'চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনি।' - বাক্যে 'চোরে' কোন কারক?
A
কর্ম
B
করণ
C
কর্তৃ
D
অধিকরণ
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ব্যাকরণে যে বিশেষ্য বা সর্বনাম ক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে কর্তা বা কর্তৃকারক বলা হয়। কর্তৃকারক নির্ধারণে সাধারণত ক্রিয়ার সঙ্গে ‘কে’ বা ‘কারা’ প্রশ্ন করা হয়; যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটি কর্তৃকারক।
-
কর্তৃকারকের বিভিন্ন বিভক্তি ও উদাহরণ:
-
প্রথমা (শূন্য বা অ) বিভক্তি: হামিদ বই পড়ে।
-
দ্বিতীয়া (কে) বিভক্তি: বশিরকে যেতে হবে।
-
তৃতীয়া (দ্বারা) বিভক্তি: ফেরদৌসী কর্তৃক শাহনামা রচিত হয়েছে।
-
ষষ্ঠী (র) বিভক্তি: আমার যাওয়া হয়নি।
-
সপ্তমী বিভক্তি: চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনি।
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'নিশীত রাতে বাজছে বাঁশি।' - বাক্যে 'নিশীত' শব্দটি কোন পদ?
Created: 1 month ago
A
বিশেষ্য
B
বিশেষণ
C
অব্যয়
D
সর্বনাম
• 'নিশীত রাতে বাজছে বাঁশি' বাক্যে 'নিশীত' শব্দটি 'বিশেষণ' পদ।
বিশেষণ:
- যে শব্দ দিয়ে সাধারণত বিশেষ্য ও সর্বনামের গুণ, দোষ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা ইত্যাদি বোঝায়, তাকে বিশেষণ বলে।
যেমন
- সুন্দর ফুল, বাজে কথা, পঞ্চাশ টাকা, হাজার সমস্যা, তাজা মাছ।
তেমনি,
- নিশীত রাত।
0
Updated: 1 month ago
'বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান'- কোন ছন্দে রচিত?
Created: 2 weeks ago
A
অক্ষরবৃত্ত
B
মাত্রাবৃত্ত
C
স্বরবৃত্ত
D
অমিত্রাক্ষর
"বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান"- এই পদটি স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত। স্বরবৃত্ত ছন্দের বৈশিষ্ট্য হলো, এর প্রতিটি পদে স্বরবর্ণের পরিমাণ (মাত্রা) সুষম থাকে, এবং প্রতিটি পদে অন্ত্যধ্বনি বা শেষ শব্দের শেষ অংশে সাধারণত স্বরবর্ণের ব্যবহার হয়। এই ছন্দের ক্ষেত্রে, প্রত্যেকটি অক্ষরের মধ্যে সহজ, মসৃণ ও ধারাবাহিক গতি থাকে।
এখানে "বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান" পদটি এর জন্যই উপযুক্ত উদাহরণ, কারণ এতে প্রতিটি শব্দের মধ্যে যে স্বরবর্ণের ব্যবহার হয়, তা ধারাবাহিক ও মসৃণ। এর ফলে, শব্দের মধ্যে সুর এবং ছন্দের একটি সুন্দর প্রবাহ তৈরি হয়, যা স্বরবৃত্ত ছন্দের মূল বৈশিষ্ট্য।
এছাড়া, বাকি ছন্দগুলো (অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত, অমিত্রাক্ষর) যেমন:
-
অক্ষরবৃত্ত: যেখানে প্রতিটি পদে নির্দিষ্ট সংখ্যা থাকে নির্ধারিত অক্ষরের।
-
মাত্রাবৃত্ত: যেখানে মাত্রার সংখ্যা অভিন্ন থাকে।
-
অমিত্রাক্ষর: যেখানে চরণে নিয়মিত চরণান্তর থাকে, কিন্তু অন্ত্যমিল নিয়মিত হয় না।
এই সব বৈশিষ্ট্যগুলি স্বরবৃত্ত ছন্দের সঙ্গে মেলে না, এবং তাই "বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান" এই পদটি স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত।
0
Updated: 2 weeks ago
'কুট-কূট' শব্দদ্বয় কী অর্থ প্রকাশ করে?
Created: 1 month ago
A
পর্বত-কপট
B
জটিল-বৃক্ষ
C
বক্র-ত্রুটি
D
কুটিল-খণ্ড
বাংলা ভাষায় অনেক শব্দ আছে যেগুলো উচ্চারণে কাছাকাছি হলেও অর্থে ভিন্ন। এগুলোকে সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণ বদলে যেতে পারে। নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো—
-
কুট অর্থ পর্বত বা দুর্গ।
-
কূট অর্থ কপট বা কুটিল।
-
কাঁচা অর্থ অপরিপক্ব।
-
কাচা অর্থ পরিষ্কার করা বা ধোওয়া।
-
কাঁটা অর্থ কণ্টক।
-
কাটা অর্থ কর্তন করা।
-
কটি অর্থ কোমর।
-
কোটি অর্থ শত লক্ষ।
-
কৃত অর্থ যা করা হয়েছে।
-
ক্রীত অর্থ যা ক্রয় করা হয়েছে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago