'যারা-তারা' - কোন ধরনের সর্বনাম?
A
সাপেক্ষ সর্বনাম
B
আত্মবাচক সর্বনাম
C
অনির্দিষ্ট সর্বনাম
D
নির্দেশক সর্বনাম
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ব্যাকরণে সর্বনামের বিভিন্ন রূপ রয়েছে, যার মধ্যে সাপেক্ষ সর্বনাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যখন দুটি সর্বনাম একে অপরের উপর নির্ভরশীল হয়, তখন তাকে সাপেক্ষ সর্বনাম বলা হয়।
-
সাপেক্ষ সর্বনাম:
-
উদাহরণ: যারা–তারা, যে–সে, যেমন–তেমন (যেমন কর্ম তেমন ফল)।
-
-
আত্মবাচক সর্বনাম:
-
উদাহরণ: নিজে (সে নিজে অঙ্কটা করছে), স্বয়ং।
-
-
অনির্দিষ্ট সর্বনাম:
-
উদাহরণ: কেউ, কোথাও, কিছু, একজন (একজন এসে খবরটা দেয়)।
-
-
নির্দেশক সর্বনাম:
-
নিকট নির্দেশক: এ, এই, এরা, ইনি
-
দূর নির্দেশক: ও, ওই, ওরা, উনি
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'কথায় কথায়' - কোন দ্বিরুক্ত বাচক শব্দ?
Created: 1 month ago
A
পুনরাবৃত্ত
B
অনুকার
C
ধ্বন্যাত্মক
D
কোনোটিই নয়
বাংলা ব্যাকরণে পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব হলো এমন শব্দগুচ্ছ যা পুনরায় আবৃত্ত হয়। এটি হতে পারে বিভক্তিহীন বা বিভক্তিযুক্ত। পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব সাধারণত অভিব্যক্তি বা বর্ণনার বল বৃদ্ধি করতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: জ্বর জ্বর, পর পর, কবি কবি, হাতে হাতে, কথায় কথায়, জোরে জোরে ইত্যাদি।
-
বিভক্তিহীন পুনরাবৃত্ত:
-
ভালো ভালো (কথা)
-
কত কত (লোক)
-
হঠাৎ হঠাৎ (ব্যথা)
-
ঘুম ঘুম (চোখ)
-
উড় উড়ু (মন)
-
গরম গরম (জিলাপি)
-
হায় হায় (করা)
-
-
বিভক্তিযুক্ত পুনরাবৃত্ত:
-
কথায় কথায় (বাড়া)
-
মজার মজার (কথা)
-
ঝাঁকে ঝাঁকে (চলা)
-
চোখে চোখে (রাখা)
-
মনে মনে (হাসা)
-
সুরে সুরে (বলা)
-
পথে পথে (হাঁটা)
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'অরবিন্দ' শব্দের অর্থ কী?
Created: 2 months ago
A
সূর্য
B
যোদ্ধা
C
বন
D
পদ্ম

'পদ্ম' শব্দের অন্যান্য সমার্থক শব্দ:
কমল, উৎপল, পঙ্কজ, কুমুদ, কুবলয়, শতদল, অরবিন্দ, রাজীব, নলিনী, সরোজ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ) এবং বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান।
0
Updated: 2 months ago
ঋ, র, ষ এর পর কোন বর্গের ধ্বনি থাকলে তার পরবর্তী 'ন' 'ণ' হয়?
Created: 1 month ago
A
প বর্গ
B
চ বর্গ
C
ট বর্গ
D
ত বর্গ
যখন ঋ, র বা ষ-এর পরে স্বরধ্বনি, ষ, য়, ব, হ, ৎ, অথবা ক-বর্গীয় ও প-বর্গীয় ধ্বনি থাকে, তখন তার পরবর্তী ন মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়ে যায়। অর্থাৎ, উচ্চারণগত নিয়মে এ অবস্থায় ‘ন’ → ‘ণ’ রূপে রূপান্তরিত হয়।
উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়—
-
কৃপণ: ঋ-কারের পরে প্, তার পরে ণ → কৃ + প + ণ।
-
হরিণ: র-এর পরে স্বরধ্বনি (ই), তার পরে ণ → হ + রি + ণ।
-
অর্পণ: র্-এর পরে প্, তারপর অ ও ণ → অ + র্ + প + ণ।
-
লক্ষণ: ষ (ক্) + অ + ণ → ল + ক্ষ + ণ।
-
এছাড়াও রুক্মিণী, ব্রাহ্মণ প্রভৃতি শব্দেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
0
Updated: 1 month ago