'হাতি' শব্দের সমার্থক শব্দ নয় -
A
বারণ
B
মাতঙ্গ
C
কুঞ্জর
D
ভুজগ
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় সমার্থক শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে ভাষার প্রকাশভঙ্গি আরও সমৃদ্ধ হয়। একটি শব্দের সমার্থক রূপগুলো প্রায়ই সাহিত্যিক রচনায় বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্য আনে। নিচে এর কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো।
-
‘হাতি’ শব্দের সমার্থক: গজ, হস্তী, করী, দ্বিপ, বারণ, মাতঙ্গ, কুঞ্জর, দন্তী ইত্যাদি।
-
‘সাপ’ শব্দের সমার্থক: সৰ্প, অহি, ফণী, নাগ, ভুজগ, ভুজঙ্গ, আশীবিষ, উরগ, বিষধর, পন্নগ ইত্যাদি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'অনল প্রবাহ' কোন ধরনের সাহিত্য রচনা?
Created: 1 month ago
A
প্রবন্ধ
B
উপন্যাস
C
কাব্যগ্রন্থ
D
নাটক
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর ‘অনল প্রবাহ’ একটি মুসলিম জাগরণমূলক কাব্যগ্রন্থ, যা ১৯০০ সালে প্রকাশিত হয়। এটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ এবং প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই ব্রিটিশ সরকার তা বাজেয়াপ্ত করেছিল। প্রথম সংস্করণে কবিতা ছিল মাত্র নয়টি, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: অনল প্রবাহ, তুর্যধ্বনি, মূর্ছনা, বীর-পূজা, অভিভাষণ এবং মরক্কো সংকটে।
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ:
অনল প্রবাহ, আকাঙ্ক্ষা, উচ্ছ্বাস, উদ্বোধন, নব উদ্দীপনা, স্পেন বিজয় কাব্য, সঙ্গীত সঞ্জীবনী, প্রেমাঞ্জলি
তাঁর রচিত উপন্যাস:
রায়নন্দিনী, তারাবাঈ, ফিরোজা বেগম, নূরুদ্দীন
তাঁর রচিত প্রবন্ধ:
স্বজাতি প্রেম, তুর্কি নারী জীবন, স্পেনীয় মুসলান সভ্যতা
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
‘দহন’ শব্দের বিশেষণ রূপ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
দহনকারী
B
দাহ্য
C
দাহ্যনীয়
D
দগ্ধ
দহন [দহোন্] একটি বিশেষ্য।
শব্দের অর্থ—
-
দগ্ধকরণ; জ্বালা; পোড়া; দাহ।
-
অগ্নি (যেমন: বেহান বিকাল যায় দহন সেবনে—কবি কঙ্কণ কুমুন্দরাম চক্রবর্তী)।
-
আলঙ্কারিক অর্থে যন্ত্রণা (যেমন: হিয়ায় লইতে দহন দ্বিগুণ হয়—চণ্ডীদাস)।
সম্পর্কিত পদ ও অর্থ—
-
দাহক (বিশেষণ) : দহনকারী বা দাহ সৃষ্টিকারী।
-
দহনকারী : বিশ্বদহন ক্রোধ।
-
দহনক্রিয়া (বিশেষ্য) : জ্বলনের কাজ; দহনক্রিয়ার অর্থ দ্রুতবেগে অক্সিজেনের সঙ্গে মিলন।
-
দাহ্য / দহনীয় (বিশেষণ) : দহনের উপযুক্ত বা দহনযোগ্য।
(উৎস:
0
Updated: 1 month ago
ব্যাসবাক্যের প্রয়োজন হয় না কোন সমাসে?
Created: 1 month ago
A
প্রাদি সমাস
B
অলুক সমাস
C
দ্বন্দ্ব সমাস
D
নিত্য সমাস
নিত্য সমাস এমন এক ধরনের সমাস যেখানে সমস্যমান পদগুলো সর্বদা একত্রে ব্যবহৃত হয় এবং তাদের দ্বারা আলাদা করে পূর্ণার্থ প্রকাশ করা যায় না। অর্থাৎ, এই সমাসে ব্যাসবাক্য (সমাসবিহীন রূপ) তৈরি করতে গেলে ‘অন্য’ বা ‘কেবল’ প্রভৃতি শব্দ যোগ করতে হয়।
সংজ্ঞা:
যে সমাসে সমস্যমান পদ দ্বারা সমাসবাক্য হয় না, বরং অন্য পদের সহায়তায় পূর্ণার্থ প্রকাশ করতে হয়, তাকে নিত্য সমাস বলে।
উদাহরণ:
-
অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর
-
অন্য দেশ = দেশান্তর
-
কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র
-
কেবল যাওয়া = যাওয়ামাত্র
-
কেবল বলা = বলামাত্র
উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য:
-
সমস্যমান পদগুলো সর্বদা একত্রে ব্যবহৃত হয়।
-
ব্যাসবাক্য তৈরি করতে গেলে ‘অন্য’, ‘কেবল’ ইত্যাদি শব্দ প্রয়োজন হয়।
-
এ ধরনের শব্দগুচ্ছ অর্থে সংক্ষিপ্ত হলেও ভাবের দিক থেকে সম্পূর্ণ।
0
Updated: 1 month ago