'হাতি' শব্দের সমার্থক শব্দ নয় -
A
বারণ
B
মাতঙ্গ
C
কুঞ্জর
D
ভুজগ
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় সমার্থক শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে ভাষার প্রকাশভঙ্গি আরও সমৃদ্ধ হয়। একটি শব্দের সমার্থক রূপগুলো প্রায়ই সাহিত্যিক রচনায় বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্য আনে। নিচে এর কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো।
-
‘হাতি’ শব্দের সমার্থক: গজ, হস্তী, করী, দ্বিপ, বারণ, মাতঙ্গ, কুঞ্জর, দন্তী ইত্যাদি।
-
‘সাপ’ শব্দের সমার্থক: সৰ্প, অহি, ফণী, নাগ, ভুজগ, ভুজঙ্গ, আশীবিষ, উরগ, বিষধর, পন্নগ ইত্যাদি।
উৎস:

0
Updated: 23 hours ago
সমাস সাধিত অশুদ্ধি ঘটেছে কোন শব্দে?
Created: 1 day ago
A
মহিমমণ্ডিত
B
রাজগণ
C
সুবুদ্ধি
D
যুবরাজা
বাংলা ভাষায় সমাস সাধনের ক্ষেত্রে অনেক সময় অশুদ্ধ শব্দ ব্যবহার হয়ে যায়, যা শুদ্ধ রূপে প্রয়োগ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে সংস্কৃত ইন্-প্রত্যয়ান্ত শব্দ বাংলায় প্রথমবার একবচনে ধনী, গুণী, মানী, পাপী ইত্যাদি রূপ নেয়। কিন্তু নিঃ-উপসর্গ যোগ হয়ে সমাসবদ্ধ হলে শব্দের শেষে ঈ-কার থাকে না। তখন ধন, গুণ, মান, পাপ ইত্যাদি শব্দ সমানভাবে ব্যবহৃত হয়।
-
নেই ধন যার = নির্ধন
-
নেই গুণ যার = নির্গুণ
-
নেই পাপ যার = নিষ্পাপ
অতএব, নির্ধনী, নির্গুণী, নিষ্পাপী ইত্যাদি অশুদ্ধ রূপ।
কিছু সমাস সাধিত অশুদ্ধ ও শুদ্ধ শব্দের প্রয়োগ নিচে দেওয়া হলো—
-
অশুদ্ধ: পিতাহারা → শুদ্ধ: পিতৃহারা
-
অশুদ্ধ: যুবরাজা → শুদ্ধ: যুবরাজ
-
অশুদ্ধ: মহিমামণ্ডিত → শুদ্ধ: মহিমমণ্ডিত
-
অশুদ্ধ: রাজাগণ → শুদ্ধ: রাজগণ
-
অশুদ্ধ: মাতাজাতি → শুদ্ধ: মাতৃজাতি
-
অশুদ্ধ: সুবুদ্ধিমান → শুদ্ধ: সুবুদ্ধি
-
অশুদ্ধ: নির্দোষী → শুদ্ধ: নির্দোষ
-
অশুদ্ধ: অর্ধরাত্রি → শুদ্ধ: অর্ধরাত্র
-
অশুদ্ধ: নিরভিমানী → শুদ্ধ: নিরভিমান
-
অশুদ্ধ: দিবারাত্রি → শুদ্ধ: দিবারাত্র
-
অশুদ্ধ: নীরোগী → শুদ্ধ: নীরোগ
উৎস:

0
Updated: 1 day ago
কোনটি বাক্যের বৈশিষ্ট্য নয়?
Created: 1 month ago
A
যোগ্যতা
B
আকাঙ্ক্ষা
C
আসক্তি
D
আসত্তি
• আদর্শ সার্থক বাক্যের বৈশিষ্ট্য নয়- আসক্তি।
ভাষার বিচারে একটি আদর্শ সার্থক বাক্যে ৩টি গুণ থাকা আবশ্যক।
যথা-
১. আকাঙ্ক্ষা,
২. আসত্তি এবং
৩. যোগ্যতা।
• আকাঙ্ক্ষা:
বাক্যের অর্থ স্পষ্টকরণে এক পদের পর অন্য পদ শোনার যে ইচ্ছা বা প্রয়াস তাকে আকাঙ্ক্ষা বলে।
উদাহরণ- কাজল নিয়মিত লেখাপড়া।
- উপরের বাক্যটি অসম্পূর্ণ। অর্থাৎ বাক্যে আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়নি।
- বাক্যটিকে এভাবে পরিপূর্ণ করা যায়- কাজল নিয়মিত লেখাপড়া করে।
• আসত্তি:
- বাক্যের অর্থসঙ্গতি রক্ষায় সুনির্দিষ্ট পদবিন্যাসই হলো আসত্তি।
উদাহরণ: নিয়মিত করে হাসান লেখাপড়া।
- বাক্যটির পদগুলো সন্নিবেশ না হওয়ায় অন্তর্নিহিত ভাব প্রকাশ হয়নি। তাই এটি আদর্শ বাক্য নয়।
- পরিপূর্ণ বাক্য গঠনে বাক্যের পদ্গুলো সাজাতে হবে- হাসান নিয়মিত লেখাপড়া করে।
• যোগ্যতা:
- বাক্যের অন্তর্গত পদসমূহের বিশ্বাসযোগ্য ভাবসম্মিলনের নাম হল যোগ্যতা।
উদাহরণ: বর্ষার রৌদ্র প্লাবনের সৃষ্টি করে।
- বাক্যটি ভাব প্রকাশের যোগ্যতা হারিয়েছে। কেননা রোদ কখনো প্লাবন সৃষ্টি করতে পারে না।
- তাই যোগ্যতাসম্পন্ন বাক্যটি হবে- ‘বর্ষার বৃষ্টি প্লাবনের সৃষ্টি করে’।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 1 month ago
২৮) 'কান্তার' শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
হাত
B
কন্যা
C
স্ত্রী
D
বন
যুক্তবর্ণ
সংজ্ঞা:
একাধিক বর্ণ একত্রিত হয়ে যে বর্ণ তৈরি হয়, তাকে যুক্তবর্ণ বলে। যুক্তবর্ণের বর্ণগুলোকে দেখে কখনো সহজে চিনা যায়, আবার কখনো সহজে চেনা যায় না।
প্রকারভেদ: স্বচ্ছ ও অস্বচ্ছ।
১. স্বচ্ছ যুক্তবর্ণ
উদাহরণ: ক্ট, জ্জ, জ্ব, ড্ড, ন্ট, ণ্ঠ, দ্দ, দ্ব, দ্ম, ষ্ঠ, ন্স, প্ট, প্ত, প্প, ন্স, ব্দ ইত্যাদি।
২. অস্বচ্ছ যুক্তবর্ণ
উদাহরণ:
-
ক্ত (ক্ + ত), ক্ম (ক্ + ম), ক্র (ক্ + র), ক্ষ (ক্ + ষ), ক্ষ্ম (ক্ + ষ + ম), ক্স (ক্ + স)
-
গু (গ্ + উ), ন্ধ (গ্ + ধ), ঙ্ক (ঙ্ + ক)
-
জ্ঞ (জ্ + ঞ), ঞ্চ (ঞ্ + চ), ঞ্জ (ঞ্ + জ)
-
ট্র (ট্ + ট), ত্ত (ত্ + ত), ত্থ (ত্ + থ), ত্র (ত্ + ত্র)
-
দ্ধ (দ্ + ধ), ন্ধ (ন্ + ধ), ব্ধ (ব্ + ধ), ভ্র (ভ্ + র), ভ্রূ (ভ্ + র + ঊ)
-
রু (র্ + উ), রূ (র্ + ঊ), শু (শ্ + উ), ষ্ণ (ষ্ + ণ), হু (হ্ + উ), হ্ম (হ্ + ম)
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago