' বসে।
যেসকল ক্ষেত্রে ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য নয়:
১. সমাসবদ্ধ শব্দে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান খাটে না। এরূপ ক্ষেত্রে ‘ন’ হয়। যেমন- ত্রিনয়ন, সর্বনাম ইত্যাদি।
২. ত-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয় ন কখনো (ণ হয় না)। যেমন- অন্ত, গ্রন্থ ইত্যাদি।
৩. বাংলা (দেশি), তদ্ভব ও বিদেশি শব্দের বানানে 'ণ' লেখার প্রয়োজন হয় না।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (সংস্করণ ২০১৯)
0
Updated: 2 months ago
'নয়-ছয়' বাগ্ধারার অর্থ-
Created: 1 month ago
A
অবজ্ঞা করা
B
অপচয়
C
তুচ্ছ জ্ঞান করা
D
ন্যাকামি করা
বাংলা বাগ্ধারা ও প্রবাদে মানুষের অভ্যাস, আচরণ ও সামাজিক বাস্তবতা সুন্দরভাবে প্রকাশ পায়। নিচে কয়েকটি বাগ্ধারার অর্থ ও একটি উদাহরণ দেওয়া হলো—
-
নয়-ছয় অর্থ অপচয় বা বিশৃঙ্খল অবস্থা।
বাক্য: সবগুলো টাকা নয়-ছয় করে উড়িয়ে দিও না, কিছু টাকা অন্তত সঞ্চয় কর। -
নাক সিঁটকানো অর্থ অবজ্ঞা করা।
-
নকড়া ছকড়া করা অর্থ তুচ্ছ জ্ঞান করা।
-
আদিখ্যেতা অর্থ ন্যাকামি বা অতিরিক্ত ভণিতা।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago